জুটি বাঁধলেন তামিম-আয়েশা by উৎপল শুভ্র
কাজীর দেউড়ির ইটরঙা পাঁচতলা বাড়িটার গায়ে
সপ্তাহ খানেক ধরেই লাল-নীল-হলুদ বাতির খেলা। কাল রাতে বাতিগুলোর ঔজ্জ্বল্য
কি আরেকটু বেড়ে গেল! যে কারণে পাঁচতলা ওই ভবনটির এমন রংবেরঙের আলোর মালা
পরা, এই রাতেই যে সেটির মধুরেণ সমাপয়েৎ হলো।
তামিম ইকবালের জীবনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করলেন আয়েশা সিদ্দিকা।
একসময় পরিচয় ছিল ‘আকরাম খানের বাড়ি’, বছর ছয়েক ধরে সেটি চাচা-ভাতিজার বিজ্ঞাপন। কাজীর দেউড়ি মোড়ে এলেই লোকে ওদিকে একবার তাকিয়ে বলে, ওই যে ‘আকরাম-তামিমের বাড়ি’!
সেই বাড়িতে কদিন ধরেই হুলুস্থুল কাণ্ড চলছে। অধুনা বিরল যৌথ পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখায় নিয়মিত বাসিন্দার সংখ্যাই চল্লিশ ছাড়ানো। তামিমের বিয়ে উপলক্ষে সেটি প্রায় দেড় গুণ হয়ে গেছে। জনসংখ্যার এই আধিক্যে বর নিজেই বাড়িছাড়া! বন্ধুবান্ধব নিয়ে তামিম কদিন আগে উঠেছেন এক হোটেলে।
আলোর মালা পরেছে চট্টগ্রাম ক্লাবও। গত পরশু গায়েহলুদ হয়েছে এখানে। কাল রাতে তামিম ইকবালের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটির আনুষ্ঠানিক শুরুও। তামিমদের বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে পাঁচ-ছয় মিনিটের পথ। আসতে হাতের বাঁয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পড়ে। কাল রাতে পঞ্চাশ সদস্যের ব্যান্ড পার্টির বাজনায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম ক্লাবে আসার পথে তামিম কি একবার স্টেডিয়ামের বাইরের মাঠটার দিকে তাকালেন? ওই মাঠটিতেই যে বোনা হয়েছিল ক্রিকেটার তামিম ইকবালের বীজ।
লাল-নীল বাতির কথা বলছিলাম। এমনিতে এটা বলার মতো কিছু নয়। বিয়েবাড়ি তো এমনই হয়। কিন্তু তামিম ইকবালের বিয়ে তো আর দশটা বিয়ের মতো নয়। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটাকাশে জ্বলজ্বলে তারকা, বিয়েটাও হচ্ছে তেমনই রাজকীয়। চট্টগ্রামের সীমা ছাড়িয়ে যা এরই মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত বিয়েতে পরিণত। মাস কয়েক আগে সাকিব আল হাসানের বিয়ে নিয়েও সাধারণ্যে এমন প্রবল ঔৎসুক্য ছিল। পার্থক্য হলো, সাকিব কোথায় বিয়ে করছেন, সেটি নিয়েও ছিল ধোঁয়াশা। আর তামিম ইকবালের বিয়ে যেন চট্টগ্রামের সর্বজনীন উৎসব!
গত পরশু রাতে গায়েহলুদে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন দেড় হাজারের মতো। এর চেয়েও হাজার/বারো শ মানুষ বেশি হাজির হওয়ায় চট্টগ্রাম ক্লাবের টেনিস কমপ্লেক্সে রীতিমতো ‘বিশাল এক জনসভা’! আকরামের শ্যালিকাকে বিয়ে করে খান পরিবারের আত্মীয় হয়ে যাওয়া সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘এর চেয়েও বড় আয়োজনের বিয়ে দেখেছি। তবে গায়েহলুদে এত মানুষ কখনো দেখিনি!’
বরের তৎপরতাও ছিল ব্যতিক্রমী। মঞ্চে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তামিম নিজেই নেমে পড়লেন অতিথি আপ্যায়নে। আগের রাতে ভোর পর্যন্ত নিজে উপস্থিত থেকে সবকিছু ঠিকঠাক করেছেন। খাবার চেখে দেখেছেন নিজেই। তামিমের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু ও সাংবাদিক মিনহাজউদ্দিন খান একসময় না বলে পারেননি, ‘তুই কি বর, না ইভেন্ট ম্যানেজার! জামাইকে কখনো এত কাজ করতে দেখিনি।’
কথাটা মনে করে কাল বিকেলে তামিম ইকবাল খুব হাসলেন, ‘আসলে আমি চেয়েছি, আমার বিয়েতে সবকিছু যেন একেবারে পারফেক্ট হয়। আর খাবার টেস্ট করার কথা বলছেন? চিটাগংয়ের একটা ট্র্যাডিশন আছে, আপনি বিয়েতে যত আয়োজনই করেন না কেন, খাওয়া ভালো না হলে সর্বনাশ। সবাই বলবে, ধ্যেৎ, কী খাওয়াল এটা! এ জন্যই খাবার নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম।’
গায়েহলুদে ভারত থেকে আসা সারেগামা খ্যাত দুই শিল্পী সহোদর তসী-সারিদার গানের সঙ্গে রাতভর নাচও হয়েছে। নৃত্যশিল্পীরা অবশ্য পেশাদার কেউ নন, সেই ভূমিকায় নেমে গিয়েছিলেন তামিমের চাচা-চাচিরাই। ভিড়ের মধ্যে পাঞ্জাবির পকেট থেকে আইফোন খোয়া যাওয়ার দুঃখ ভুলে আতহার আলী খানও যোগ দিলেন তাঁদের সঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক চার অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন, ফারুক আহমেদ, হাবিবুল বাশার ও খালেদ মাসুদ অবশ্য থাকলেন দর্শকের ভূমিকাতেই।
আক্দ হয়ে গেছে গত পরশু দুপুরেই। কাল রাতে বিয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা। সেটিতে উপচে পড়া ভিড়। তামিম দাওয়াত দিয়েছেন কি দেননি, এটি একেবারেই বিবেচনায় না নিয়ে গেটের বাইরেও হাজার ছাড়ানো মানুষ। সামান্যতম সুযোগেই যারা হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ছেন। ঢুকছেন জনারণ্যে, যেখানে আমন্ত্রিত-অনামন্ত্রিত অতিথিদের গিজগিজে ভিড়ের সঙ্গে টিভি ক্যামেরা আর ফটোসাংবাদিকেরও বিশাল এক দল। শামিয়ানার নিচে বিশাল সব বরফখণ্ড রেখে গরম কমানোর প্রচেষ্টা যে কারণে একেবারেই ব্যর্থ।
এই অনুষ্ঠান রাত ১০টার আগে শুরু হবে না জানা ছিল। পত্রিকার ডেডলাইনের তাড়া আছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে বরকে এটা-ওটা জিজ্ঞেস করাটাও বেরসিকের কাজ। বরযাত্রার ঘণ্টা তিনেক আগেই তাই সেটি সেরে ফেলতে হলো মুঠোফোনে। তামিম, নতুন জীবন শুরুর অনুভূতির সঙ্গে কি ওয়ানডে বা টেস্ট অভিষেককে মেলানো যায়? না, যায় না। তামিম ইকবাল পেশাদার জীবন আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদাই রাখতে চান, এটা একটা কারণ। এর চেয়েও বড় কারণ ২০০১ সালে প্রয়াত বাবা ইকবাল খান। ‘আমি ক্রিকেটার হয়েছি আব্বুর স্বপ্নপূরণের জন্য। আব্বুর স্বপ্নের সঙ্গে আমি কিছুকেই মেলাতে রাজি নই’—বলার সময় তামিমের কণ্ঠটা একটু ধরে এল।
আট বছরে অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দেওয়া প্রেম অবশ্য ক্রিকেটের একটা অনুভূতির সঙ্গে বিয়েটাকে মিলিয়ে দিচ্ছে তামিমের কাছে, ‘একজন ক্রিকেটার অনেক বছর খেলার পর যখন জাতীয় দলে ডাক পায়, আমার বিয়েটাও ওরকম। কাজি যখন ‘কবুল’ বলছিলেন, মনে হচ্ছিল সিলেক্টররা জাতীয় দলে আমার নাম ঘোষণা করছেন!’
