নোয়াখালীতে যোগাযোগমন্ত্রী-অপকর্মে জড়িতরা মনোনয়ন পাবে না

জনস্বার্থ উপেক্ষা করে অপকর্মে জড়িয়ে পড়া জনপ্রতিনিধিদের আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সম্প্রতি চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য এবারের ভুল থেকে শিক্ষা নেবে তাঁর দল। গতকাল বুধবার নোয়াখালীতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
যোগাযোগমন্ত্রী গতকাল জেলা শহরে চৌমুহনী মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন উদ্বোধন এবং সেনবাগ উপজেলার রামেন্দ্র মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। চৌমুহনী মদনমোহন বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র মামুনুর রশিদ কিরণ। বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. সিরাজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সারওয়ার, বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ভি.পি. মোহাম্মদ উল্যা, জেলা পরিষদের প্রশাসক ড. জাফর উল্যা প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অতি আত্মবিশ্বাসই চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগসমর্থিত প্রার্থীদের জন্য কাল হয়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডিজিটাল ব্যানার দিয়ে ভালো রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না। ভালো কাজ করে ভালো ব্যবহার দিয়ে রাজনীতির নেতা হওয়া যায়।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, 'যারা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলে আশাহত তাদের দলে তিনি নন। পরাজয়ের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সেই সংকটই আমাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে মুক্তি লাভ করতে হবে। যেসব জনপ্রতিনিধি জনস্বার্থ উপেক্ষা করে অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে তাঁরা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাবেন না।'
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের ঈর্ষণীয় সাফল্য থাকার পরও কিছু আচরণগত, কৌশলগত এবং সংগঠনিক ভুলের কারণে পরাজয়বরণ করতে হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, জয়ী হওয়ার আগে জয়ী হয়ে হেরে গেছে। আমরা অতিবিশ্বাসের ফাঁদে পড়েছি। ব্যর্থতার কোনো অপশন ফাঁকা রাখা হয়নি। এটাই আমাদের ভুল।'
যোগাযোগমন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষকরা কোনো রাজনীতি বা দলে জড়াবেন না। রাজনীতি করলে শিক্ষা দেবে কে? ভালো রাজনীতিবিদ তৈরি করতে হলে এখান থেকে মেধাবী ছাত্র বের হতে হবে।