স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা তথ্য যত অ্যানাটমির by আফরিনা হোসেন
গ্রিক পুরাণের বীর অ্যাকিলিসকে মারার
একমাত্র উপায় ছিল পায়ের গোড়ালির এক বিশেষ টেন্ডন, যেখানে তিরবিদ্ধ হয়েই
মারা যান অ্যাকিলিস। এই টেন্ডনটি চিকিৎসাবিদ্যায় ‘অ্যাকিলিসের টেন্ডন’
নামেই পরিচিত।
সুদূর কাল থেকে হাজারো মানুষের অবদান থেকে
চিকিৎসাবিজ্ঞান আজকে এই অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। অ্যানাটমি বা
অঙ্গসংস্থানবিদ্যা রয়েছে এর পুরোভাগে। নামটা খটমট হলেও এই বিষয়টির প্রতি
মেডিকেল পড়ুয়াদের ভালোবাসার যে শেষ নেই, তা আবারও প্রমাণ হলো এসএসএমসি
অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডে। ১২ জুন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (এসএসএমসি)
ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় মেডিকেলবিষয়ক এই অলিম্পিয়াড।
অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডটি আয়োজন করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ‘ডিবেট অ্যান্ড কুইজ সোসাইটি’। পঞ্চম ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা মিলে গড়ে তুলেছেন ক্লাবটি। ক্লাবের লক্ষ্য নিয়ে কথা হয় ডিবেট অ্যান্ড কুইজ সোসাইটির কুইজ উইংয়ের সভাপতি মাসাতো আহসানের সঙ্গে। আহসান বলেন, ‘শুধু গৎবাঁধা পড়াশোনাই নয়, আরও অনেক বিষয়ে আমাদের আগ্রহ রয়েছে। কঠিন পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে তাই আমরা সবাইকে উৎসাহিত করতে চাই বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে।’
নবীন এই ক্লাবটি এরই মধ্যে আয়োজন করেছে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা। ডিবেট উইংয়ের প্রেসিডেন্ট স্বপ্নীল সৌরভ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে আয়োজন করেছি কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজ কার্যক্রম, আর প্রকাশ করেছি দেয়াল পত্রিকা। এই তালিকায় সর্বশেষ আয়োজন অ্যানাটমি অলিম্পিয়াড। আমরা বিতর্ক, কুইজ এসব নিয়ে বিভিন্ন কর্মশালারও আয়োজন করে আসছি।’
পড়াশোনা যে অনেক মজা করেও করা যায়, তারই প্রমাণ এই অলিম্পিয়াড। প্রশ্নগুলো মোটেও বইয়ের একঘেয়ে প্রশ্নের মতো ছিল না। ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাবিলা তাসনিম বলেন, ‘মেডিকেলের কঠিন কঠিন পড়াশোনাও যে মজা করে করা যায়, আমরা তা দেখাতে চেয়েছি। শিক্ষার্থীরা যে মজাও পেয়েছে, তার প্রমাণ প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। সামনের অক্টোবরে সব মেডিকেল কলেজ নিয়ে ‘জাতীয় অ্যানাটমি অলিম্পিয়াড’ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছি আমরা।’
১৬ জুন প্রকাশিত হয় ফলাফল। প্রায় অনেক দিন আগে অ্যানাটমি পড়া হলেও এখনো অ্যানাটমির জ্ঞান যে ভালোমতোই আছে, প্রমাণ করে দেয় পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ+ নম্বর অর্থাৎ ৮০ নম্বর পেয়ে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস’ হওয়ার গৌরব অর্জন করে পঞ্চম বর্ষের রুবায়াত রহমান। প্রথম রানারআপ তৃতীয় বর্ষের সব্যসাচী রায়, দ্বিতীয় রানারআপ পঞ্চম বর্ষের সাকিফ রহমান, তৃতীয় রানারআপ হয় মাহমুদ হাসান, চতুর্থ রানারআপ পঞ্চম বর্ষের অমিত বিক্রম মণ্ডল ও তৃতীয় বর্ষের সুজন। এ ছাড়া প্রতি বর্ষ থেকেই আবারও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদেরও নাম ঘোষণা করা হয়।
