তদারকব্যবস্থা জোরদার করতে হবে- আবারও গার্মেন্টস দুর্ঘটনা
গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে সাত নারী শ্রমিকের প্রাণ যাওয়ার ঘটনায় এই খাতের এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে যে তেমন কোনো গুণগত পরিবর্তন আসবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তাঁর অনভিপ্রেত উক্তি, ‘তাজরীনের মালিককে গ্রেপ্তার সমাধান নয়।
’ তাঁর তত্ত্ব, ‘নাশকতা হয়নি। বিমার নিরিখে মালিকদের আগুন দিয়ে ফায়দা লাভের কথা নয়।’ অথচ এ দুটি কারণের বাইরেও অনেক কারণ ও শর্ত আছে, যা ওই গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ ও সরকারি প্রশাসন পূরণ করেনি। সর্বশেষ দুর্ঘটনাকবলিত গার্মেন্টসটির কোনো অবকাঠামোই ছিল না। এ রকম আরও গার্মেন্টস আছে, সাম্প্রতিক কালে এর ওপর সরকারি তদারকি একবোরেই শিথিল হয়ে পড়েছে। এটা অবশ্যই বাড়াতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারও গ্রেপ্তারের পক্ষে বা বিপক্ষে অভিমত দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। সেটা তিনি পারছেন। কারণ, আইনের বাস্তবায়ন এখন অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মর্জিনির্ভর হয়ে পড়ছে। কোনো গার্মেন্টসের মালিককে গ্রেপ্তার করা না-করা একমাত্র বড় সমস্যা নয়। সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আইনবহির্ভূত মতামত প্রমাণ করে, পোশাক কারখানাগুলোর অবকাঠোমোগত মান ও ব্যবস্থাপনাগত সমস্যার বিষয়ে দেশি-বিদেশি মহলের উদ্বেগ প্রশমনে সরকারের কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা পরিকল্পনা নেই।
স্মার্ট এক্সপোর্ট লিমিটেড গার্মেন্টসটি রাজউক অবৈধ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কীভাবে এটা রাতারাতি ফের চালু হতে পারল, কারা দায়ী, তা প্রকাশ করা দরকার। আগুন নেভানোর আবশ্যিক ব্যবস্থাও তাতে ছিল না। আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ এসবের মধ্যে আইনের কোনো লঙ্ঘন সম্ভবত দেখেই না। ‘ওই গার্মেন্টসে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তদন্তের পর বলা যাবে কে দায়ী’—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন শিথিল বক্তব্য শঙ্কা তৈরি করে যে সরকারি কর্তৃপক্ষ আগের মতোই যথা পদক্ষেপ নেওয়া থেকে দূরে অবস্থান করে জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে চলবে। কারখানাগুলোর মান ও মজুরির হার নিয়ে পোশাক ক্রেতা ও তাদের চাপে রাখা অধিকার গ্রুপগুলোর মধ্যে টানাপোড়েনের বিষয়টি বাংলাদেশের পোশাক খাত ও সরকার কারও অজানা নয়। কিন্তু অবস্থা এমন নয় যে তারা বিদেশি চাপে কিংবা অভ্যন্তরীণভাবে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে নয়, দেশের পোশাক খাতকে সার্বিকভাবে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর তাগিদ থেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; আমরা সর্বাগ্রে তাদের এই চেষ্টা দেখতে চাই।
এত ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, এত বিপুল লোক প্রাণ হারাচ্ছে, সেটা মূলত সুষ্ঠু সরকারি তদারকির অভাবে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দৃশ্যত প্রথম সুযোগেই নাশকতা কিংবা কোনো চক্রান্তের ধুয়া তুলে নিজেদের দায়-দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা দেখাচ্ছেন। সরকারের উচিত পোশাক খাতে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের পাশাপাশি পোশাককর্মীদের জীবনের গ্যারান্টি দেওয়া। তাঁদের জীবন বড়ই সস্তা হয়ে পড়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারও গ্রেপ্তারের পক্ষে বা বিপক্ষে অভিমত দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। সেটা তিনি পারছেন। কারণ, আইনের বাস্তবায়ন এখন অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মর্জিনির্ভর হয়ে পড়ছে। কোনো গার্মেন্টসের মালিককে গ্রেপ্তার করা না-করা একমাত্র বড় সমস্যা নয়। সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আইনবহির্ভূত মতামত প্রমাণ করে, পোশাক কারখানাগুলোর অবকাঠোমোগত মান ও ব্যবস্থাপনাগত সমস্যার বিষয়ে দেশি-বিদেশি মহলের উদ্বেগ প্রশমনে সরকারের কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা পরিকল্পনা নেই।
স্মার্ট এক্সপোর্ট লিমিটেড গার্মেন্টসটি রাজউক অবৈধ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কীভাবে এটা রাতারাতি ফের চালু হতে পারল, কারা দায়ী, তা প্রকাশ করা দরকার। আগুন নেভানোর আবশ্যিক ব্যবস্থাও তাতে ছিল না। আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ এসবের মধ্যে আইনের কোনো লঙ্ঘন সম্ভবত দেখেই না। ‘ওই গার্মেন্টসে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং তদন্তের পর বলা যাবে কে দায়ী’—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন শিথিল বক্তব্য শঙ্কা তৈরি করে যে সরকারি কর্তৃপক্ষ আগের মতোই যথা পদক্ষেপ নেওয়া থেকে দূরে অবস্থান করে জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে চলবে। কারখানাগুলোর মান ও মজুরির হার নিয়ে পোশাক ক্রেতা ও তাদের চাপে রাখা অধিকার গ্রুপগুলোর মধ্যে টানাপোড়েনের বিষয়টি বাংলাদেশের পোশাক খাত ও সরকার কারও অজানা নয়। কিন্তু অবস্থা এমন নয় যে তারা বিদেশি চাপে কিংবা অভ্যন্তরীণভাবে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে নয়, দেশের পোশাক খাতকে সার্বিকভাবে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর তাগিদ থেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; আমরা সর্বাগ্রে তাদের এই চেষ্টা দেখতে চাই।
এত ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, এত বিপুল লোক প্রাণ হারাচ্ছে, সেটা মূলত সুষ্ঠু সরকারি তদারকির অভাবে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দৃশ্যত প্রথম সুযোগেই নাশকতা কিংবা কোনো চক্রান্তের ধুয়া তুলে নিজেদের দায়-দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা দেখাচ্ছেন। সরকারের উচিত পোশাক খাতে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের পাশাপাশি পোশাককর্মীদের জীবনের গ্যারান্টি দেওয়া। তাঁদের জীবন বড়ই সস্তা হয়ে পড়েছে।
No comments