বাজল তামিমের বিয়ের সানাই by প্রণব বল
বৃষ্টির ঝাপটা তখন কমে এসেছে। ঝরছে ঝিরি
ঝিরি ঝরনার মতো। ত্রিপল ঢাকা টেনিস কমপ্লেক্স উদ্যানে অপেক্ষমাণ হাজারো
নর-নারী। অপেক্ষা নাকি প্রতীক্ষা! ইতিহাসের সাক্ষী বলে কথা। ক্লান্তিহীন এই
প্রতীক্ষা তামিম ইকবাল দম্পতির জন্য।
বিশ্বের বাঘা বাঘা বোলারদের ঘুম হারাম করা এই মারকুটে ব্যাটসম্যান শুরু করছেন জীবনের ইনিংস।
চট্টগ্রাম ক্লাবের টেনিস কমপ্লেক্সের এই চিত্রটি সুখের। বাইরে সারি সারি গাড়ি। ফটকের সামনে গিজ গিজ করছে গায়ে হলুদ কিংবা বিয়ের নিমন্ত্রণবঞ্চিত তামিমভক্ত। যান ও জনজট মোকাবিলায় ত্রাহি অবস্থা পুলিশের। ভেতরে-বাইরে সবখানে একই সুর—‘কখন আসবে, কখন আসবে।’ রাত নয়ট ৪০ মিনিটে মঞ্চমুখী মুখগুলো প্রবেশদ্বারের দিকে ঘুরে গেল। প্রথমে আয়েশা সিদ্দিকা, অনেক তরুণীর হূদয়ে লালিত স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া তামিম সহধর্মিণী। কয়েক মিনিট পরই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তামিম ইকবাল মঞ্চে হাজির। সঙ্গে সঙ্গে হর্ষধ্বনি, করতালি আর চিরায়ত ঢোল বাদন।
ক্লিক করে উঠল হাজার ক্যামেরা। জনপ্রিয় এই জুটিকে ক্যামেরাবন্দী করার প্রতিযোগিতা সামাল দিতে হিমশিম খেলেন স্বয়ং বিসিবির প্রধান নির্বাচক তামিমের চাচা আকরাম খান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলা কেক কাটা প্রতিটি ক্ষণ উপভোগ করেছেন উপস্থিত অতিথিরা। পাশাপাশি আতাহার আলী খান, হাবিবুল বাশার, ফারুক আহমেদ, খালেদ মাসুদের মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতিও যেন চোখ এড়িয়ে না যায় এমন চেষ্টা সকলের। সাবেক তারকা তামিম অগ্রজ নাফিস ইকবালও কম কিসে! তিনিও ব্যস্ত গায়ে হলুদ ব্যবস্থাপনায়। খান পরিবারের উজ্জ্বলতম মানুষ তামিমের বিয়েতে নাচ-গান পরিবেশনের জন্য আনা হয়েছে ভারত থেকে একটি দল। রাতে তাঁরা চট্টগ্রাম ক্লাবের আলো আঁধারিতে সুরের ঢেউ তুলেছে। কিন্তু তার আগে ভাইয়ের বিয়েটি আনন্দ উৎসবে স্মরণীয় করে রাখল ছোট ভাই বোনেরা। হয়তো অনেক আগে থেকে এমন প্রস্তুতি চলছে তাঁদের। গায়ে হলুদের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁরা নেমে পড়ল মঞ্চে। হিন্দি ও উর্দু গানের সঙ্গে নেচে গেয়ে উপস্থিত অতিথিদের মাতিয়ে রাখল তামিম অনুজেরা।
তামিম পরিবারের পর আয়েশার পরিবার। হিন্দি ও উর্দুকে টক্কর দিতে আয়েশার দিকের ছোট ভাই বোনেরা মঞ্চে হাজির বাংলা নিয়ে। তাও দুই শিশু। দাঁড় হাতে একজন নৌকার মাঝি অন্যজন বাঙালি ললনা। সঙ্গে আরও কিছু সখী। নেপথ্যে ভেসে এলো ‘সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা, তোমার বেলায় নেব সখী তোমার কানের সোনা, সখীগো আমি প্রেমের ঘাটের মাঝি... তোমার বেলায় পয়সা নেব না।’ পাশ্চাত্য ছাপিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান।
