'মনে হয় প্রধানমন্ত্রী উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন'
দেশের চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে
সরকারদলীয় মেয়র পদপ্রার্থীদের পরাজয়ের পর সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মনে হয়,
প্রধানমন্ত্রী উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।
তিনি চারটি সিটি
করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পরাজয় সহজভাবে মেনে নিতে
পারেননি। তিনি বুঝতে পেরেছেন, সিটি নির্বাচনের এ প্রভাব আগামী জাতীয়
নির্বাচনেও পড়বে।' আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন,
আগামী জাতীয় নির্বাচনেও তাঁর দল পরাজিত হবে। এ আশঙ্কায়ই বিভিন্ন সময়ে
বিভিন্ন ধরনের কথা বলছেন।'
শুক্রবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক গোলাম মোর্তজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আল নোমান সমসাময়িক রাজনীতি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগেও একবার সিঙ্গাপুর থেকে এসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। আবার তিনি সিঙ্গাপুর গেছেন, নিশ্চই আবারও কোনো ষড়যন্ত্র করছেন। তা ছাড়া সিঙ্গাপুরে এরশাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে তো রীতিমতো দেশে বেশ আলোচনাই হয়ে গেল। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বিষয়টি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?'
সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর হাতেই রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা। তাঁর কথার গুরুত্ব অবশ্যই থাকার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে তিনি একেক সময় একেক কথা বলাতে দেশের মানুষ তা সিরিয়াসভাবে নিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর কথা মানুষের কাছে অনেক সময় হাস্যকর মনে হয়।' তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া এর আগেও চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন। সে সময়ও প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন। এবারও বলছেন।'
এ সময় সঞ্চালক বলেন, 'সেবার খালেদা জিয়া দেশে ফিরে হেফাজতের সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং সরকার উৎখাতের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। সেটা কি এক ধরনের ষড়যন্ত্র মনে হয় না?'
জবাবে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে কী জন্য গেছেন, সেটা সবাই জানে। তিনি বছরে কয়েকবার যান চিকিৎসার জন্য। সে ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এখন সিঙ্গাপুরে আছেন। এটা গোপন কিছু নয়। চিকিৎসার জন্য গিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রশ্নই আসে না। আর তা ছাড়া আমরা তো স্পষ্টতই বলেছি, সিঙ্গাপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের কোনো বৈঠক হয়নি।' তিনি বলেন, 'একজন রাজনীতিবিদের আরেকজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হতেই পারে। সেটা তো দোষের কিছু না। এখন যদি এরশাদ মহাজোট থেকে বেরিয়ে কোনো জোটে না গিয়ে একলা নির্বাচন করেন, তাতেও কি কোনো সমস্যা আছে? আসলে প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, এরশাদকে ছাড়া তাঁর ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এরশাদকে এত চোখে চোখে রাখছেন।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আচ্ছা এত নির্বাচন হলো; সরকার নিজে হেরে গিয়েও সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করেছে। তাতে কি আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো ধন্যবাদ পেতে পারে না?'
জবাবে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'না, সরকার কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করেনি। বরং বলা যায়, সরকার কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ দেশের জনগণ সোচ্চার ছিল।' নোমান বলেন, 'নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন করেছে। তারা কিন্তু সরকারের ইশারার বাইরে যেতে পারেনি।' তিনি বলেন, 'আমি সিটি নির্বাচনের সময় বরিশাল গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম, বিএনপির প্রার্থী কামালের দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হলো। অথচ নির্বাচন কমিশন বলল, আমরা এসপিকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। আবার নির্বাচনের এক দিন আগেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী বিলবোর্ডে বরিশাল নগরী ছেয়ে গেল। এ বিষয়ে বরিশালের রিটার্নিং অফিসারকে জানালে তিনি বললেন, এগুলো সরানোর জন্য সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে। তার মানে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রশাসনিক খবরদারির বাইরে ছিল না।
শুক্রবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক গোলাম মোর্তজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আল নোমান সমসাময়িক রাজনীতি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগেও একবার সিঙ্গাপুর থেকে এসে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। আবার তিনি সিঙ্গাপুর গেছেন, নিশ্চই আবারও কোনো ষড়যন্ত্র করছেন। তা ছাড়া সিঙ্গাপুরে এরশাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক নিয়ে তো রীতিমতো দেশে বেশ আলোচনাই হয়ে গেল। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বিষয়টি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?'
সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তাঁর হাতেই রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা। তাঁর কথার গুরুত্ব অবশ্যই থাকার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে তিনি একেক সময় একেক কথা বলাতে দেশের মানুষ তা সিরিয়াসভাবে নিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর কথা মানুষের কাছে অনেক সময় হাস্যকর মনে হয়।' তিনি বলেন, 'খালেদা জিয়া এর আগেও চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন। সে সময়ও প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন। এবারও বলছেন।'
এ সময় সঞ্চালক বলেন, 'সেবার খালেদা জিয়া দেশে ফিরে হেফাজতের সংগ্রামের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং সরকার উৎখাতের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। সেটা কি এক ধরনের ষড়যন্ত্র মনে হয় না?'
জবাবে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুরে কী জন্য গেছেন, সেটা সবাই জানে। তিনি বছরে কয়েকবার যান চিকিৎসার জন্য। সে ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এখন সিঙ্গাপুরে আছেন। এটা গোপন কিছু নয়। চিকিৎসার জন্য গিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রশ্নই আসে না। আর তা ছাড়া আমরা তো স্পষ্টতই বলেছি, সিঙ্গাপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এরশাদের কোনো বৈঠক হয়নি।' তিনি বলেন, 'একজন রাজনীতিবিদের আরেকজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হতেই পারে। সেটা তো দোষের কিছু না। এখন যদি এরশাদ মহাজোট থেকে বেরিয়ে কোনো জোটে না গিয়ে একলা নির্বাচন করেন, তাতেও কি কোনো সমস্যা আছে? আসলে প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন, এরশাদকে ছাড়া তাঁর ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই এরশাদকে এত চোখে চোখে রাখছেন।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আচ্ছা এত নির্বাচন হলো; সরকার নিজে হেরে গিয়েও সুষ্ঠু নির্বাচনের চেষ্টা করেছে। তাতে কি আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো ধন্যবাদ পেতে পারে না?'
জবাবে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'না, সরকার কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করেনি। বরং বলা যায়, সরকার কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ দেশের জনগণ সোচ্চার ছিল।' নোমান বলেন, 'নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন করেছে। তারা কিন্তু সরকারের ইশারার বাইরে যেতে পারেনি।' তিনি বলেন, 'আমি সিটি নির্বাচনের সময় বরিশাল গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম, বিএনপির প্রার্থী কামালের দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হলো। অথচ নির্বাচন কমিশন বলল, আমরা এসপিকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। আবার নির্বাচনের এক দিন আগেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী বিলবোর্ডে বরিশাল নগরী ছেয়ে গেল। এ বিষয়ে বরিশালের রিটার্নিং অফিসারকে জানালে তিনি বললেন, এগুলো সরানোর জন্য সিটি করপোরেশনকে বলা হয়েছে। তার মানে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রশাসনিক খবরদারির বাইরে ছিল না।
No comments