ফখরুলকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া ছাড়া গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রবিবার দুই মাসের জন্য এ আদেশ দেওয়া হয়।
গতকালই পল্টন থানার একটি মামলায় মির্জা ফখরুলকে রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। একই সঙ্গে এ মামলায় ফখরুলকে জামিন দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল আসামিপক্ষ। তবে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলাম দুই পক্ষেরই আবেদন নাকচ করে দিয়ে ফখরুলকে কারাগারে পাঠান।
মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশনা চেয়ে গত ২০ জানুয়ারি তাঁর পক্ষে আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন একটি রিট আবেদন করেন। গতকাল রবিবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ শুনানিতে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার বা কোনো ধরনের হয়রানি না করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জামিন পাওয়ার পর যথাযথ আদালত কর্তৃক জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও আইনের যথাযথ বিধান ছাড়া মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার এবং হয়রানি না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রুলের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
আদেশের পর ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সাংবাদিকদের বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া মির্জা ফখরুলকে নতুন মামলায় দুই মাস গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে শুনানিতে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি একটি মামলায় জামিন পেলে অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
তবে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান বলেন, আমলযোগ্য মামলায় তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যে কাউকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারে। তিনি বলেন, ৩৮টি মামলায় ফখরুলের নাম রয়েছে। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাতে পারে। তিনি কারাগারে আছেন বলেই গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। বাইরে থাকলে তাঁকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হতো।
আদেশের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মির্জা ফখরুল তিনটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে বেআইনিভাবে তাঁকে আটক রাখা হয়েছে।
দুই পক্ষের আবেদনই খারিজ : পুলিশকে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক খোরশেদ আলী। ফখরুলের উপস্থিতিতে এ আবেদনের শুনানির জন্য গতকাল দিন ধার্য ছিল। গতকাল সকাল পৌনে ১০টায় মির্জা ফখরুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সাড়ে ১০টায় তাঁকে এজলাসে হাজির করা হয়।
মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। এ সময় ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, মহসীন মিয়া, ইকবাল হোসেন, ওমর ফারুক ফারুকীসহ শতাধিক বিএনপিপন্থী আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ব্যারিস্টার রফিক বলেন, ঘটনার এক মাস সাত দিন পর ফখরুলকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে নেই। এর আগে আরো পাঁচটি মামলায় তাঁকে রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাই এ রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন মহানগর পিপি মো. আবদুল্লাহ আবু। তিনি শুনানিতে বলেন, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সমাবেশে বলেন, ৯ ডিসেম্বর সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজপথে কেউ যেন গাড়ি বের না করেন। তাঁর পরিকল্পনা ও নির্দেশেই উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ পুলিশকে হত্যার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি এমন বক্তব্য না দিলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। তবে আদালত দুই পক্ষের আবেদনই নাকচ করে দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় কলাবাগান থানার আরেকটি মামলায় গত বৃহস্পতিবার সিএমএম আদালতের দেওয়া নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধিমূলে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদন শুনানির জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
এ ছাড়া কলাবাগান থানার মামলায় অসুস্থ ফখরুলকে কারাগারের বাইরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে দুপুর ১২টায় বিশেষ আবেদন করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মঈনুল ইসলাম কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার কলাবাগান থানার এ মামলায় ফখরুলের ১০ দিনের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশনা চেয়ে গত ২০ জানুয়ারি তাঁর পক্ষে আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন একটি রিট আবেদন করেন। গতকাল রবিবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ শুনানিতে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার বা কোনো ধরনের হয়রানি না করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জামিন পাওয়ার পর যথাযথ আদালত কর্তৃক জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও আইনের যথাযথ বিধান ছাড়া মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার এবং হয়রানি না করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রুলের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
গতকাল আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
আদেশের পর ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সাংবাদিকদের বলেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া মির্জা ফখরুলকে নতুন মামলায় দুই মাস গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে শুনানিতে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি একটি মামলায় জামিন পেলে অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখা হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে তাঁকে এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
তবে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান বলেন, আমলযোগ্য মামলায় তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যে কাউকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারে। তিনি বলেন, ৩৮টি মামলায় ফখরুলের নাম রয়েছে। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাতে পারে। তিনি কারাগারে আছেন বলেই গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। বাইরে থাকলে তাঁকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হতো।
আদেশের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, মির্জা ফখরুল তিনটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না। শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে বেআইনিভাবে তাঁকে আটক রাখা হয়েছে।
দুই পক্ষের আবেদনই খারিজ : পুলিশকে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক খোরশেদ আলী। ফখরুলের উপস্থিতিতে এ আবেদনের শুনানির জন্য গতকাল দিন ধার্য ছিল। গতকাল সকাল পৌনে ১০টায় মির্জা ফখরুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সাড়ে ১০টায় তাঁকে এজলাসে হাজির করা হয়।
মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। এ সময় ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, মহসীন মিয়া, ইকবাল হোসেন, ওমর ফারুক ফারুকীসহ শতাধিক বিএনপিপন্থী আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ব্যারিস্টার রফিক বলেন, ঘটনার এক মাস সাত দিন পর ফখরুলকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে নেই। এর আগে আরো পাঁচটি মামলায় তাঁকে রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাই এ রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন মহানগর পিপি মো. আবদুল্লাহ আবু। তিনি শুনানিতে বলেন, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সমাবেশে বলেন, ৯ ডিসেম্বর সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজপথে কেউ যেন গাড়ি বের না করেন। তাঁর পরিকল্পনা ও নির্দেশেই উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ পুলিশকে হত্যার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি এমন বক্তব্য না দিলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। তবে আদালত দুই পক্ষের আবেদনই নাকচ করে দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় কলাবাগান থানার আরেকটি মামলায় গত বৃহস্পতিবার সিএমএম আদালতের দেওয়া নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিধিমূলে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদন শুনানির জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
এ ছাড়া কলাবাগান থানার মামলায় অসুস্থ ফখরুলকে কারাগারের বাইরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে দুপুর ১২টায় বিশেষ আবেদন করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মঈনুল ইসলাম কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার কলাবাগান থানার এ মামলায় ফখরুলের ১০ দিনের রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
No comments