সিবিএস নিউজের দাবি-ম্যান্ডেলা ভালো নেই
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন
ম্যান্ডেলার প্রকৃত অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। সরকার দাবি করছে,
ম্যান্ডেলার অবস্থা উন্নতির দিকে। চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন তিনি।
তবে হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ চ্যানেল সিবিএস
জানিয়েছে, ম্যান্ডেলা চিকিৎসায় সে অর্থে সাড়া দিচ্ছেন না। তাঁর লিভার ও
কিডনি ৫০ শতাংশ কাজ করছে। বেশ কয়েক দিন হলো তিনি চোখই খুলছেন না।
ম্যান্ডেলাকে নিয়ে সরকারের রাখঢাক এবং নানা সূত্র থেকে নানা রকম খবর ছড়িয়ে
পড়ায় কিংবদন্তি এ নেতাকে নিয়ে সংশয় আরো জোরালো হচ্ছে।
নিউমোনিয়া থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় গত ৮ জুন প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিন হার্ট হাসপাতালে ম্যান্ডেলাকে ভর্তি করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার মুখপাত্র ম্যাক মহারাজ জানান, ম্যান্ডেলার অবস্থা গুরুতর হলেও স্থিতিশীল। পরে প্রেসিডেন্ট জুমা জানান, ম্যান্ডেলার অবস্থা 'চরম গুরুতর' হলেও স্থিতিশীল। এ মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি আবার জানান, মাদিবা (ম্যান্ডেলার গোত্রের দেওয়া নাম) চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ম্যান্ডেলার নাতি এনদাবা ম্যান্ডেলা বলেন, 'আশার কথা হলো, দিন দিন তাঁর (ম্যান্ডেলা) অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারব।'
গত ডিসেম্বর থেকে এ নিয়ে চতুর্থ দফায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ম্যান্ডেলাকে। গতকাল শনিবার হাসপাতালে টানা ১৫ দিন পার করেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে সিবিএস গত শুক্রবার জানায়, ম্যান্ডেলা ভালো নেই। তাঁর লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেছে। সেগুলো ৫০ শতাংশেরও কম সক্রিয় আছে। চিকিৎসকরা তাঁর আলসার সারানোর চেষ্টা করছে। তাঁর শরীরের ভেতর একটি নল ঢোকানো হয়েছে। তবে কেন ওই নল ঢোকানো হয়েছে তা জানা যায়নি। ওই সূত্রের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ম্যান্ডেলার অবস্থা সম্পর্কে যে বিবৃতি দিচ্ছে প্রকৃত অবস্থা আসলে তার চেয়েও বেশি গুরুতর।
সিবিএস আরো জানিয়েছে, গত ৮ জুন ম্যান্ডেলাকে অ্যাম্বু্বল্যান্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অ্যাম্বুল্যান্সটি বিকল হয়ে যায়। পরে আরেকটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয় অ্যাম্বুল্যান্স আসতে সময় লেগেছিল ৪০ মিনিট। পুরোটা সময় ম্যান্ডেলাকে বিকল অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতর অপেক্ষা করতে হয়েছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে চ্যানেলটি জানায়, তীব্র শীতের মধ্যে গাড়ি স্থানান্তর করার সময় তাঁর শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে ম্যাক মহারাজের দাবি, এ জন্য ম্যান্ডেলার শরীরের ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি। কিংবদন্তি নেতার চিকিৎসা নিয়ে তাঁরা কোনো আপস করবেন না।
নিউমোনিয়া থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় গত ৮ জুন প্রিটোরিয়ার মেডিক্লিন হার্ট হাসপাতালে ম্যান্ডেলাকে ভর্তি করা হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার মুখপাত্র ম্যাক মহারাজ জানান, ম্যান্ডেলার অবস্থা গুরুতর হলেও স্থিতিশীল। পরে প্রেসিডেন্ট জুমা জানান, ম্যান্ডেলার অবস্থা 'চরম গুরুতর' হলেও স্থিতিশীল। এ মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি আবার জানান, মাদিবা (ম্যান্ডেলার গোত্রের দেওয়া নাম) চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ম্যান্ডেলার নাতি এনদাবা ম্যান্ডেলা বলেন, 'আশার কথা হলো, দিন দিন তাঁর (ম্যান্ডেলা) অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারব।'
গত ডিসেম্বর থেকে এ নিয়ে চতুর্থ দফায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ম্যান্ডেলাকে। গতকাল শনিবার হাসপাতালে টানা ১৫ দিন পার করেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে সিবিএস গত শুক্রবার জানায়, ম্যান্ডেলা ভালো নেই। তাঁর লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেছে। সেগুলো ৫০ শতাংশেরও কম সক্রিয় আছে। চিকিৎসকরা তাঁর আলসার সারানোর চেষ্টা করছে। তাঁর শরীরের ভেতর একটি নল ঢোকানো হয়েছে। তবে কেন ওই নল ঢোকানো হয়েছে তা জানা যায়নি। ওই সূত্রের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ম্যান্ডেলার অবস্থা সম্পর্কে যে বিবৃতি দিচ্ছে প্রকৃত অবস্থা আসলে তার চেয়েও বেশি গুরুতর।
সিবিএস আরো জানিয়েছে, গত ৮ জুন ম্যান্ডেলাকে অ্যাম্বু্বল্যান্সে করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অ্যাম্বুল্যান্সটি বিকল হয়ে যায়। পরে আরেকটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয় অ্যাম্বুল্যান্স আসতে সময় লেগেছিল ৪০ মিনিট। পুরোটা সময় ম্যান্ডেলাকে বিকল অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতর অপেক্ষা করতে হয়েছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের বরাত দিয়ে চ্যানেলটি জানায়, তীব্র শীতের মধ্যে গাড়ি স্থানান্তর করার সময় তাঁর শরীরের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে ম্যাক মহারাজের দাবি, এ জন্য ম্যান্ডেলার শরীরের ওপর কোনো প্রভাব পড়েনি। কিংবদন্তি নেতার চিকিৎসা নিয়ে তাঁরা কোনো আপস করবেন না।
No comments