যুক্তরাজ্যে মৌলভীবাজারের পাঁচ কাউন্সিলর নির্বাচিত
সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম এখন ওদের নিয়ে সরব। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার
নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় তাদের জানানো হচ্ছে উষ্ণ অভিনন্দন।
ওরা সবাই এখন যুক্তরাজ্যের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তু তারা বাংলাদেশি
বংশোদ্ভূত। সবার পরিচয় বাঙালি ও বাংলাদেশি। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলায়
তাদের গ্রামের বাড়ি। লেখাপড়া, চাকরি ও অন্যান্য প্রয়োজনের তাগিদে তাদের
পূর্বপুরুষ ও তারা পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে। সেখানে নিজেদের মেধা,
যোগ্যতা, পরিশ্রম ও ভালো ব্যবহার দিয়ে জয় করেছেন স্থানীয়দের মন। অনেকে
কাজের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিতেও। প্রথমে বাঙালি কমিউনিটির
নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে যুক্ত হয়েছেন ওই দেশের জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতির
সঙ্গে। ওরা পাল্লা দিয়ে রাজনীতি ও সমাজ সেবায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দীর্ঘ দিন
থেকে। গেল ৪ঠা মে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে
বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের ওই ৫ কৃতী সন্তান প্রার্থী হয়েছিলেন। ওখানকার
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ভোট যুদ্ধে নেমে তারা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে কয়েকজন একাধিকবারও জয়ের মালা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন তাদের
মেধা, মনন, যোগ্যতা ও ব্যবহার দিয়ে। গেল ৪ঠা মে ভোট শেষে ফলাফল প্রকাশের পর
দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বাঙালিদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইতে থাকে। বিশেষ
করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ এ নিয়ে ছিল সরব। এখনো
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজয়ীদের জানানো হচ্ছে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও অভিবাদন।
জানা যায়, যুক্তরাজ্যের ইনফিল্ডের এডমন্ড এলাকা থেকে লেবার পার্টির হয়ে
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মৌলভীবাজারের
রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুল বারীর ছেলে
মাহতাব উদ্দিন। মেইদা ভেলী থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলার
একাটুনা ইউনিয়নের কুইন্স পার্ক বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রাফুল
মিয়ার বোন রিতা বেগম। এ নিয়ে রিতা ধারাবাহিক দু’বার লেবার পার্টি’র পক্ষে
বিজয়ী হন। সেন্ট আলবাস ও লন্ডন কলোনির প্যারিস কাউন্সিলের উপ-নির্বাচনে
লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের বাউরভাগ
গ্রামের বাসিন্দা মৃত নওয়াব উল্যার ছেলে মোহাম্মদ মর্তুজা মিয়া। টাওয়ার
হ্যামলেট থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার
বরমচাল ইউনিয়নের উছমানপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী ফারুক আলী (সুন্দর) এর
মেয়ে সাবিনা আক্তার। ইতিপূর্বে সাবিনা টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকারের দায়িত্ব
পালন করেছেন। ইজলিংটন এলাকা থেকে লেবার পার্টির হয়ে নির্বাচনে বিজয়ী
হয়েছেন গোলাম জিলানী চৌধুরী। তিনি এ নিয়ে টানা পাঁচবারের মতো কাউন্সিলর
নির্বাচিত হয়েছেন। একে এম গোলাম জিলানী চৌধুরী সদর উপজেলার শাহাবন্দর
এলাকার মরহুম আবদুল গফুর চৌধুরীর ছেলে।
No comments