নাসিরাবাদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং
নগরের নাসিরাবাদ এলাকায় বিদ্যুতের
লুকোচুরি খেলা চলছেই। দিনে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের ঘটনাও
ঘটেছে এই এলাকায়। বিদ্যুতের যাওয়া-আসার খেলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ব্যাহত
হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও।
গত মে ও চলতি জুন
মাসে এই এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। ঘণ্টায় একাধিকবার
বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। এতে প্রায় সময় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক
যন্ত্রপাতি।
নাসিরাবাদ এলাকার একটি বাণিজ্যিক ভবনের জেনারেটর ব্যবহারের হিসাব থেকে দেখা যায়, গত মে মাসে প্রায় ৬৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। চলতি জুন মাসের প্রথম ১৩ দিনে লোডশেডিং হয়েছে ৬২ ঘণ্টা। এর মধ্যে চলতি মাসের ৪ জুন সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এ ছাড়া ১, ২, ৩, ১১ ও ১২ জুন এই এলাকায় গড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ ছিল না।
হিলভিউ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সায়েদুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ কখন যায় আর কখন আসে সেটাই তো বুঝতে পারি না। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কয়েকদিন আগে বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলার কারণে আইপিএসের ব্যাটারিও অকেজো হয়ে গেছে।
এই এলাকার এএস টাওয়ারে অবস্থিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা-এর সাংবাদিক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুতের যাওয়া আসার খেলায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার বিঘ্নিত হচ্ছে। গত সপ্তাহে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময়ও একবার বিদ্যুৎ চলে যায়। খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি।’
নগরের প্রর্বতক মোড়-সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরের প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা (সিওও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে সেবা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমাদের নিজস্ব জেনারেটর রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বেশি লোডশেডিং হওয়ায় সার্বিক খরচও বেড়ে যাচ্ছে।’ নাসিরাবাদ এলাকার লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দৈনিক ৪০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গড়ে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাই। নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা এই কেন্দ্রের অধীনে। তাই শিল্প-কারখানাকে প্রাধান্য দিতে হয়। বাস্তব কারণেই আবাসিক এলাকা বা অন্য কোথাও লোডশেডিং একটু বেশি হতে পারে।’
নাসিরাবাদ এলাকার একটি বাণিজ্যিক ভবনের জেনারেটর ব্যবহারের হিসাব থেকে দেখা যায়, গত মে মাসে প্রায় ৬৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। চলতি জুন মাসের প্রথম ১৩ দিনে লোডশেডিং হয়েছে ৬২ ঘণ্টা। এর মধ্যে চলতি মাসের ৪ জুন সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এ ছাড়া ১, ২, ৩, ১১ ও ১২ জুন এই এলাকায় গড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ ছিল না।
হিলভিউ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সায়েদুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ কখন যায় আর কখন আসে সেটাই তো বুঝতে পারি না। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে কয়েকদিন আগে বৈদ্যুতিক পাখা নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলার কারণে আইপিএসের ব্যাটারিও অকেজো হয়ে গেছে।
এই এলাকার এএস টাওয়ারে অবস্থিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা-এর সাংবাদিক তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুতের যাওয়া আসার খেলায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার বিঘ্নিত হচ্ছে। গত সপ্তাহে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময়ও একবার বিদ্যুৎ চলে যায়। খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি।’
নগরের প্রর্বতক মোড়-সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরের প্রধান পরিচলন কর্মকর্তা (সিওও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে সেবা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমাদের নিজস্ব জেনারেটর রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বেশি লোডশেডিং হওয়ায় সার্বিক খরচও বেড়ে যাচ্ছে।’ নাসিরাবাদ এলাকার লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দৈনিক ৪০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে গড়ে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাই। নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা এই কেন্দ্রের অধীনে। তাই শিল্প-কারখানাকে প্রাধান্য দিতে হয়। বাস্তব কারণেই আবাসিক এলাকা বা অন্য কোথাও লোডশেডিং একটু বেশি হতে পারে।’
No comments