পর্যটন এলাকায় কয়লার স্তূপ হুমকির মুখে পরিবেশ by মো. রফিকুল ইসলাম
দেশের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী মেঘনার বুকে বড় দু’টি রেলসেতু ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম
সড়ক সেতুকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বন্দর নগরী ভৈরবের উদীয়মান পর্যটন শিল্প
কয়লার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। একই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে তিতাস গ্যাসের
ডিস্ট্রিবিউশন রেগুলেটিং স্টেশন (ডিআরএস)। প্রভাবশালী মহল সেতু দু’টির
নিচে ও আশপাশে রেলওয়ে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংরক্ষিত এলাকা দখল করে কয়লার
স্তূপ জমা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। এর ফলে চারদিকের সুন্দর
সবুজ শ্যামল পরিবেশ কালচে রং ধারণ করছে। সেতু এলাকার বৃক্ষরাজিসহ মরে
যাচ্ছে সড়কের ঘাসও। কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত নজরদারির অভাব ও প্রশাসনের নীরবতার
কারণে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার রেল, সড়ক ও জনপথের অবশিষ্ট বৃক্ষরাজিসহ
এলাকার সার্বিক পরিবেশ। এ ছাড়াও বাংলাদেশ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এখানে রাখা
কয়লা সরিয়ে নেয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট কয়লা ব্যবসায়ীদের কয়েক দফা নোটিশ প্রদান
করলেও ব্যবসায়ীরা স্থানীয় ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো কর্ণপাত
করেন না। স্থানীয়রা জানায়, বন্দর নগরী ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক
ও জনপথ কর্তৃক ‘সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু’ নির্মাণ হবার পর থেকে রেলসেতু ও
সড়ক সেতুকে ঘিরে ভৈরবে পর্যটন কেন্দ্র বিকশিত হবার পথ সুগম হয়। পাশাপাশি
দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন সেতুগুলো দেশের নানান প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক ও
দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। এ ছাড়া বৈশাখে এখানকার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম
বৈশাখী মেলা সবাইকে দারুণভাবে মুগ্ধ করে। ফলে দেশ-বিদেশের পর্যটকগণ এখানে
ভ্রমণ বিলাসের জন্য ছুটে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও প্রাতঃভ্রমণ, ব্যায়াম
আর বৈকালিক অবকাশ যাপনে সেখানে ছুটে যান নদীর ছন্দোময় ঢেউ আর নির্মল
প্রাকৃতিক হাওয়ার পরশ নিতে। ফলে এ স্থানটি সারা বছরই থাকতো কোলাহলময়। এভাবে
এ স্থানটি একটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্রের রূপ নিয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছর ধরে
সেই চেনা দৃশ্যটি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। বিবর্ণ ম্রিয়মান হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া
কয়লা একটি উচ্চমাত্রার দাহ্য পদার্থ হবার কারণে যেকোনো সময় তিতাস গ্যাসের
ডিস্ট্রিবিউশন রেগুলেটিং স্টেশনে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এখন আর আগের মতো পর্যটক কিংবা দর্শনার্থীদের ভিড় নেই। সবকিছু কেমন কালচে হয়ে গেছে। আগের সবুজ শ্যামল দৃশ্যের পরিবর্তে চারদিকে শুধু কয়লা আর কয়লার স্তূপ। বাতাসে ছড়াচ্ছে উৎকট গন্ধ। কয়লার উত্তাপে সবুজ গাছ-গাছালিগুলো মরে শেষ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে রেলের বৃহৎ দুটি আমগাছ, দুটি কাঁঠাল গাছসহ অনেকগুলো গাছ মরে গেছে। কর্তৃপক্ষের শক্তিশালী ভূমিকা না থাকা ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় প্রভাবশালী চক্র সড়ক সেতুর লৌহজালের বেষ্টনী ভেঙে এর ভেতরেও প্রবেশ করে কয়লা রাখছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে তিতাস গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন রেগুলেটিং স্টেশন (ডিআরএস)। স্থানীয়দের ধারণা কয়লার উত্তাপের কারণে যেকোনো সময় তিতাস গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন রেগুলেটিং স্টেশনে বিস্ফোরণ হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহলের দাবি, অনতিবিলম্বে রেল ও সড়ক সেতু সংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকা ও এর আশপাশের সরকারি জমি প্রভাবশালী মহলের দখলদারিত্বের হাত থেকে উদ্ধার করে যেন কয়লার স্তূপ অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। তাছাড়া পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে এলাকাটিকে রক্ষা করে হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এই স্থানটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। জানতে চাইলে নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রিত সংরক্ষিত এলাকাটিতে জোরপূর্বক বেড়া ও খুঁটি ভেঙে প্রবেশ করে প্রভাবশালী মহলের কিছু লোকজন কয়লার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আমরা ইতিমধ্যে সংরক্ষিত এলাকাটি উদ্ধার ও কয়লা ব্যবসা উচ্ছেদে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রসাশন বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এখন আর আগের মতো পর্যটক কিংবা দর্শনার্থীদের ভিড় নেই। সবকিছু কেমন কালচে হয়ে গেছে। আগের সবুজ শ্যামল দৃশ্যের পরিবর্তে চারদিকে শুধু কয়লা আর কয়লার স্তূপ। বাতাসে ছড়াচ্ছে উৎকট গন্ধ। কয়লার উত্তাপে সবুজ গাছ-গাছালিগুলো মরে শেষ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে রেলের বৃহৎ দুটি আমগাছ, দুটি কাঁঠাল গাছসহ অনেকগুলো গাছ মরে গেছে। কর্তৃপক্ষের শক্তিশালী ভূমিকা না থাকা ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় প্রভাবশালী চক্র সড়ক সেতুর লৌহজালের বেষ্টনী ভেঙে এর ভেতরেও প্রবেশ করে কয়লা রাখছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে তিতাস গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন রেগুলেটিং স্টেশন (ডিআরএস)। স্থানীয়দের ধারণা কয়লার উত্তাপের কারণে যেকোনো সময় তিতাস গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন রেগুলেটিং স্টেশনে বিস্ফোরণ হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা ও সচেতন মহলের দাবি, অনতিবিলম্বে রেল ও সড়ক সেতু সংলগ্ন সংরক্ষিত এলাকা ও এর আশপাশের সরকারি জমি প্রভাবশালী মহলের দখলদারিত্বের হাত থেকে উদ্ধার করে যেন কয়লার স্তূপ অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। তাছাড়া পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে এলাকাটিকে রক্ষা করে হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এই স্থানটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। জানতে চাইলে নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রিত সংরক্ষিত এলাকাটিতে জোরপূর্বক বেড়া ও খুঁটি ভেঙে প্রবেশ করে প্রভাবশালী মহলের কিছু লোকজন কয়লার ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আমরা ইতিমধ্যে সংরক্ষিত এলাকাটি উদ্ধার ও কয়লা ব্যবসা উচ্ছেদে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রসাশন বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments