নাজুক আওয়ামী লীগ-জনসংযোগে মনোযোগী হতে হবে
খবরটি আওয়ামী লীগের মতো একটি গণমুখী দলের
জন্য নিতান্তই নেতিবাচক। বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী
হয়েছিল আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষ থেকে করা সম্প্রতি একটি জরিপের ফল বলছে, দলের
জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ও সেই একই ইঙ্গিত দেয়। জনপ্রিয়তার পারদ নিম্নমুখী হওয়া কোনো রাজনৈতিক দলের জন্যই শুভকর নয়।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী বিজয়কে অনেকেই ভূমিধস বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। গত চার বছরে আওয়ামী লীগ সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে কতটুকু সচেষ্ট ছিল? প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আস্থাভাজন একটি টিম দিয়ে দেশের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে এই জরিপ চালিয়েছেন। জরিপের ফল থেকে দেখা যাচ্ছে, শতাধিক নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর আমলনামা তাঁর কাছে আছে। দলের এমপিদের এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দলীয়প্রধানের সেই সাবধানবাণী দলের সংসদ সদস্য ও নেতাদের কতটুকু সচেতন করতে পেরেছে? জরিপে দেখা যাচ্ছে, শুধু সংসদ সদস্যরাই নন, অনেক মন্ত্রীও রয়েছেন ঝুঁকির তালিকায়। এলাকায় উপদলীয় কোন্দল জিইয়ে রাখা, দলের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়াসহ দুর্নীতি ও দখলদারিত্ব আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাসের অন্যতম কারণ। গত চার বছরে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ কতটা কার্যকর ছিল, সেটাও বিবেচনার বিষয়। দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে শীর্ষ স্তর পর্যন্ত দলকে সংগঠিত করা যায়নি। সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নানা কর্মকাণ্ডও দলটির জনপ্রিয়তা হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কর্মী-সমর্থকদের হতাশা। অন্যদিকে শেয়ারবাজার, পদ্মা সেতু, হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ কিছু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, মন্ত্রীদের লাগামহীন বক্তব্য, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন, নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে ব্যর্থতাও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
গণমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে এই জরিপ প্রতিবছর করতে হতো। সে অনুযায়ী দলের ভেতরে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের নাজুক পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। এখন সরকারের শেষ সময়ে এসে জনপ্রিয়তার এই ধস থেকে দলকে রক্ষা করা কতটা সম্ভব, সেটা নির্ভর করে দলের নেতৃত্বের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর। তারা সেই কাজে কতটা সফল হবে তা জানার জন্য আমাদের আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
জরিপটি আওয়ামী লীগের হলেও এটা সব রাজনৈতিক দলের জন্যই সতর্ক সংকেত। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যে যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্যই বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে- এই জরিপ তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। জনসংযোগই একটি রাজনৈতিক দলের গণমুখী পরিচয় তুলে ধরে বলে আমরা মনে করি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী বিজয়কে অনেকেই ভূমিধস বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। গত চার বছরে আওয়ামী লীগ সেই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে কতটুকু সচেষ্ট ছিল? প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আস্থাভাজন একটি টিম দিয়ে দেশের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে এই জরিপ চালিয়েছেন। জরিপের ফল থেকে দেখা যাচ্ছে, শতাধিক নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর আমলনামা তাঁর কাছে আছে। দলের এমপিদের এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দলীয়প্রধানের সেই সাবধানবাণী দলের সংসদ সদস্য ও নেতাদের কতটুকু সচেতন করতে পেরেছে? জরিপে দেখা যাচ্ছে, শুধু সংসদ সদস্যরাই নন, অনেক মন্ত্রীও রয়েছেন ঝুঁকির তালিকায়। এলাকায় উপদলীয় কোন্দল জিইয়ে রাখা, দলের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়াসহ দুর্নীতি ও দখলদারিত্ব আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাসের অন্যতম কারণ। গত চার বছরে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ কতটা কার্যকর ছিল, সেটাও বিবেচনার বিষয়। দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে শীর্ষ স্তর পর্যন্ত দলকে সংগঠিত করা যায়নি। সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের নানা কর্মকাণ্ডও দলটির জনপ্রিয়তা হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কর্মী-সমর্থকদের হতাশা। অন্যদিকে শেয়ারবাজার, পদ্মা সেতু, হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ কিছু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, মন্ত্রীদের লাগামহীন বক্তব্য, বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন, নির্বাচনী ওয়াদা পূরণে ব্যর্থতাও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
গণমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে এই জরিপ প্রতিবছর করতে হতো। সে অনুযায়ী দলের ভেতরে সিদ্ধান্ত নিলে আজকের নাজুক পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না। এখন সরকারের শেষ সময়ে এসে জনপ্রিয়তার এই ধস থেকে দলকে রক্ষা করা কতটা সম্ভব, সেটা নির্ভর করে দলের নেতৃত্বের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ওপর। তারা সেই কাজে কতটা সফল হবে তা জানার জন্য আমাদের আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
জরিপটি আওয়ামী লীগের হলেও এটা সব রাজনৈতিক দলের জন্যই সতর্ক সংকেত। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যে যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্যই বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে- এই জরিপ তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। জনসংযোগই একটি রাজনৈতিক দলের গণমুখী পরিচয় তুলে ধরে বলে আমরা মনে করি।
No comments