স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক চাকরিচ্যুত
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ বীর উত্তম আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইংরেজি বিভাগের ওই শিক্ষকের নাম তারকচন্দ্র মণ্ডল। তাঁকে এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্কুলের এক দারোয়ান যৌন নির্যাতন চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন ধরে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ চলছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করার জন্য ওই স্কুলের অধ্যক্ষকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও অধ্যক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি উত্তর কাফরুলে তারকচন্দ্র মণ্ডলের বাসায় যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী। এক পর্যায়ে একা পেয়ে সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন তারকচন্দ্র। পরে ওই ছাত্রী তার এক সহপাঠীকে ঘটনার কথা জানায়। সে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। ঘটনার পরের দিন থেকে সাধারণ ছাত্রীরা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের মুখে ওই শিক্ষক স্কুলে আর প্রবেশ করতে পারেননি। তবে কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে ছাত্রীরা স্কুলের সামনে মানববন্ধনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
গতকাল স্কুলের একজন অভিভাবক কালের কণ্ঠের অফিসে ফোন করে বলেন, 'কয়েক দিনের ব্যবধানে এ প্রতিষ্ঠানে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাপের মুখে তারা একটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে। আর চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দারোয়ানকে তাদের হেফাজতে রেখে বিচার করার কথা বলছে। কিন্তু বিচারের নামে অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।'
কাফরুল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি আমরাও শুনেছি। কিন্তু এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।'
ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি স্কুলে এ ধরনের ঘটনায় অভিভাবকরা রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে। একজন ছাত্রীর মা জানান, তাঁরা এ প্রতিষ্ঠানকে বাইরের তুলনায় অনেকটা নিরাপদ মনে করতেন। কিন্তু ধর্ষণের মতো কয়েকটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় এখন সব অভিভাবকদের মধ্যেই এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল শাহাদাৎ হোসেন শিকদার তাঁদের কাছে ক্ষমা চান এবং এটা মিডিয়ায় প্রকাশ না করতে 'অনুরোধ' করেন। তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডেকে ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে মুখ না খোলার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি ওই ছাত্রীর অভিভাবককে 'ম্যানেজ' করার জন্যও শিক্ষকদের বলেন।
ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল তাহমিনা শামসীর কাছেও অভিযোগ করা হয়। তিনি ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য ছাত্রী ও অভিভাবকদের শাসিয়ে দেন।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় ২৪ জানুয়ারি অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে তাঁদের সামনেই তারকচন্দ্রকে চাকরিচ্যুত করা ছাড়াও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এসবের মধ্যে রয়েছে ধর্ষক শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, সিসি ক্যামেরা বসানো, ওয়াশরুমের সামনে আয়া রাখা, পুরুষ শিক্ষকদের রুমের সামনে আয়া রাখা ইত্যাদি। ওই বৈঠকে কয়েকজন অভিভাবক মোবাইল ফোনে মিটিংয়ের ভিডিও করলে প্রিন্সিপাল তাঁদের ফোন কেড়ে নেন। পরে বৈঠক শেষে মেমোরি কার্ড খুলে ফোন ফেরত দেওয়া হয়। তারকচন্দ্র মণ্ডলকে চাকরিচ্যুতির বিষয়টি গত শনিবার বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা টেলিফোনে বলেন, 'আমরা থানায় অভিযোগ করতে গেলেও প্রিন্সিপালের চাপে তা করতে পারিনি।' এ ব্যাপারে প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল শাহাদাৎ হোসেন শিকদারের সঙ্গে টেলিফোন ও মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করার জন্য ওই স্কুলের অধ্যক্ষকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও অধ্যক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি উত্তর কাফরুলে তারকচন্দ্র মণ্ডলের বাসায় যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রী। এক পর্যায়ে একা পেয়ে সেখানেই তাকে ধর্ষণ করেন তারকচন্দ্র। পরে ওই ছাত্রী তার এক সহপাঠীকে ঘটনার কথা জানায়। সে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। ঘটনার পরের দিন থেকে সাধারণ ছাত্রীরা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের মুখে ওই শিক্ষক স্কুলে আর প্রবেশ করতে পারেননি। তবে কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে ছাত্রীরা স্কুলের সামনে মানববন্ধনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
গতকাল স্কুলের একজন অভিভাবক কালের কণ্ঠের অফিসে ফোন করে বলেন, 'কয়েক দিনের ব্যবধানে এ প্রতিষ্ঠানে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক চাপের মুখে তারা একটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে। আর চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দারোয়ানকে তাদের হেফাজতে রেখে বিচার করার কথা বলছে। কিন্তু বিচারের নামে অপরাধীদের আড়াল করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।'
কাফরুল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি আমরাও শুনেছি। কিন্তু এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।'
ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি স্কুলে এ ধরনের ঘটনায় অভিভাবকরা রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে। একজন ছাত্রীর মা জানান, তাঁরা এ প্রতিষ্ঠানকে বাইরের তুলনায় অনেকটা নিরাপদ মনে করতেন। কিন্তু ধর্ষণের মতো কয়েকটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় এখন সব অভিভাবকদের মধ্যেই এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্কুলের প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল শাহাদাৎ হোসেন শিকদার তাঁদের কাছে ক্ষমা চান এবং এটা মিডিয়ায় প্রকাশ না করতে 'অনুরোধ' করেন। তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডেকে ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে মুখ না খোলার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি ওই ছাত্রীর অভিভাবককে 'ম্যানেজ' করার জন্যও শিক্ষকদের বলেন।
ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল তাহমিনা শামসীর কাছেও অভিযোগ করা হয়। তিনি ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য ছাত্রী ও অভিভাবকদের শাসিয়ে দেন।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় ২৪ জানুয়ারি অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে তাঁদের সামনেই তারকচন্দ্রকে চাকরিচ্যুত করা ছাড়াও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এসবের মধ্যে রয়েছে ধর্ষক শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, সিসি ক্যামেরা বসানো, ওয়াশরুমের সামনে আয়া রাখা, পুরুষ শিক্ষকদের রুমের সামনে আয়া রাখা ইত্যাদি। ওই বৈঠকে কয়েকজন অভিভাবক মোবাইল ফোনে মিটিংয়ের ভিডিও করলে প্রিন্সিপাল তাঁদের ফোন কেড়ে নেন। পরে বৈঠক শেষে মেমোরি কার্ড খুলে ফোন ফেরত দেওয়া হয়। তারকচন্দ্র মণ্ডলকে চাকরিচ্যুতির বিষয়টি গত শনিবার বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা টেলিফোনে বলেন, 'আমরা থানায় অভিযোগ করতে গেলেও প্রিন্সিপালের চাপে তা করতে পারিনি।' এ ব্যাপারে প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল শাহাদাৎ হোসেন শিকদারের সঙ্গে টেলিফোন ও মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
No comments