৭ বছরে ৪৫ হাজার মাদকাসক্ত ও বিক্রেতার কারাদণ্ড by মহিউদ্দিন অদুল
মাদকে
সয়লাব দেশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানে প্রতিদিনই মাদক ব্যবসায়ী ও
আসক্তরা গ্রেপ্তার হচ্ছে। যাচ্ছে কারাগারে। কিন্তু হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও
আদালতে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে অর্ধেকের বেশি আসামি।
অন্যদিকে মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্টের চিত্র ভিন্ন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
পরিচালিত অভিযানে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যসহ ধরা পড়ার পর দৃশ্যমান ও তাৎক্ষণিক
বিচারে সাজা পাচ্ছে প্রায় সব অভিযুক্ত। গত সাত বছরের কিছু বেশি সময়ে মোবাইল
কোর্টে প্রায় ৪৫ হাজার মাদকাসক্ত ও বিক্রেতার কারাদণ্ড হয়েছে। তবে,
বর্তমানে যে পরিমাণ মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হচ্ছে মাদকের
ব্যাপকতার বিপরীতে তা যথেষ্ট অপ্রতুল বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
অধিদপ্তর।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, খোলা বাজারে অভিযানের মতো করে মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব নয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হয়। তবে, মোবাইল কোর্টে দৃশ্যমান ও তাৎক্ষণিক বিচারে হাতেনাতে ধরা পড়া প্রায় সব আসামিরই কারাদণ্ড বা সাজা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান ও মামলায় জনহতাশা থেকেই তৎক্ষণাৎ ও দৃশ্যমান বিচারের জন্য মাদকবিরোধী আইন মোবাইল কোর্টের তফসিলভুক্ত হয়। সারা দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রাজধানী, বিভাগ, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে প্রায় সময় মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এ আইনে মোবাইল কোর্ট। হাতেনাতে মাদকসহ ধরা পড়ার পর তৎক্ষণাৎ অপরাধ অনুযায়ী একদিন থেকে শুরু করে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত সাত বছর তিন মাসে সারা দেশে ৮৪ হাজার ৩৮৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এতে মামলা হয়েছে ৪৩ হাজার ১৬৫টি। গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৪৪ হাজার ৮৫৯ জনকে। মোবাইল কোর্টে এর মধ্যে মাত্র পাঁচ জন নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পেয়েছেন। বাকি ৪৪ হাজার ৮৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ সালে ছয় হাজার ৯৩৯টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালায়। তাতে মাদকসহ হাতেনাতে ধরাপড়া তিন হাজার ৯৯৪ জনের কারাদণ্ড হয়। পরের বছর ৯ হাজার ৩৪০ অভিযানে চার হাজার ৮৭১ মামলায় গ্রেপ্তার হয় পাঁচ হাজার ১৬২ আসামি। তাদের সবাইকে কারাগারে যেতে হয়। ২০১৩ সালে পরিচালিত হয় ৯ হাজার ৬৭৯টি অভিযান। তাতে মামলা হয় পাঁচ হাজার ২৪৪টি। গ্রেপ্তার হয়ে কারান্তরীণ হয় পাঁচ হাজার ৪৪৫ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী। পরের বছর ২০১৪ সালে অভিযান, মামলা, গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্তের সংখ্যা সবই বাড়ে। ওই বছর সারা দেশে পরিচালিত হয় ১৪ হাজার ৮১৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযান। এতে মামলা হয় সাত হাজার ৯৪৮। গ্রেপ্তার হয় আট হাজার ৩২০ জন। তবে, ওই বছর মাদক পাওয়া না যাওয়ায় দুই জন খালাস পায়। বাকি সাত হাজার ৩১৮ জনের সাজা হয়েছে। ২০১৫ সালে ১৪ হাজার ৯৩৭ অভিযানে সাত হাজার ৪৮৭ মামলায় গ্রেপ্তার হয় সাত হাজার ৮২৩ জন। ওই বছরও দুই জন খালাস পেলে কারাদণ্ডের আদেশ পায় সাত হাজার ৮২১ জন। পরের বছর ২০১৬ সালে অভিযান, মামলা, গ্রেপ্তার ও সাজার সবক্ষেত্রেই সহস্রাধিক কমেছে। ১৩ হাজার ৫৪১ মোবাইল কোর্ট অভিযানে ছয় হাজার ৪৩০ মামলায় ছয় হাজার ৫৯২ জন গ্রেপ্তার হয়। ছাড়া পায় ১ জন। আর গত বছর পরিচালিত ১২ হাজার ২১২ অভিযানে পাঁচ হাজার ৯৯১ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছে ছয় হাজার ৪৪ জন মাদকাসক্ত ও বিক্রেতা। সর্বশেষ চলতি বছরের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে দুই হাজার ৯২৪টি মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। মামলা হয়েছে ১ হাজার ৪৭০টি। তাতে কারাগারে গেছে ১ হাজার ৪৭৯ জন মাদকাসক্ত ও বিক্রেতা।