তারকাদের বিয়ের পর অবশ্যম্ভাবী কৌতূহল থাকে হানিমুন নিয়ে। ক্রিকেটই তামিমকে করে দিচ্ছে স্বপ্নের একটা হানিমুন কাটানোর সুযোগ। বউকে নিয়ে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট লিগে খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবেন। কল্পচোখে দেখতে পাচ্ছেন নীল সাগর আর সাদা বালুর অবারিত সৈকত। পাশে তাঁর চোখে আশ্চর্য এক মানবী।
ক্রিকেট নিয়ে হাজারো স্বপ্নের ভিড়েও গত আট বছর এই দৃশ্যটাই তো কল্পনা করে এসেছেন তামিম ইকবাল।
একসময় পরিচয় ছিল ‘আকরাম খানের বাড়ি’, বছর ছয়েক ধরে সেটি চাচা-ভাতিজার বিজ্ঞাপন। কাজীর দেউড়ি মোড়ে এলেই লোকে ওদিকে একবার তাকিয়ে বলে, ওই যে ‘আকরাম-তামিমের বাড়ি’!
সেই বাড়িতে কদিন ধরেই হুলুস্থুল কাণ্ড চলছে। অধুনা বিরল যৌথ পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখায় নিয়মিত বাসিন্দার সংখ্যাই চল্লিশ ছাড়ানো। তামিমের বিয়ে উপলক্ষে সেটি প্রায় দেড় গুণ হয়ে গেছে। জনসংখ্যার এই আধিক্যে বর নিজেই বাড়িছাড়া! বন্ধুবান্ধব নিয়ে তামিম কদিন আগে উঠেছেন এক হোটেলে।
আলোর মালা পরেছে চট্টগ্রাম ক্লাবও। গত পরশু গায়েহলুদ হয়েছে এখানে। কাল রাতে তামিম ইকবালের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটির আনুষ্ঠানিক শুরুও। তামিমদের বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে পাঁচ-ছয় মিনিটের পথ। আসতে হাতের বাঁয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পড়ে। কাল রাতে পঞ্চাশ সদস্যের ব্যান্ড পার্টির বাজনায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম ক্লাবে আসার পথে তামিম কি একবার স্টেডিয়ামের বাইরের মাঠটার দিকে তাকালেন? ওই মাঠটিতেই যে বোনা হয়েছিল ক্রিকেটার তামিম ইকবালের বীজ।
লাল-নীল বাতির কথা বলছিলাম। এমনিতে এটা বলার মতো কিছু নয়। বিয়েবাড়ি তো এমনই হয়। কিন্তু তামিম ইকবালের বিয়ে তো আর দশটা বিয়ের মতো নয়। তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটাকাশে জ্বলজ্বলে তারকা, বিয়েটাও হচ্ছে তেমনই রাজকীয়। চট্টগ্রামের সীমা ছাড়িয়ে যা এরই মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত বিয়েতে পরিণত। মাস কয়েক আগে সাকিব আল হাসানের বিয়ে নিয়েও সাধারণ্যে এমন প্রবল ঔৎসুক্য ছিল। পার্থক্য হলো, সাকিব কোথায় বিয়ে করছেন, সেটি নিয়েও ছিল ধোঁয়াশা। আর তামিম ইকবালের বিয়ে যেন চট্টগ্রামের সর্বজনীন উৎসব!
গত পরশু রাতে গায়েহলুদে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন দেড় হাজারের মতো। এর চেয়েও হাজার/বারো শ মানুষ বেশি হাজির হওয়ায় চট্টগ্রাম ক্লাবের টেনিস কমপ্লেক্সে রীতিমতো ‘বিশাল এক জনসভা’! আকরামের শ্যালিকাকে বিয়ে করে খান পরিবারের আত্মীয় হয়ে যাওয়া সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ বিস্মিত হয়ে বললেন, ‘এর চেয়েও বড় আয়োজনের বিয়ে দেখেছি। তবে গায়েহলুদে এত মানুষ কখনো দেখিনি!’
