গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করবে
জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ২৫
মার্চ কালরাতের মাস, গণহত্যার মাস। রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল সেদিন।
পিলখানা, রাজারবাগসহ বিভিন্ন স্থানে ওরা (পাকিস্তানিরা) ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ২৫
মার্চ গণহত্যার মাধ্যমে বাঙালিকে মুছে দিতে চেয়েছিল, তাই এটা গণহত্যা।
বঙ্গবন্ধু মহানায়ক, তাকে ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমার বিশ্বাস
গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি লাভ করবে। শনিবার জাতীয় সংসদে ২৫
মার্চ গণহত্যা দিবসের প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় সভাপতিত্ব করেন। মুক্তিযুদ্ধে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে জাতীয় সংসদে সাবেক এ
রাষ্ট্রপতি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক ঘোষণা করতে
পারিনি- এটা আমার দুঃখ। আমি প্রস্তাব এনেছিলাম, তার ঋণ শোধ করি, তাকে জাতির
পিতা ঘোষণা করি। কিন্তু কয়েকজনের বিরোধিতার কারণে আমি ঘোষণা করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের জাতির পিতা। তার জন্ম না হলে আমি
সেনাপ্রধান হতে পারতাম না। রাষ্ট্রপতিও হতে পারতাম না। সংসদে কথাও বলতে
পারতাম না। সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার জীবনের সব থেকে বড় দুঃখ আমি
মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। ক্ষমতায় থাকাবস্থায় ২৫ মার্চকে
গণহত্যা দিবস পালন করে যেতে পারিনি, বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা
করে যেতে পারিনি। এরশাদ বলেন, ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে আমাকে পূর্ব
পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে বদলি করা হল। এরপর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হল।
আমার জীবনের বড় দুঃখ, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কিন্তু
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক বড় বড় কাজ করেছিলাম। মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করেছিলাম। খবরের আগে ‘সবকটা জানালা খুলে দাও না’
আমি চালু করেছিলাম। আমি ৬৪ জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঁচ কাঠা করে জমি
দিয়েছিলাম। বাস ট্রেনে বিনা খরচে ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছিলাম।
মুক্তিযোদ্ধাদের ম্যাজিস্ট্রেট বানিয়েছিলাম।
No comments