মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ, নিহত ১৯
মিয়ানমারে
সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে।
আহত হয়েছে আরো দুডজন মানুষ। শনিবার সকালে দেশটির সান প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে।
কয়েক বছর ধরেই প্রদেশটির ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে যুদ্ধ
করে আসছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, শনিবার সান প্রদেশে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেনাবাহিনী বলেছে, সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে। এছাড়া প্রায় দুই ডজন মানুষ আহত হয়েছে। স্থানীয় এনজিও কর্মী থাং তুন বলেন, নিহতদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্য, এক বিদ্রোহী যোদ্ধা, সরকার সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর ৪ সদস্য ও দুজন বেসামরিক মহিলা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, সংঘর্ষস্থলে বেশ কয়েকটি যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। টিএনএলএ’র মুখপাত্র মেজর মাই আইক খাও বলেন, সান প্রদেশে সেনাবাহিনী ও মিলিশয়ার একটি তল্লাশি চৌকিতে আক্রমণ করে বিদ্রোহীরা। কাচিন প্রদেশে স্বাধীনতাকামীদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। সেখানকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির মিত্র টিএনএলএ। উল্লেখ্য, সান ও কাচিন উভয় প্রদেশেই বিদ্রোহীরা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে যুদ্ধ করছে। কাচিন প্রদেশে সম্প্রতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালায় সেনাবাহিনী।
সান প্রদেশে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে টিএনএলএ অন্যতম। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি যখন রাখাইনে, তখন এ বছরে শুরু থেকে চীনা সীমান্তবর্তী সান প্রদেশে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমঝোতা চুক্তি ছিল। কিন্তু ২০১১ সালে সে চুক্তি ভঙ্গ করা হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে সেনাবাহিনী। এতে গৃহহারা হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। এসব মানুষের বেশিরভাগই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। তারা অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। অনেকে আবার গির্জায় আশ্রয় নিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, গৃহহারা এসব মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী। কিন্তু ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশটিতে শাসন করছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। ২০১৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশটির গণতন্ত্রকামী নেতা অং সান সুচি বলেছিলেন, মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে চলা জাতিগত সংঘাত বন্ধ করার বিষয়টিকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসা সেনাবাহিনীও তার ক্ষমতার অংশীদার। দুই বছর অতিবাহিত হলেও জাতিগত সংঘাত বন্ধের ক্ষেত্রে সফল হতে পারেননি সুচি।
খবরে বলা হয়, শনিবার সান প্রদেশে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেনাবাহিনী বলেছে, সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও রয়েছে। এছাড়া প্রায় দুই ডজন মানুষ আহত হয়েছে। স্থানীয় এনজিও কর্মী থাং তুন বলেন, নিহতদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্য, এক বিদ্রোহী যোদ্ধা, সরকার সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর ৪ সদস্য ও দুজন বেসামরিক মহিলা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, সংঘর্ষস্থলে বেশ কয়েকটি যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। টিএনএলএ’র মুখপাত্র মেজর মাই আইক খাও বলেন, সান প্রদেশে সেনাবাহিনী ও মিলিশয়ার একটি তল্লাশি চৌকিতে আক্রমণ করে বিদ্রোহীরা। কাচিন প্রদেশে স্বাধীনতাকামীদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। সেখানকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির মিত্র টিএনএলএ। উল্লেখ্য, সান ও কাচিন উভয় প্রদেশেই বিদ্রোহীরা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে যুদ্ধ করছে। কাচিন প্রদেশে সম্প্রতি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালায় সেনাবাহিনী।
সান প্রদেশে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনকারী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে টিএনএলএ অন্যতম। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি যখন রাখাইনে, তখন এ বছরে শুরু থেকে চীনা সীমান্তবর্তী সান প্রদেশে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমঝোতা চুক্তি ছিল। কিন্তু ২০১১ সালে সে চুক্তি ভঙ্গ করা হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে সেনাবাহিনী। এতে গৃহহারা হয়েছে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। এসব মানুষের বেশিরভাগই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। তারা অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। অনেকে আবার গির্জায় আশ্রয় নিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, গৃহহারা এসব মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
বৌদ্ধ প্রধান মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী। কিন্তু ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশটিতে শাসন করছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। ২০১৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশটির গণতন্ত্রকামী নেতা অং সান সুচি বলেছিলেন, মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে চলা জাতিগত সংঘাত বন্ধ করার বিষয়টিকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসা সেনাবাহিনীও তার ক্ষমতার অংশীদার। দুই বছর অতিবাহিত হলেও জাতিগত সংঘাত বন্ধের ক্ষেত্রে সফল হতে পারেননি সুচি।
No comments