মাদকের রুট বাংলাদেশ!কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন
আন্তর্জাতিকভাবে মাদক চোরাকারবারিরা
অত্যন্ত সুসংগঠিত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার
করে এই চক্র। অল্প সময়ে অধিক মুনাফার লোভে অনেককেই এই অবৈধ ব্যবসার দিকে
ঝুঁকতে দেখা যায়।
বিশেষ করে তরুণ বয়সীদের মধ্যে
অর্থপ্রাপ্তির লোভ সংক্রমিত করতে পারলে এই ব্যবসা ছড়িয়ে দেওয়া সহজ হয়।
সাধারণত মাদক ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি থাকে তরুণদের দিকে। সম্প্রতি র্যাবের
অভিযানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগের
বয়স অনূর্ধ্ব ৪০। কিন্তু তাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা আশঙ্কাজনক।
হেরোইন-কোকেনের মতো মাদকদ্রব্য, যা পাচার হয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ
বিভিন্ন দেশে, তার নিরাপদ ট্রানজিট রুট হচ্ছে বাংলাদেশ। এসব চোরাচালানের
হোতা বিদেশি নাগরিকরাও এ দেশে থেকে নিরাপদে পাচারের কাজটি করে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিরা, বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীরা ট্রানজিট রুট হিসেবে একটি দেশকে বেছে নেওয়ার নেপথ্যে নানা কারণ থাকে। সেই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বিবেচ্য বিষয়। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশকে নানা পণ্য চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে অনেককে মাদক বেচাকেনার কাজে ব্যবহার করা সহজ হয়। অন্যদিকে দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগও নিয়ে থাকে মাদক চোরাচালানিরা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটেছে। গোয়েন্দা সংস্থা জানাচ্ছে, মাল্টিপল ও ভ্রমণ ভিসায় এসে নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের মাদক ব্যবসায়ীরা এ দেশে থেকে মাদক ব্যবসা করছে। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও অনেকে এ দেশে থেকে যাচ্ছে, এমন খবরও রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। তাদের জালে জড়িয়ে পড়ছে তরুণরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মান পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীও। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ার একটি বড় চক্র ঢাকাকে কেন্দ্র করে মাদক চোরাচালানের কাজ করে। স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও এই চক্রের হাত রয়েছে।
দেশের স্বার্থে এই চক্রকে ধ্বংস করতে হবে। বাংলাদেশকে মাদকের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। তবে সবার আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো সক্রিয় হতে হবে। বিশ্বে মাদক পাচারকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নেই। এই সুযোগ নিয়ে কোনো চক্র এই দেশকে ট্রানজিট হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে তা প্রতিহত করার দায়িত্ব সবার।
আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিরা, বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীরা ট্রানজিট রুট হিসেবে একটি দেশকে বেছে নেওয়ার নেপথ্যে নানা কারণ থাকে। সেই দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বিবেচ্য বিষয়। ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশকে নানা পণ্য চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে অনেককে মাদক বেচাকেনার কাজে ব্যবহার করা সহজ হয়। অন্যদিকে দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগও নিয়ে থাকে মাদক চোরাচালানিরা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটেছে। গোয়েন্দা সংস্থা জানাচ্ছে, মাল্টিপল ও ভ্রমণ ভিসায় এসে নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের মাদক ব্যবসায়ীরা এ দেশে থেকে মাদক ব্যবসা করছে। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও অনেকে এ দেশে থেকে যাচ্ছে, এমন খবরও রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। তাদের জালে জড়িয়ে পড়ছে তরুণরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মান পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীও। গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ও নাইজেরিয়ার একটি বড় চক্র ঢাকাকে কেন্দ্র করে মাদক চোরাচালানের কাজ করে। স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও এই চক্রের হাত রয়েছে।
দেশের স্বার্থে এই চক্রকে ধ্বংস করতে হবে। বাংলাদেশকে মাদকের অভয়ারণ্য হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। তবে সবার আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো সক্রিয় হতে হবে। বিশ্বে মাদক পাচারকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নেই। এই সুযোগ নিয়ে কোনো চক্র এই দেশকে ট্রানজিট হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে তা প্রতিহত করার দায়িত্ব সবার।
No comments