তবে, মাদকবিরোধী ওই মোবাইল কোর্ট যথেষ্ট নয় বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও সাধারণ মামলায় নির্দোষ প্রমাণ হয়ে অনেকেই পার পেয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া মাদকের ব্যাপকতার বিপরীতে মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্টের পরিধি আরো বাড়ানো প্রয়োজন। মোবাইল কোর্ট জোরদার করলে আরো বেশি সফলতা পাওয়া যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, খোলা বাজারে অভিযানের মতো করে মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব নয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালনা করতে হয়। তবে, মোবাইল কোর্টে দৃশ্যমান ও তাৎক্ষণিক বিচারে হাতেনাতে ধরা পড়া প্রায় সব আসামিরই কারাদণ্ড বা সাজা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান ও মামলায় জনহতাশা থেকেই তৎক্ষণাৎ ও দৃশ্যমান বিচারের জন্য মাদকবিরোধী আইন মোবাইল কোর্টের তফসিলভুক্ত হয়। সারা দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রাজধানী, বিভাগ, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে প্রায় সময় মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এ আইনে মোবাইল কোর্ট। হাতেনাতে মাদকসহ ধরা পড়ার পর তৎক্ষণাৎ অপরাধ অনুযায়ী একদিন থেকে শুরু করে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হচ্ছে। ২০১১ সাল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত সাত বছর তিন মাসে সারা দেশে ৮৪ হাজার ৩৮৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এতে মামলা হয়েছে ৪৩ হাজার ১৬৫টি। গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৪৪ হাজার ৮৫৯ জনকে। মোবাইল কোর্টে এর মধ্যে মাত্র পাঁচ জন নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পেয়েছেন। বাকি ৪৪ হাজার ৮৫৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০১১ সালে ছয় হাজার ৯৩৯টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালায়। তাতে মাদকসহ হাতেনাতে ধরাপড়া তিন হাজার ৯৯৪ জনের কারাদণ্ড হয়। পরের বছর ৯ হাজার ৩৪০ অভিযানে চার হাজার ৮৭১ মামলায় গ্রেপ্তার হয় পাঁচ হাজার ১৬২ আসামি। তাদের সবাইকে কারাগারে যেতে হয়। ২০১৩ সালে পরিচালিত হয় ৯ হাজার ৬৭৯টি অভিযান। তাতে মামলা হয় পাঁচ হাজার ২৪৪টি। গ্রেপ্তার হয়ে কারান্তরীণ হয় পাঁচ হাজার ৪৪৫ জন মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী। পরের বছর ২০১৪ সালে অভিযান, মামলা, গ্রেপ্তার ও সাজাপ্রাপ্তের সংখ্যা সবই বাড়ে। ওই বছর সারা দেশে পরিচালিত হয় ১৪ হাজার ৮১৫টি মোবাইল কোর্ট অভিযান। এতে মামলা হয় সাত হাজার ৯৪৮। গ্রেপ্তার হয় আট হাজার ৩২০ জন। তবে, ওই বছর মাদক পাওয়া না যাওয়ায় দুই জন খালাস পায়। বাকি সাত হাজার ৩১৮ জনের সাজা হয়েছে। ২০১৫ সালে ১৪ হাজার ৯৩৭ অভিযানে সাত হাজার ৪৮৭ মামলায় গ্রেপ্তার হয় সাত হাজার ৮২৩ জন। ওই বছরও দুই জন খালাস পেলে কারাদণ্ডের আদেশ পায় সাত হাজার ৮২১ জন। পরের বছর ২০১৬ সালে অভিযান, মামলা, গ্রেপ্তার ও সাজার সবক্ষেত্রেই সহস্রাধিক কমেছে। ১৩ হাজার ৫৪১ মোবাইল কোর্ট অভিযানে ছয় হাজার ৪৩০ মামলায় ছয় হাজার ৫৯২ জন গ্রেপ্তার হয়। ছাড়া পায় ১ জন। আর গত বছর পরিচালিত ১২ হাজার ২১২ অভিযানে পাঁচ হাজার ৯৯১ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেছে ছয় হাজার ৪৪ জন মাদকাসক্ত ও বিক্রেতা। সর্বশেষ চলতি বছরের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে দুই হাজার ৯২৪টি মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। মামলা হয়েছে ১ হাজার ৪৭০টি। তাতে কারাগারে গেছে ১ হাজার ৪৭৯ জন মাদকাসক্ত ও বিক্রেতা।
তবে, মাদকবিরোধী ওই মোবাইল কোর্ট যথেষ্ট নয় বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, হাতেনাতে ধরা পড়ার পরও সাধারণ মামলায় নির্দোষ প্রমাণ হয়ে অনেকেই পার পেয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া মাদকের ব্যাপকতার বিপরীতে মাদকবিরোধী মোবাইল কোর্টের পরিধি আরো বাড়ানো প্রয়োজন। মোবাইল কোর্ট জোরদার করলে আরো বেশি সফলতা পাওয়া যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
No comments