মেয়র কাউন্সিলরদের শপথের দাবিতে কক্সবাজার শহরে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত

দুই বছর ধরে শপথ আটকে রাখার প্রতিবাদে মেয়র-কাউন্সিলরদের ডাকে কক্সবাজার পৌর শহরে গতকাল রোববার আধা বেলা স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত হয়েছে।
হরতাল চলাকালে সব ধরনের ব্যবসায়প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালতে উপস্থিতির হারও কম ছিল। শহরের প্রধান সড়ক ও উপ-সড়কগুলোতে সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। এমনকি বিভিন্ন স্থানে রিকশাচালকেরাও হরতালের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন। সকাল থেকে শহরের সড়ক-উপসড়কে মেয়র, কাউন্সিলরেরা এবং তাদের সমর্থক লোকজন হরতালের পক্ষে অবস্থান নেন। শহর থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাতের কোচগুলোও শহরে ঢুকতে পারেনি। ফলে অনেক যাত্রী প্রায় তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে শহরের বিভিন্ন গন্তব্যে যান। আজকের হরতালে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন ছিল লক্ষণীয়। তবে হরতাল চলাকালে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ভোর থেকে কক্সবাজার শহরের লিংক রোড থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়ক ফাঁকা ছিল। অন্য সড়কগুলোতেও ছিল একই চিত্র। হরতাল চলার সময় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কক্সবাজার বাস টার্মিনালসহ কয়েকটি পয়েন্টে কয়েকটি ইজিবাইক উল্টে দেয়ার ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করে। কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক জসীম উদ্দিন জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হরতাল পালিত হয়েছে তবে বিচ্ছিন্নভাবে পিকেটিং করার সময় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

হরতাল শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিং করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকী জামসেদ, আকতার কামাল আযাদ, মিজানুর রহমান, ওমর ছিদ্দিক লালু, হেলালউদ্দিন কবির, সাইফুদ্দিন খালেদ, জিসানউদ্দিন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমাইরা বেগম ও মনজুমন নাহার। প্রেসব্রিফিংকালে কাউন্সিলরেরা জানান, নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আধা বেলা হরতাল পালিত হয়। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করে নির্বাচিতদের পে অবস্থান নিয়েছে। শিগগিরই আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান।
       

No comments

Powered by Blogger.