দুঃসহ গরমে বিদ্যুতের লুকোচুরি by মিঠুন চৌধুরী
তপ্ত দুপুর। খাঁ খাঁ রোদ। যানবাহন চলাচলও
স্বাভাবিকের তুলনায় কম। গণি বেকারি মোড় থেকে কেবি আবদুর সাত্তার সড়কের দিকে
এগিয়ে গেলে রাস্তার ওপর একটা অংশ জুড়ে গাছের ছায়া। সারি দিয়ে দাঁড় করিয়ে
রাখা চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর তিনটি রিকশা।
বেশির ভাগ চালকই ঘুমিয়ে পড়েছেন। গত বুধবার দুপুরের চিত্র এটি।
নগরের সড়ক থেকে বিপণি বিতান, বাসাবাড়ি থেকে অফিস-আদালত সবখানেই একই চিত্র। দিনপঞ্জিতে বর্ষার আগমন ঘটলেও প্রকৃতি এখনো তপ্ত। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা নগরবাসীর। আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও জোরালো বর্ষণ নেই। মধ্যরাতে অথবা সকালে সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতে উষ্ণতা কমছে না। নগরজীবনে এর সঙ্গে বাড়তি যন্ত্রণা হিসেবে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের লুকোচুরি।
দক্ষিণ খুলশী এলাকার সরদার বাহাদুর নগর এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ নাসিমা বেগম বলেন, গত বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছয়বার বিদ্যুৎ গেছে। সন্ধ্যার সময়ই প্রতিদিন বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন গরমে ছেলেমেয়েরা পড়তে বসতে চায় না। স্বল্প আয়ের এই পরিবারের দুই কক্ষের বাসাটিতে মাসিক বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় গড়ে ৫০০ টাকা। জেনারেটরের সংযোগ বাবদ মাসে খরচ হয় আরও ১০০ টাকা।
লোডশেডিংয়ের এই চিত্র শুধু নগরের খুলশী এলাকার নয়। গত কয়েক দিনে নগরের পাথরঘাটা, এনায়েতবাজার, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একই চিত্র পাওয়া গেছে। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি এক ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ চলে যায়। আসে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা গড়ে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর ছিল। এর মধ্যে গত বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫। গত বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। আদ্রতা ছিল ৭২ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ বলেন, বছরের এই সময় আর্দ্রতা থাকে সাধারণত ৬০ শতাংশের মতো। কিন্তু এখন আর্দ্রতা আছে ৭০ শতাংশের ওপর। এ কারণে গরম অনেকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রামের ওপর দুর্বলভাবে অবস্থান করায় বৃষ্টি হচ্ছে না। মৌসুমি বায়ু সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সক্রিয় হলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তখন তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে।
আশাবাদ নেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্যেও। পিডিবি সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। তবে চট্টগ্রামের দৈনিক মোট চাহিদা ৭০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি। সেই হিসাবে রাতের বেলা গড়ে ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। দিনে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট। পিডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যেহেতু মোট চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি আছে তাই বিভিন্ন এলাকার বিতরণ কেন্দ্রগুলোর চাহিদা অনুসারে আনুপাতিক হারে বিদ্যুৎ বণ্টন করা হচ্ছে।
নগরের সড়ক থেকে বিপণি বিতান, বাসাবাড়ি থেকে অফিস-আদালত সবখানেই একই চিত্র। দিনপঞ্জিতে বর্ষার আগমন ঘটলেও প্রকৃতি এখনো তপ্ত। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা নগরবাসীর। আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও জোরালো বর্ষণ নেই। মধ্যরাতে অথবা সকালে সামান্য বৃষ্টি হলেও তাতে উষ্ণতা কমছে না। নগরজীবনে এর সঙ্গে বাড়তি যন্ত্রণা হিসেবে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের লুকোচুরি।
দক্ষিণ খুলশী এলাকার সরদার বাহাদুর নগর এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ নাসিমা বেগম বলেন, গত বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছয়বার বিদ্যুৎ গেছে। সন্ধ্যার সময়ই প্রতিদিন বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন গরমে ছেলেমেয়েরা পড়তে বসতে চায় না। স্বল্প আয়ের এই পরিবারের দুই কক্ষের বাসাটিতে মাসিক বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় গড়ে ৫০০ টাকা। জেনারেটরের সংযোগ বাবদ মাসে খরচ হয় আরও ১০০ টাকা।
লোডশেডিংয়ের এই চিত্র শুধু নগরের খুলশী এলাকার নয়। গত কয়েক দিনে নগরের পাথরঘাটা, এনায়েতবাজার, আন্দরকিল্লা, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একই চিত্র পাওয়া গেছে। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি এক ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ চলে যায়। আসে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা গড়ে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর ছিল। এর মধ্যে গত বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৫। গত বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। আদ্রতা ছিল ৭২ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ বলেন, বছরের এই সময় আর্দ্রতা থাকে সাধারণত ৬০ শতাংশের মতো। কিন্তু এখন আর্দ্রতা আছে ৭০ শতাংশের ওপর। এ কারণে গরম অনেকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রামের ওপর দুর্বলভাবে অবস্থান করায় বৃষ্টি হচ্ছে না। মৌসুমি বায়ু সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সক্রিয় হলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তখন তাপমাত্রাও কিছুটা কমবে।
আশাবাদ নেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্যেও। পিডিবি সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। তবে চট্টগ্রামের দৈনিক মোট চাহিদা ৭০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি। সেই হিসাবে রাতের বেলা গড়ে ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়। দিনে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট। পিডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যেহেতু মোট চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি আছে তাই বিভিন্ন এলাকার বিতরণ কেন্দ্রগুলোর চাহিদা অনুসারে আনুপাতিক হারে বিদ্যুৎ বণ্টন করা হচ্ছে।
No comments