দুর্নীতি ও মানুষ খুন করে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে আওয়ামী লীগ ॥ মির্জা আব্বাস
আওয়ামী লীগ দুর্নীতি ও মানুষ খুন করে বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস। তা ছাড়া একটি বিশেষ জেলার পুলিশ সদস্যদের দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত র্যালিপূর্ব সমাবেশে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরবও বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া র্যালিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, মোরতাজুল করীম বাদরু, আবদুল বারী ড্যানি, মীর নেওয়াজ আলী, জাকারিয়া মঞ্জুর, রফিকুল আলম মজনু, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন অংশগ্রহণ করেন।
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এখনও সময় আছে, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিন। নইলে জনগণের আন্দোলনের জোয়ারে আপনারা পার পাবেন না।
বক্তব্যে বিরোধী দলের ওপর পুলিশের দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস আরও বলেন, একটি বিশেষ জেলার পুলিশ সদস্যদের দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। গ্রেফতার করে অনেককে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও রেহাই পাননি। পুলিশ দিয়ে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধের দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাইÑ পাকিস্তানের আইয়ুব খান-ইয়াহিয়া খানও পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমাতে পারেনি। নির্দলীয় সরকারের গণআন্দোলনও বর্তমান সরকার দমাতে পারবে না।’ শনিবার রাঙ্গামাটিতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘বিএনপির দুই গুণÑ দুর্নীতি ও মানুষ খুন।’ এর জবাবে আব্বাস বলেন, লুটতরাজ-চুরি-চামারি ও মানুষ খুন আওয়ামী লীগের গুণ।’ অথচ প্রধানমন্ত্রী উল্টো দোষারোপ করছেন বিএনপিকে। এভাবে নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
র্যালিতে অংশ নিতে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। নাইটিংগেল মোড় থেকে ফকিরের পুল পর্যন্ত দু’দিকের রাস্তা জুড়ে অবস্থান নেন তারা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে র্যালি বের করা হয়। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার ছবিসংবলিত নানা ব্যানার-ফেস্টুন এবং জাতীয় ও উৎসব পতাকা হাতে নিয়ে নেতাকর্মীরা র্যালিতে অংশ নেন। র্যালিটি নাইটিংগেল মোড় পার হওয়ার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও এতে অংশ নেন। নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মগবাজারে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
No comments