‘অ্যানাটমি বিষয়টা আমার সব সময়ই পছন্দের। যেহেতু একজন শল্যচিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, এর জন্য অ্যানাটমি ভালোমতো জানাটা খুবই জরুরি। মানবদেহের কলকবজা জানলেই ভালোমতো এর রোগগুলো সম্পর্কেও জানা সম্ভব। তাই ভবিষ্যতে এ রকম আরও অনেক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হোক’—বললেন অলিম্পিয়াড চ্যাম্পিয়ন রুবায়াত রহমান।
অ্যানাটমি অলিম্পিয়াডটি আয়োজন করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ‘ডিবেট অ্যান্ড কুইজ সোসাইটি’। পঞ্চম ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা মিলে গড়ে তুলেছেন ক্লাবটি। ক্লাবের লক্ষ্য নিয়ে কথা হয় ডিবেট অ্যান্ড কুইজ সোসাইটির কুইজ উইংয়ের সভাপতি মাসাতো আহসানের সঙ্গে। আহসান বলেন, ‘শুধু গৎবাঁধা পড়াশোনাই নয়, আরও অনেক বিষয়ে আমাদের আগ্রহ রয়েছে। কঠিন পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে তাই আমরা সবাইকে উৎসাহিত করতে চাই বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে।’
নবীন এই ক্লাবটি এরই মধ্যে আয়োজন করেছে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতা। ডিবেট উইংয়ের প্রেসিডেন্ট স্বপ্নীল সৌরভ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে আয়োজন করেছি কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজ কার্যক্রম, আর প্রকাশ করেছি দেয়াল পত্রিকা। এই তালিকায় সর্বশেষ আয়োজন অ্যানাটমি অলিম্পিয়াড। আমরা বিতর্ক, কুইজ এসব নিয়ে বিভিন্ন কর্মশালারও আয়োজন করে আসছি।’
পড়াশোনা যে অনেক মজা করেও করা যায়, তারই প্রমাণ এই অলিম্পিয়াড। প্রশ্নগুলো মোটেও বইয়ের একঘেয়ে প্রশ্নের মতো ছিল না। ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাবিলা তাসনিম বলেন, ‘মেডিকেলের কঠিন কঠিন পড়াশোনাও যে মজা করে করা যায়, আমরা তা দেখাতে চেয়েছি। শিক্ষার্থীরা যে মজাও পেয়েছে, তার প্রমাণ প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। সামনের অক্টোবরে সব মেডিকেল কলেজ নিয়ে ‘জাতীয় অ্যানাটমি অলিম্পিয়াড’ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছি আমরা।’
১৬ জুন প্রকাশিত হয় ফলাফল। প্রায় অনেক দিন আগে অ্যানাটমি পড়া হলেও এখনো অ্যানাটমির জ্ঞান যে ভালোমতোই আছে, প্রমাণ করে দেয় পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ+ নম্বর অর্থাৎ ৮০ নম্বর পেয়ে ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস’ হওয়ার গৌরব অর্জন করে পঞ্চম বর্ষের রুবায়াত রহমান। প্রথম রানারআপ তৃতীয় বর্ষের সব্যসাচী রায়, দ্বিতীয় রানারআপ পঞ্চম বর্ষের সাকিফ রহমান, তৃতীয় রানারআপ হয় মাহমুদ হাসান, চতুর্থ রানারআপ পঞ্চম বর্ষের অমিত বিক্রম মণ্ডল ও তৃতীয় বর্ষের সুজন। এ ছাড়া প্রতি বর্ষ থেকেই আবারও প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদেরও নাম ঘোষণা করা হয়।
‘অ্যানাটমি বিষয়টা আমার সব সময়ই পছন্দের। যেহেতু একজন শল্যচিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, এর জন্য অ্যানাটমি ভালোমতো জানাটা খুবই জরুরি। মানবদেহের কলকবজা জানলেই ভালোমতো এর রোগগুলো সম্পর্কেও জানা সম্ভব। তাই ভবিষ্যতে এ রকম আরও অনেক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হোক’—বললেন অলিম্পিয়াড চ্যাম্পিয়ন রুবায়াত রহমান।
No comments