এবার যুক্তরাজ্য সরকারের গুপ্তচরবৃত্তির তথ্য ফাঁস
যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা ব্রিটিশ
গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস হেডকোয়ার্টার্স (জিসিএইচকিউ) বিশ্বের বিভিন্ন
দেশের ফোনালাপ ও ইন্টারনেট সংযোগের কেবলে ঢুুকে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ও
স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে। গত শুক্রবার প্রভাবশালী ব্রিটিশ
দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এর এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে বিশ্বে যখন তোলপাড় চলছে,
তখনই জিসিএইচকিউর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগের প্রমাণ মিলল। মার্কিন
গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) সহযোগী সংস্থা
যুক্তরাজ্যের এই জিসিএইচকিউ। গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়,
জিসিএইচকিউর মূল আগ্রহের জায়গা মূলত দুটি ক্ষেত্রে—ইন্টারনেটের ওপর
খবরদারি চালানো এবং বিশ্ব টেলিযোগাযোগব্যবস্থা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা।
এসবের মধ্য দিয়ে সংস্থাটি অনলাইন ও টেলিযোগাযোগব্যবস্থা থেকে যত বেশি
সম্ভব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। কোনো ধরনের প্রকাশ্য আলোচনা, ঘোষণা বা
বিতর্ক ছাড়া গোপনে কাজ সারছে জিসিএইচকিউ। গোয়েন্দা সংস্থাটি ফাইবার কেব্ল
থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ৩০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ ও
বিশ্লেষণ করে। এরপর সেগুলো আরেকটি স্থানে সংরক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেয়।
সংস্থাটির পরিচালিত এ গোয়েন্দা কর্মসূচির কোড নাম ‘টেমপোরা’। ১৮ মাস ধরে
এটি কার্যকর আছে। জিসিএইচকিউ ও এনএসএ অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ ও সন্দেহভাজনদের
ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম। ফোনালাপ,
ই-মেইল, ফেসবুক এন্ট্রি ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ
করছে সংস্থা দুটি। সিআইয়ের সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন সম্প্রতি এনএসএর
গোপন গোয়েন্দা কর্মসূচির খবর ফাঁস করেন। তিনি এ কর্মসূচিকে ‘মানবেতিহাসে
নিরপরাধ ব্যক্তিদের ওপর চালানো সবচেয়ে বড় গুপ্তচরবৃত্তি’ হিসেবে অভিহিত
করেছেন। দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে স্নোডেন বলেন, ‘এটি কেবল
যুক্তরাষ্ট্রের সমস্যা নয়, যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ আছে। এরা
বরং যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে খারাপ।’ দ্য গার্ডিয়ান।
No comments