ক্ষমার মেয়াদ বাড়াতে ফের অনুরোধ বাংলাদেশের by মেহেদী হাসান
ইকামা (কাজ ও অবস্থানের অনুমতিপত্র)
পরিবর্তনের সুবিধার্থে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সৌদি সরকারকে
আবারও অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার রিয়াদে সৌদি
উপপ্রধানমন্ত্রী প্রিন্স মাকরিন বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ অনুরোধ জানান।
জবাবে
সৌদি প্রভাবশালী নেতা মাকরিন বাংলাদেশের অনুরোধকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য
করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অনুরোধ সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজকে
অবহিত করার আশ্বাসও দিয়েছেন। সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি
কালের কণ্ঠকে এ কথা জানান। উল্লেখ্য, সৌদি বাদশাহ ডিক্রির মাধ্যমে তিন
মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। আগামী ৩ জুলাই এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা
রয়েছে। একমাত্র বাদশাহই সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করতে
পারেন। এর আগে গত বুধবার জেদ্দায় দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নাজির বিন
ওবায়েদ মাদানির কাছেও দীপু মনি এই অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সৌদি আরবে ২৫
লাখেরও বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। বেশ কয়েক বছর বন্ধ থাকার
পর বাংলাদেশিরা ইকামা পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছেন। এর ফলে অবৈধভাবে অবস্থানরত
বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ইকামা পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈধ হওয়ার সুযোগ পেতে
পারেন।
এদিকে সৌদি আরবে বিভিন্ন সময় নিয়োগকারী বা মালিকের কাছ থেকে পালানো (হুরুব) প্রায় ৯০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফিরিয়ে এনেছে। বর্তমানে ওই পাসপোর্টগুলো আসল ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তরের জন্য তথ্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পাসপোর্টগুলো বিতরণ করাও শুরু হয়েছে। সৌদি সরকার ঘোষিত ক্ষমার আওতায় নিয়োগকারীর কাছে পাসপোর্ট ফেলে পালানো ব্যক্তিরাও বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন।
এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, প্রায় দুই লাখ চাকরির চাহিদা তাঁদের কাছে এসেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি রিয়াদে আল শারাহ আল ফখর কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা দেওয়ার জন্য স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় একজন সৌদি নিয়োগকর্তা মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বেতনে ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের ব্যাপারে কথা বলতে আসেন। দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, সৌদিতে বাংলাদেশি কর্মীদের সততা ও কাজের সুনাম রয়েছে। তাই তাঁদের দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে ইকামা পরিবর্তন করে বৈধভাবে সৌদিতে থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বর্তমানে অনেকে অবৈধভাবে সৌদিতে অবস্থান করে ভালো অর্থ উপার্জন করলেও সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে আর থাকতে পারবেন না। এরপর ধরা পড়লেই এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা ও শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাই নতুন ইকামা পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈধ হওয়াকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গতকাল আল শারাহ আল ফখর কমিউনিটি সেন্টার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ভিড় দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ভিড় আগের তুলনায় অনেক কম।
উপস্থিত পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সৌদিতে বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বৈধকরণের সুযোগ বাড়ানোর অনুরোধ জানাতে তিনি সৌদি আরব সফর করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বৈধকরণ প্রক্রিয়ার দুটি ধাপ রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যা করণীয় (পাসপোর্ট প্রদান) তা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইকামা পরিবর্তনের কাজটি সৌদি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। একজন বাংলাদেশিও যাতে আর অবৈধ না থাকেন, সেজন্য ইকামা পরিবর্তনের সময় বাড়াতে সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম জানান, সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রায় ৯০ হাজার পাসপোর্ট ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই পাসপোর্টগুলো বাংলাদেশি কর্মীরা তাঁদের মালিকের কাছে ফেলে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। এই পাসপোর্টগুলো ফিরিয়ে আনার ফলে বাংলাদেশি ওই কর্মীদের বৈধ হওয়া সহজ হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে সৌদি আরবে বিভিন্ন সময় নিয়োগকারী বা মালিকের কাছ থেকে পালানো (হুরুব) প্রায় ৯০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফিরিয়ে এনেছে। বর্তমানে ওই পাসপোর্টগুলো আসল ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তরের জন্য তথ্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পাসপোর্টগুলো বিতরণ করাও শুরু হয়েছে। সৌদি সরকার ঘোষিত ক্ষমার আওতায় নিয়োগকারীর কাছে পাসপোর্ট ফেলে পালানো ব্যক্তিরাও বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন।
এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, প্রায় দুই লাখ চাকরির চাহিদা তাঁদের কাছে এসেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি রিয়াদে আল শারাহ আল ফখর কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা দেওয়ার জন্য স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় একজন সৌদি নিয়োগকর্তা মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা বেতনে ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের ব্যাপারে কথা বলতে আসেন। দূতাবাস কর্মকর্তারা জানান, সৌদিতে বাংলাদেশি কর্মীদের সততা ও কাজের সুনাম রয়েছে। তাই তাঁদের দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে ইকামা পরিবর্তন করে বৈধভাবে সৌদিতে থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বর্তমানে অনেকে অবৈধভাবে সৌদিতে অবস্থান করে ভালো অর্থ উপার্জন করলেও সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে আর থাকতে পারবেন না। এরপর ধরা পড়লেই এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা ও শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাই নতুন ইকামা পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈধ হওয়াকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গতকাল আল শারাহ আল ফখর কমিউনিটি সেন্টার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ভিড় দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ভিড় আগের তুলনায় অনেক কম।
উপস্থিত পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সৌদিতে বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বৈধকরণের সুযোগ বাড়ানোর অনুরোধ জানাতে তিনি সৌদি আরব সফর করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বৈধকরণ প্রক্রিয়ার দুটি ধাপ রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যা করণীয় (পাসপোর্ট প্রদান) তা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইকামা পরিবর্তনের কাজটি সৌদি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। একজন বাংলাদেশিও যাতে আর অবৈধ না থাকেন, সেজন্য ইকামা পরিবর্তনের সময় বাড়াতে সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলাম জানান, সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রায় ৯০ হাজার পাসপোর্ট ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই পাসপোর্টগুলো বাংলাদেশি কর্মীরা তাঁদের মালিকের কাছে ফেলে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। এই পাসপোর্টগুলো ফিরিয়ে আনার ফলে বাংলাদেশি ওই কর্মীদের বৈধ হওয়া সহজ হবে বলে তিনি জানান।
No comments