দল পেলেন ব্রাজিলের সেই খুনি গোলকিপার

বান্ধবীকে খুন করা ব্রাজিলীয় গোলরক্ষক ব্রুনোকে কমপক্ষে ১০টি বড় ক্লাব নিজ দলে পেতে চাইছে বলে গুজব রটেছিল। ঠাণ্ডা মাথার ভয়ংকর এই খুনি ব্রুনোর এজেন্ট এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেন। নতুন খবর, দল পেয়েছেন ব্রুনো। ২০১০ সালে বান্ধবী এলিজা সামুদিউকে হত্যা করেন ব্রুনো। ২২ বছরের জেলও হয় তার। পরে শাস্তি কমে যাওয়ায় এ মাসের শুরুতে তিনি ছাড়া পান। ৩২ বছরে পা রাখা ব্রুনোকে দলে নিয়েছে ব্রাজিলের সেরি ‘বি’ ক্লাব বোয়া এসপোর্তে। ক্লাবের পরিচালক রিলদো মোরায়েস চুক্তির খবর নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘দুই পক্ষের আলোচনা শেষে ব্রুনোকে দলে নেয়া হয়েছে দুই বছরের জন্য।’ ব্রুনোর এজেন্ট জানান, ‘সে প্রচুর প্রস্তাব পাচ্ছে। অন্তত ১০টি ক্লাব ব্রুনোকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়। আমরা আপাতত ক্লাবগুলোর নাম প্রকাশ করতে চাইছি না। চুক্তিগত কারণেই আমরা ক্লাবগুলোকে সবার সামনে আনছি না।’

দাপটের সঙ্গেই ব্রাজিলের শীর্ষ ক্লাব ফ্ল্যামিঙ্গোর হয়ে খেলেছেন ব্রুনো। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় ২০১৪ বিশ্বকাপের জন্য ব্রুনোকেই সেলেকাওদের প্রথম পছন্দ ছিল। তার আগেই তাকে জেলের ঘানি টানতে হয়। পরে ক্লাব থেকেও তাকে বরখাস্ত করা হয়। গোলরক্ষক ব্রুনোর বিরুদ্ধে বান্ধবী এলিজা সামুদিউকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। নিজের সন্তানের সামনেই তিনি এ হত্যাকাণ্ড চালান। এরপর এলিজার দেহ কেটে পোষা কুকুরকে দিয়ে খাওয়ানোর বীভৎস ঘটনার জন্মও দিয়েছেন ব্রুনো। শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কুকুরকে খাওয়ানোর কথা স্বীকার করলেও এ অপরাধের দায় অবশ্য নিজের কাঁধে নেননি ব্রুনো। অন্য দুই আসামির ওপর মামলা চাপিয়ে দেন। হত্যাকাণ্ড ও মামলাটি ব্রাজিলে আলোড়ন তুলেছিল। ব্রুনোর এই নৃশংসতার ঘটনার পরও ঠাণ্ডা মাথার ভয়ংকর এই খুনিকে দলে পেতে কেন ১০টি ক্লাব প্রতিযোগিতায় নেমেছিল সেটি নিয়েও আলোচনা-সমালোচনায় মেতেছে ফুটবলবিশ্ব। এবার তো দল পেয়েই গেলেন তিনি! ওয়েবসাইট।