চন্দনাইশ ওসির নেতৃত্বে দোকান দখল : মাল লুট
চট্টগ্রামের
চন্দনাইশ থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকারের নেতৃত্বে দোকান দখল ও মালামাল
লুট করার অভিযোগ করেছেন এক ব্যবসায়ী। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ
সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মফিজুল
ইসলাম বলেন, ‘১৯৯৭ সালে আমার বাবা স্থানীয় সাইফুদ্দীন ফারুকী নামে এক
ব্যক্তির কাছ থেকে একটি দোকান মাসিক ৬০০ টাকায় ভাড়া নেন। ওই সময় একটি
চুক্তি হয় এবং ৪০ হাজার টাকা ফারুকীকে অগ্রিম দেয়া হয়। চুক্তিপত্রে কোনো
মেয়াদ উল্লেখ ছিল না। ২০১০ সালে আমার বাবার অনুপস্থিতিতে ফারুকীর স্ত্রী
হোসনে আরা সাথীর সঙ্গে নতুনভাবে চুক্তি করি। সেই সময় আরও ৩০ হাজার টাকা
অগ্রিম দিই।’ তবে ২০১৪ সালে ফারুকী বলেন, চন্দনাইশ বাজারের মদিনা লাইব্রেরি
অ্যান্ড স্টেশনারি নামে ওই দোকান আর ভাড়া দেবেন না। দোকানটি ফেরত দিতে
বলেন তিনি। এজন্য আমাকে একটি আইনি নোটিশও দেয়া হয়।
মফিজুল আরও বলেন, ‘আমি
চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিয়ে নোটিশের জবাব দিয়েছি। এরপর থেকে ফারুকী আমার
কাছ থেকে দোকানের কোনো ভাড়া গ্রহণ করছেন না। ভাড়া না নেয়ার কারণে এক
পর্যায়ে ডাকযোগে ভাড়ার টাকা পাঠাই। তাও গ্রহণ করেননি তিনি। বাধ্য হয়ে
আদালতে ভাড়ার টাকা জমা দিয়েছি।’ ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ভাড়ার টাকা
আদালতে জমা আছে। আমার ও মালিকের মধ্যকার দোকান ভাড়া নিয়ে চলমান মামলা
নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই চন্দনাইশ থানার ওসির নির্দেশে এসআই রাজিব হোসেন গিয়ে
দোকান তালাবদ্ধ করে দেন। পরে মালিক ফারুকী রাতের আঁধারে প্রায় ২৫ লাখ টাকার
মালামাল সরিয়ে ফেলে দোকানটি দখলে নেন। লুট মালামালের মধ্যে রয়েছে বই,
স্টেশনারি পণ্য, ফটোস্ট্যাট মেশিন, স্ক্যানার, জেনারেটর ও ল্যাপটপ।
No comments