যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভার আলোর পথের যাত্রীরা by রানা শিকদার
সাভারের রানা প্লাজার সপ্তম তলায় কাজ
করতেন রোমানা আক্তার। ভবনে ফাটল ধরায় কারখানায় ঢুকতে চাননি সেদিন। চাপের
মুখে পড়ে ঢুকতে হয়। ঘড়িতে তখন সাতটা ১৫ বাজে। রোমানার গলা শুকিয়ে আসছিল।
মেশিন চলছিল।
কিন্তু তাঁর হাত চলছিল না। হাতটা কাঁপছিল।
ক্রমেই তাঁর তেষ্টা বাড়তে থাকে। ততক্ষণে সময় গড়িয়ে সাতটা ৪৫-এ ঠেকেছে। পানি
খাওয়ার জন্য যাবেন, সেই মুহূর্তে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। শব্দ শুনে
দৌড়ে সিঁড়ির দিকে যাবে, তখনই সব অন্ধকার হয়ে যায়। তাঁর মনে হচ্ছিল, তিনি
আটকা পড়ে গেছে। একটা ফাঁকা জায়গায় থাকার কারণে বেঁচে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার
করে প্রাইম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোমানা ধরেই নিয়েছিলেন তাঁর জীবনে
আর কখনো আলো ফুটবে না। হয়তো এখানেই থেমে যাবে জীবনের চাকা। কিন্তু তাঁর
জীবনে আবার আশার আলো ফুটল। প্রথম আলো যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভার বন্ধুরা তাঁর
হাতে তুলে দিয়েছে সেলাই মেশিন। যার মাধ্যমে তাঁর পরিবার আবার গতি ফিরে
পাবে।
শুধু রোমানা নন, ফরিদা পারভীন, সালমা খাতুন, মুক্তা বেগম, রাবেয়া আক্তার, শাহিদা বেগম, ছবেদা বেগম ও সায়েরা খাতুন এই আট পরিবারে আটটি সেলাই মেশিন দেয় যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভা।
সাভারে ভবনধসে আহত আট পরিবারের হাতে সেলাই মেশিন প্রদান অনুষ্ঠান হয় ১৪ জুন শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে। অনুষ্ঠানের শুরুতে রানা প্লাজায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভার মোহিত রুবেল, ফাহিমা, তুহিন, রাব্বি, কাজল, রিফাত, হাবিবসহ প্রায় সব বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষিকা মাজিদা রশিদ শিরিন বলেন, ‘বন্ধুসভার এই উদ্যোগ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’ তিনি বন্ধুসভার মেশিন প্রদানে সহায়তা করেন। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধুসভার এ কাজে সহায়তা করে। যাত্রাবাড়ী সিপিজির সভাপতি শেখ আবদুল মোমেন বন্ধুসভার সবাইকে এ ধরনের কাজের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী সভাপতি সাইদুজ্জামান, পর্ষদের সদস্য অরুণ কুমার বিশ্বাস, ঢাকা স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধুরা। যাত্রাবাড়ীর বন্ধুসভার এই উদ্যোগ সবার চোখ খুলে দিয়েছে। মন থেকে চাইলে যেকোনো কিছু করা সম্ভব, সে দৃষ্টান্ত আজ যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভা। অনুষ্ঠানে যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভার আলোর পথের যাত্রীদের অভিনন্দন জানাই।
শুধু রোমানা নন, ফরিদা পারভীন, সালমা খাতুন, মুক্তা বেগম, রাবেয়া আক্তার, শাহিদা বেগম, ছবেদা বেগম ও সায়েরা খাতুন এই আট পরিবারে আটটি সেলাই মেশিন দেয় যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভা।
সাভারে ভবনধসে আহত আট পরিবারের হাতে সেলাই মেশিন প্রদান অনুষ্ঠান হয় ১৪ জুন শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে। অনুষ্ঠানের শুরুতে রানা প্লাজায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভার মোহিত রুবেল, ফাহিমা, তুহিন, রাব্বি, কাজল, রিফাত, হাবিবসহ প্রায় সব বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষিকা মাজিদা রশিদ শিরিন বলেন, ‘বন্ধুসভার এই উদ্যোগ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’ তিনি বন্ধুসভার মেশিন প্রদানে সহায়তা করেন। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধুসভার এ কাজে সহায়তা করে। যাত্রাবাড়ী সিপিজির সভাপতি শেখ আবদুল মোমেন বন্ধুসভার সবাইকে এ ধরনের কাজের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী সভাপতি সাইদুজ্জামান, পর্ষদের সদস্য অরুণ কুমার বিশ্বাস, ঢাকা স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধুসভার বন্ধুরা। যাত্রাবাড়ীর বন্ধুসভার এই উদ্যোগ সবার চোখ খুলে দিয়েছে। মন থেকে চাইলে যেকোনো কিছু করা সম্ভব, সে দৃষ্টান্ত আজ যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভা। অনুষ্ঠানে যাত্রাবাড়ী বন্ধুসভার আলোর পথের যাত্রীদের অভিনন্দন জানাই।
No comments