গাজীপুর সিটি নির্বাচন-গণসংযোগ চলছে, মেয়র প্রার্থী কার্যত মাত্র দুজন
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে
সাতজন প্রার্থী হলেও প্রচারণায় আছেন শুধু ১৪ দল সমর্থিত আজমত উল্লা খান ও
১৮ দল সমর্থিত অধ্যাপক এম এ মান্নান। জাহাঙ্গীর আলম আজমত উল্লার পক্ষ নিয়ে
সরে দাঁড়ানোয় অন্য প্রার্থীরা কাগুজে প্রার্থীতে পরিণত হয়েছেন।
এ
পর্যন্ত তাঁদের কারো প্রচার-প্রচারণা বা গণসংযোগ চোখে পড়েনি। তাই ভোটের
লড়াই আজমত ও মান্নানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। গতকাল শনিবারও সকাল থেকে
গভীর রাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভোট চেয়ে বেড়িয়েছেন
তাঁরা। আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খান গতকাল সকাল
১০টার দিকে টঙ্গীর মিলগেট ঝুটপল্লীর বিভিন্ন দোকান ও এরশাদনগরের ঘরে ঘরে
গিয়ে দোয়াত-কলম প্রতীকে ভোট চান। পরে তিনি ধীরাশ্রম, দক্ষিণখান, বাসন,
চান্দনা চৌরাস্তা ও কোনাবাড়ির আমবাগ এলাকায় গণসংযোগ করেন এবং বিভিন্ন মোড়ে
পথসভা করে পরিকল্পিত মহানগর গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ভোট প্রার্থনা করেন।
ওই সব এলাকার বাড়িঘরে গিয়েও ভোটারদের দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। সে
সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ছাড়াও আজমত উল্লা খানের নির্বাচন
পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, সদস্যসচিব জাহিদ আহসান
রাসেল এমপি, গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ
মণ্ডল, অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা সাহাবুদ্দিন, রফিজ
উদ্দিন, সাত্তার মোল্লা, কাজী সেলিম প্রমুখ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
'বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে'
টঙ্গীর মিলগেট এলাকার ঝুটপল্লীতে ভোট চাইতে গিয়ে আজমত উল্লা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা তাঁর বিজয় ঠেকাতে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং গুজব ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, 'স্থানীয় জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের নেতারা সরকারবিরোধী, ইসলামবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে, লিফলেট বিলিয়ে ভোটারদের মধ্যে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। টঙ্গী ও গাজীপুরে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গুজব ও অপপ্রচার চালিয়ে ভোট পাওয়ার কৌশল নিয়েছেন।' তিনি ভোটারদের প্রতি এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সদ্যপ্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নাঈম রাজ্জাক এমপি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা।
এম এ মান্নানের প্রচারণা
১৮ দলের মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান গতকাল টঙ্গীতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রচারণা চালান। সকাল ১০টায় তিনি টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় পথসভার মধ্য দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে তিনি টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল, নতুনবাজার, মধুমিতা হাউস বিল্ডিং, আরিচপুর তিনতলা জামে মসজিদ, পূর্ব আরিচপুর জামাইবাজার, মিরাশপাড়া কবরস্থান মোড়, বউ বাজার, টঙ্গী বাজারসহ আশপাশের এলাকায় টেলিভিশন প্রতীকে ভোট চান।
সে সময় হাসান উদ্দিন সরকার, ঝিনাইদহের বিএনপির সাবেক এমপি মশিউর রহমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শাহানশাহ আলমসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জাপার পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে
অধ্যাপক মান্নানের আরিচপুরের পথসভায় টঙ্গী থানা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে যোগদানকারী নেতা-কর্মীরা অধ্যাপক মান্নানের সঙ্গে টেলিভিশন প্রতীকের পক্ষে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
'বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে'
টঙ্গীর মিলগেট এলাকার ঝুটপল্লীতে ভোট চাইতে গিয়ে আজমত উল্লা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা তাঁর বিজয় ঠেকাতে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং গুজব ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, 'স্থানীয় জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের নেতারা সরকারবিরোধী, ইসলামবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে, লিফলেট বিলিয়ে ভোটারদের মধ্যে আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। টঙ্গী ও গাজীপুরে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গুজব ও অপপ্রচার চালিয়ে ভোট পাওয়ার কৌশল নিয়েছেন।' তিনি ভোটারদের প্রতি এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সদ্যপ্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নাঈম রাজ্জাক এমপি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা।
এম এ মান্নানের প্রচারণা
১৮ দলের মেয়র পদপ্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান গতকাল টঙ্গীতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রচারণা চালান। সকাল ১০টায় তিনি টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় পথসভার মধ্য দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। পরে তিনি টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল, নতুনবাজার, মধুমিতা হাউস বিল্ডিং, আরিচপুর তিনতলা জামে মসজিদ, পূর্ব আরিচপুর জামাইবাজার, মিরাশপাড়া কবরস্থান মোড়, বউ বাজার, টঙ্গী বাজারসহ আশপাশের এলাকায় টেলিভিশন প্রতীকে ভোট চান।
সে সময় হাসান উদ্দিন সরকার, ঝিনাইদহের বিএনপির সাবেক এমপি মশিউর রহমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শাহানশাহ আলমসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জাপার পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে
অধ্যাপক মান্নানের আরিচপুরের পথসভায় টঙ্গী থানা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গসংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকারের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে যোগদানকারী নেতা-কর্মীরা অধ্যাপক মান্নানের সঙ্গে টেলিভিশন প্রতীকের পক্ষে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
No comments