জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে- সাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণ করবেন দুই যুবক by শফিকুল ইসলাম
বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েই চলেছে। জলবায়ুর ভয়াবহ পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ুর
পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব কী হবে তা জানাতে এবং বিশ্ববাসীকে সচেতন
করতে এবার সাইকেলে বিশ্ব ভ্রমণ করতে চান দুই যুবক।
এ জন্য বিত্তবানদের
কাছে আর্থিক সমর্থনও কামনা করেছেন তারা। ইতোমধ্যে তারা দেশের স্কুল, কলেজ
এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার প্রয়াস
চালিয়েছেন এক বছর। ভ্রমণকৃত জেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকও দুই যুবককে
দিয়েছেন বিশেষ সনদ। অন্তত একটি করে পরিবেশবান্ধব গাছের চারা লাগানোর জন্য
জনসাধারণের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতিও আদায় করেছেন তারা। তারা হলেন
সাতক্ষীরার আজাদ হোসেন খান ও গোপালগঞ্জের মো: জহিরুল ইসলাম।
শুরুর কথা : দুই যুবকের বাড়ি ভিন্ন দুই জেলায় হলেও তারা একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ। তা হলো দেশের মানুষ এবং বিশ্বের মানুষকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা। গত বছর সাইকেল চালিয়ে দেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন তারা। উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি। নিজের এলাকায় সিডর-আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা দেখে আঁতকে উঠেছিলেন তারা। জানতে পারেন এই ভয়াবহতার জন্য দায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি। আর এটা হচ্ছে মানুষের জন্যই। মানুষ চাইলে এ ভয়াবহতা থেকে নিজেদের রা করতে পারে। বনায়ন, সবুজায়ন আর গ্রিন হাউজ রার মাধ্যমেই এটা সম্ভব। কিন্তু এর জন্য চাই সচেতনতা সৃষ্টি। মহৎ এ উদ্দেশ্য নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন এ দুই যুবক।
২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনগুলোতে বাইসাইকেলে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের প্রত্যেকটি জেলা শহর। ঘুরেছেন ৩০০টি উপজেলা। আর প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার ৭০০ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শিার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। সচেতনতা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। পরিবেশবান্ধব একটি করে গাছ লাগাতে প্রত্যেক শিার্থীকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধও করেছেন। এবার একই উদ্দেশ্যে এ দুই বাংলাদেশী বের হবেন বিশ্ব ভ্রমণে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বিশ্বভ্রমণ শুরু করতে চান তারা। ওই দুই যুবক নিজেদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন নয়া দিগন্তের কাছে। দেশ ও বিশ্বভ্রমণ শেষে তারা এ বিষয়ে বই লিখবেন বলে জানিয়েছেন। বাধা-বিপত্তি : সম্প্রতি দেশভ্রমণ শেষে তারা নয়া দিগন্ত অফিসে আসেন। এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। যাত্রা শুরুর দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা এলেও পরে তারা পরিবারকে বুঝাতে সক্ষম হন। একপর্যায়ে পরিবারের পক্ষ থেকে উৎসাহ পান।
সাহসী এ দুই তরুণের মধ্যে আজাদ সাতীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গণপতি গ্রাম আর জহির গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া গ্রামের ছেলে। আজাদ পড়েন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে একটি কলেজে। জহির পড়েন সরকারি রামদিয়া এসকে কলেজে। তারা যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বেরিয়েছেন তার শিরোনাম দিয়েছেন ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা এবং বৃরোপণের প্রয়োজনীয়তা’। এ দুই যুবক আরো জানান, নিজেদের টিউশনির টাকায় তারা সাইকেল কিনেছেন এবং দেশ ভ্রমণের খরচও জুগিয়েছেন। সাইকেলে দেশ ঘুরতে গিয়ে তিন মাস অসুস্থতায় ভুগেছেন। তবুও স্বপ্ন দেখছেন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ভ্রমণে বেরুতে পারবেন তারা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ভ্রমণ করার সময় রাতে থাকা এবং নিরাপত্তার সমস্যা ছিল বলে তারা জানিয়েছেন।
শুরুর কথা : দুই যুবকের বাড়ি ভিন্ন দুই জেলায় হলেও তারা একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ। তা হলো দেশের মানুষ এবং বিশ্বের মানুষকে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ুর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করা। গত বছর সাইকেল চালিয়ে দেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন তারা। উদ্দেশ্য হলো বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি। নিজের এলাকায় সিডর-আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা দেখে আঁতকে উঠেছিলেন তারা। জানতে পারেন এই ভয়াবহতার জন্য দায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি। আর এটা হচ্ছে মানুষের জন্যই। মানুষ চাইলে এ ভয়াবহতা থেকে নিজেদের রা করতে পারে। বনায়ন, সবুজায়ন আর গ্রিন হাউজ রার মাধ্যমেই এটা সম্ভব। কিন্তু এর জন্য চাই সচেতনতা সৃষ্টি। মহৎ এ উদ্দেশ্য নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন এ দুই যুবক।
২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনগুলোতে বাইসাইকেলে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের প্রত্যেকটি জেলা শহর। ঘুরেছেন ৩০০টি উপজেলা। আর প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার ৭০০ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শিার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। সচেতনতা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। পরিবেশবান্ধব একটি করে গাছ লাগাতে প্রত্যেক শিার্থীকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধও করেছেন। এবার একই উদ্দেশ্যে এ দুই বাংলাদেশী বের হবেন বিশ্ব ভ্রমণে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বিশ্বভ্রমণ শুরু করতে চান তারা। ওই দুই যুবক নিজেদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন নয়া দিগন্তের কাছে। দেশ ও বিশ্বভ্রমণ শেষে তারা এ বিষয়ে বই লিখবেন বলে জানিয়েছেন। বাধা-বিপত্তি : সম্প্রতি দেশভ্রমণ শেষে তারা নয়া দিগন্ত অফিসে আসেন। এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন। যাত্রা শুরুর দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা এলেও পরে তারা পরিবারকে বুঝাতে সক্ষম হন। একপর্যায়ে পরিবারের পক্ষ থেকে উৎসাহ পান।
সাহসী এ দুই তরুণের মধ্যে আজাদ সাতীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গণপতি গ্রাম আর জহির গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তিলছড়া গ্রামের ছেলে। আজাদ পড়েন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে একটি কলেজে। জহির পড়েন সরকারি রামদিয়া এসকে কলেজে। তারা যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বেরিয়েছেন তার শিরোনাম দিয়েছেন ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার ভয়াবহতা এবং বৃরোপণের প্রয়োজনীয়তা’। এ দুই যুবক আরো জানান, নিজেদের টিউশনির টাকায় তারা সাইকেল কিনেছেন এবং দেশ ভ্রমণের খরচও জুগিয়েছেন। সাইকেলে দেশ ঘুরতে গিয়ে তিন মাস অসুস্থতায় ভুগেছেন। তবুও স্বপ্ন দেখছেন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ভ্রমণে বেরুতে পারবেন তারা। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ভ্রমণ করার সময় রাতে থাকা এবং নিরাপত্তার সমস্যা ছিল বলে তারা জানিয়েছেন।
No comments