বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল- সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা শিল্পপতি ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাশূন্যে পাঠানোর মধ্যদিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন দিগন্তের সূচনা করলো বাংলাদেশ। যার কৃতিত্ব জননেত্রী ও বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়-এর। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের আমলে যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে কোনো সরকারের আমলে এত বেশি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হয়নি। প্রধানমন্ত্রী একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং সততার পরিচয় দিয়েছেন বিশ্বদরবারে। যার প্রমাণ পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎসহ বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। একটা দেশকে আত্মনির্ভরশীল করতে হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বদরবারে উদাহরণ।
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘‘সন্ত্রাস ও মাদক এবং জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নবাবগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশিং সেল এর আয়োজন করে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং সেলের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলুর সভাপতিত্বে সালমান এফ রহমান আরো বলেন- বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বদরবারে সাহসী ও উন্নয়নশীল জাতি হিসেবে নতুন ভাবে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। জনগণের কাছে আমাদের সেবা পৌঁছে দিতে পারলে তবেই জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দেবে। সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করলে জনগণের মাঝে আমাদের প্রতি, দলের প্রতি আস্থা রাখবে। তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। কেরানীগঞ্জের জিনজিরা থেকে নবাবগঞ্জ, দোহার হয়ে শ্রীনগর পর্যন্ত ৪ লেনের প্রায় ৫শ’ কোটি টাকার রাস্তার কাজ একনেকে পাস হয়েছে এবং কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া দোহার-নবাবগঞ্জের ব্রিজ, কালভার্ট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে শত কোটি টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সুতরাং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জ রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ২১৭ কোটি টাকার কাজ চলছে। এলাকার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি উন্নয়নে এলাকার জনগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সালমান এফ রহমান বলেন, বেসরকারি খাত উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। এই খাতের মধ্যদিয়ে দেশের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে চলছে। আমাদের সমাজে বেসরকারি খাতের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণ হচ্ছে। অর্থবিত্তশালীদের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এক শ্রেণির নেতারা বলে থাকেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এটা সম্পূর্ণ দুই নাম্বারি কথা। আমার কথা হচ্ছে কেন পারবো না। গত ৯ বছরে দেশের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারি তাহলে কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
তিনি বলেন- নেত্রী যাকে নমিনেশন দেন আমরা সকলে একসঙ্গে নৌকার পক্ষে কাজ করবো। বিএনপি ষড়যন্ত্র আর জ্বালাও পোড়াও ছাড়া কিছুই করেনি। আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো, কোনো অপশক্তি আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। তিনি বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলাকে একটি আধুনিক মডেল উপজেলা হিসেবে গড়তে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কারণে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
আমরা আজ পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি সবটুকু অবদান বঙ্গবন্ধুর। তার পরিবারের ত্যাগের কারণে। আমরা আজ বিশ্বদরবারে বাঙালি জাতি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। দেশ স্বাধীন না হলে আমরা ভিখারী জাতি হিসেবে পড়ে থাকতাম। যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে পরিবারের পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার আহ্বান জানান। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাষ্ট্রনায়ক করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানের প্রথমেই জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শফিউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সাবেক গণপরিষদের সদস্য আবু মো. সুবিদ আলী টিপু, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান ফকু, দোহার সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম জালাল শিমু ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ।