ভালো থাকুন-শিশু যখন বিছানা ভেজায়
শিশু পাঁচ-ছয় বছর বয়সের পরও রাতে বিছানা
ভেজালে একে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রস্রাবের ইনফেকশন, ডায়াবেটিস, মৃগিরোগ
প্রভৃতি শারীরিক রোগের কারণে শিশু বিছানা ভেজাতে পারে। এ ছাড়া মানসিক
কারণেও শিশুদের এ প্রবণতা হতে পারে।
একে 'ইনিউরেসিস' রোগ
বলা হয়। স্কুলে ভর্তি, বাসা পরিবর্তন, মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ বা মৃত্যু,
নতুন ভাই বা বোনের জন্ম প্রভৃতি শিশুর জন্য মানসিক দ্বন্দ্ব বা চাপের কারণ
হতে পারে।
রোগাক্রান্ত শিশু বিছানা ভেজানোর কারণে নিজেও লজ্জা ও গ্লানি বোধ করে। বিছানা ভেজানোর জন্য বকুনি দিলে বা মারধর করলে তা আরো বাড়ে। তা না করে বরং বিছানা ভেজালে যাতে তা দ্রুত এবং সহজে পরিবর্তন করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন, বিছানার তোশকের ওপর প্লাস্টিক বা রাবার ক্লথ রাখা যেতে পারে। যাদের এ সমস্যা আছে, তাদের রাতে ঘুমের আগে বেশি পানি খাওয়ানো ঠিক হবে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে বাথরুমে প্রস্রাব করাতে হবে। প্রতি রাতে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বিছানা ভেজালে ওই সময়ের আগে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বাথরুমে নিয়ে প্রস্রাব করাতে হবে। রাতে বিছানা না ভেজালে পরদিন সে কারণে তাকে প্রশংসা বা প্রিয় কোনো জিনিস দিয়ে পুরস্কৃত করা যেতে পারে। শিশুর মানসিক দ্বন্দ্ব বা চাপের ব্যাপারটি বোঝার এবং তা সমাধানের জন্য তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছুদিনের জন্য ওষুধ সেবন করানো যেতে পারে।
ডা. মুনতাসীর মারুফ
রোগাক্রান্ত শিশু বিছানা ভেজানোর কারণে নিজেও লজ্জা ও গ্লানি বোধ করে। বিছানা ভেজানোর জন্য বকুনি দিলে বা মারধর করলে তা আরো বাড়ে। তা না করে বরং বিছানা ভেজালে যাতে তা দ্রুত এবং সহজে পরিবর্তন করা যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন, বিছানার তোশকের ওপর প্লাস্টিক বা রাবার ক্লথ রাখা যেতে পারে। যাদের এ সমস্যা আছে, তাদের রাতে ঘুমের আগে বেশি পানি খাওয়ানো ঠিক হবে না। ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে বাথরুমে প্রস্রাব করাতে হবে। প্রতি রাতে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বিছানা ভেজালে ওই সময়ের আগে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বাথরুমে নিয়ে প্রস্রাব করাতে হবে। রাতে বিছানা না ভেজালে পরদিন সে কারণে তাকে প্রশংসা বা প্রিয় কোনো জিনিস দিয়ে পুরস্কৃত করা যেতে পারে। শিশুর মানসিক দ্বন্দ্ব বা চাপের ব্যাপারটি বোঝার এবং তা সমাধানের জন্য তার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছুদিনের জন্য ওষুধ সেবন করানো যেতে পারে।
ডা. মুনতাসীর মারুফ
No comments