চট্টগ্রাম ক্লাবের টেনিস কমপ্লেক্সের এই চিত্রটি সুখের। বাইরে সারি সারি গাড়ি। ফটকের সামনে গিজ গিজ করছে গায়ে হলুদ কিংবা বিয়ের নিমন্ত্রণবঞ্চিত তামিমভক্ত। যান ও জনজট মোকাবিলায় ত্রাহি অবস্থা পুলিশের। ভেতরে-বাইরে সবখানে একই সুর—‘কখন আসবে, কখন আসবে।’ রাত নয়ট ৪০ মিনিটে মঞ্চমুখী মুখগুলো প্রবেশদ্বারের দিকে ঘুরে গেল। প্রথমে আয়েশা সিদ্দিকা, অনেক তরুণীর হূদয়ে লালিত স্বপ্ন ভেঙে দেওয়া তামিম সহধর্মিণী। কয়েক মিনিট পরই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তামিম ইকবাল মঞ্চে হাজির। সঙ্গে সঙ্গে হর্ষধ্বনি, করতালি আর চিরায়ত ঢোল বাদন।
ক্লিক করে উঠল হাজার ক্যামেরা। জনপ্রিয় এই জুটিকে ক্যামেরাবন্দী করার প্রতিযোগিতা সামাল দিতে হিমশিম খেলেন স্বয়ং বিসিবির প্রধান নির্বাচক তামিমের চাচা আকরাম খান। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলা কেক কাটা প্রতিটি ক্ষণ উপভোগ করেছেন উপস্থিত অতিথিরা। পাশাপাশি আতাহার আলী খান, হাবিবুল বাশার, ফারুক আহমেদ, খালেদ মাসুদের মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতিও যেন চোখ এড়িয়ে না যায় এমন চেষ্টা সকলের। সাবেক তারকা তামিম অগ্রজ নাফিস ইকবালও কম কিসে! তিনিও ব্যস্ত গায়ে হলুদ ব্যবস্থাপনায়। খান পরিবারের উজ্জ্বলতম মানুষ তামিমের বিয়েতে নাচ-গান পরিবেশনের জন্য আনা হয়েছে ভারত থেকে একটি দল। রাতে তাঁরা চট্টগ্রাম ক্লাবের আলো আঁধারিতে সুরের ঢেউ তুলেছে। কিন্তু তার আগে ভাইয়ের বিয়েটি আনন্দ উৎসবে স্মরণীয় করে রাখল ছোট ভাই বোনেরা। হয়তো অনেক আগে থেকে এমন প্রস্তুতি চলছে তাঁদের। গায়ে হলুদের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁরা নেমে পড়ল মঞ্চে। হিন্দি ও উর্দু গানের সঙ্গে নেচে গেয়ে উপস্থিত অতিথিদের মাতিয়ে রাখল তামিম অনুজেরা।
তামিম পরিবারের পর আয়েশার পরিবার। হিন্দি ও উর্দুকে টক্কর দিতে আয়েশার দিকের ছোট ভাই বোনেরা মঞ্চে হাজির বাংলা নিয়ে। তাও দুই শিশু। দাঁড় হাতে একজন নৌকার মাঝি অন্যজন বাঙালি ললনা। সঙ্গে আরও কিছু সখী। নেপথ্যে ভেসে এলো ‘সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা, তোমার বেলায় নেব সখী তোমার কানের সোনা, সখীগো আমি প্রেমের ঘাটের মাঝি... তোমার বেলায় পয়সা নেব না।’ পাশ্চাত্য ছাপিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান।
No comments