বরের তৎপরতাও ছিল ব্যতিক্রমী। মঞ্চে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তামিম নিজেই নেমে পড়লেন অতিথি আপ্যায়নে। আগের রাতে ভোর পর্যন্ত নিজে উপস্থিত থেকে সবকিছু ঠিকঠাক করেছেন। খাবার চেখে দেখেছেন নিজেই। তামিমের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু ও সাংবাদিক মিনহাজউদ্দিন খান একসময় না বলে পারেননি, ‘তুই কি বর, না ইভেন্ট ম্যানেজার! জামাইকে কখনো এত কাজ করতে দেখিনি।’
কথাটা মনে করে কাল বিকেলে তামিম ইকবাল খুব হাসলেন, ‘আসলে আমি চেয়েছি, আমার বিয়েতে সবকিছু যেন একেবারে পারফেক্ট হয়। আর খাবার টেস্ট করার কথা বলছেন? চিটাগংয়ের একটা ট্র্যাডিশন আছে, আপনি বিয়েতে যত আয়োজনই করেন না কেন, খাওয়া ভালো না হলে সর্বনাশ। সবাই বলবে, ধ্যেৎ, কী খাওয়াল এটা! এ জন্যই খাবার নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম।’
গায়েহলুদে ভারত থেকে আসা সারেগামা খ্যাত দুই শিল্পী সহোদর তসী-সারিদার গানের সঙ্গে রাতভর নাচও হয়েছে। নৃত্যশিল্পীরা অবশ্য পেশাদার কেউ নন, সেই ভূমিকায় নেমে গিয়েছিলেন তামিমের চাচা-চাচিরাই। ভিড়ের মধ্যে পাঞ্জাবির পকেট থেকে আইফোন খোয়া যাওয়ার দুঃখ ভুলে আতহার আলী খানও যোগ দিলেন তাঁদের সঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক চার অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন, ফারুক আহমেদ, হাবিবুল বাশার ও খালেদ মাসুদ অবশ্য থাকলেন দর্শকের ভূমিকাতেই।
আক্দ হয়ে গেছে গত পরশু দুপুরেই। কাল রাতে বিয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা। সেটিতে উপচে পড়া ভিড়। তামিম দাওয়াত দিয়েছেন কি দেননি, এটি একেবারেই বিবেচনায় না নিয়ে গেটের বাইরেও হাজার ছাড়ানো মানুষ। সামান্যতম সুযোগেই যারা হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ছেন। ঢুকছেন জনারণ্যে, যেখানে আমন্ত্রিত-অনামন্ত্রিত অতিথিদের গিজগিজে ভিড়ের সঙ্গে টিভি ক্যামেরা আর ফটোসাংবাদিকেরও বিশাল এক দল। শামিয়ানার নিচে বিশাল সব বরফখণ্ড রেখে গরম কমানোর প্রচেষ্টা যে কারণে একেবারেই ব্যর্থ।
এই অনুষ্ঠান রাত ১০টার আগে শুরু হবে না জানা ছিল। পত্রিকার ডেডলাইনের তাড়া আছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে বরকে এটা-ওটা জিজ্ঞেস করাটাও বেরসিকের কাজ। বরযাত্রার ঘণ্টা তিনেক আগেই তাই সেটি সেরে ফেলতে হলো মুঠোফোনে। তামিম, নতুন জীবন শুরুর অনুভূতির সঙ্গে কি ওয়ানডে বা টেস্ট অভিষেককে মেলানো যায়? না, যায় না। তামিম ইকবাল পেশাদার জীবন আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদাই রাখতে চান, এটা একটা কারণ। এর চেয়েও বড় কারণ ২০০১ সালে প্রয়াত বাবা ইকবাল খান। ‘আমি ক্রিকেটার হয়েছি আব্বুর স্বপ্নপূরণের জন্য। আব্বুর স্বপ্নের সঙ্গে আমি কিছুকেই মেলাতে রাজি নই’—বলার সময় তামিমের কণ্ঠটা একটু ধরে এল।
আট বছরে অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দেওয়া প্রেম অবশ্য ক্রিকেটের একটা অনুভূতির সঙ্গে বিয়েটাকে মিলিয়ে দিচ্ছে তামিমের কাছে, ‘একজন ক্রিকেটার অনেক বছর খেলার পর যখন জাতীয় দলে ডাক পায়, আমার বিয়েটাও ওরকম। কাজি যখন ‘কবুল’ বলছিলেন, মনে হচ্ছিল সিলেক্টররা জাতীয় দলে আমার নাম ঘোষণা করছেন!’
তারকাদের বিয়ের পর অবশ্যম্ভাবী কৌতূহল থাকে হানিমুন নিয়ে। ক্রিকেটই তামিমকে করে দিচ্ছে স্বপ্নের একটা হানিমুন কাটানোর সুযোগ। বউকে নিয়ে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট লিগে খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবেন। কল্পচোখে দেখতে পাচ্ছেন নীল সাগর আর সাদা বালুর অবারিত সৈকত। পাশে তাঁর চোখে আশ্চর্য এক মানবী।
ক্রিকেট নিয়ে হাজারো স্বপ্নের ভিড়েও গত আট বছর এই দৃশ্যটাই তো কল্পনা করে এসেছেন তামিম ইকবাল।
No comments