হাউ কাম? ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকেই- তেলের দেশে কীভাবে বাড়ে তেলের দাম?
আবারও বেড়েছে তেলের দাম। কোনো মানে হয়? আমাদের দেশে কি তেলের অভাব আছে যে হুটহাট করে দাম বেড়ে যাবে? দেশে কত মেট্রিক টন টমেটো উৎপাদিত হয় তার হিসাব থাকলেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা কতভাবে কত মানুষকে তেল দিই তার কোনো হিসাব নাই।
তেলের অর্থই আমাদের কাছে অন্য রকম। সুপ্রাচীনকাল থেকেই তেলের দেশ হিসেবে সুনাম আছে বাংলাদেশের। বহু আগে থেকেই নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাউকে না কাউকে তেল দেওয়ার নিয়ম প্রচলিত আছে আমাদের দেশে। ক্লাসে ভালো নম্বর পেতে শিক্ষককে তেল দিতে হয়, অফিসে ফাইল সই কিংবা প্রমোশনের জন্য বসকে তেল দিতে হয়, কম দামে কাচকি মাছ কেনার জন্য তেল দিতে হয় মাছওয়ালাকে, এমনকি ফার্মগেট থেকে ধানমন্ডি যেতে রাজি করানোর জন্য তেল দিতে হয় আয়েশী রিকশা পাইলটকেও। অর্থাৎ জীবনের পয়েন্টে পয়েন্টে রয়েছে তেলের ব্যবহার। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে গেছে। শুধু তেল দিয়ে এখন আর কিছু হয় না। সঙ্গে দিতে হয় মহামূল্যবান ঘুষ! স্মার্টফোন আসার পর যেমন অন্য সব ফোনের বাজার পড়ে গেছে, ঠিক সেভাবেই ঘুষের প্রভাবে পড়ে গেছে তেলের বাজার। সেই হিসেবে বলা যায়, এখন তেলের কোনো দামই নাই। তার পরও দফায় দফায় কীভাবে তেলের দাম বাড়ছে সে এক বিরাট রহস্য! যে দেশে তেল দিয়ে এখন আর কিছুই হয় না, সে দেশে তেলের দাম বাড়ে কী করে? নিশ্চয়ই বিদেশি কোনো মহল স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তেল দিয়ে বাড়িয়েছে তেলের দাম! অথচ প্রতিবাদ তো দূরের কথা, বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবছেই না! তাই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টির সুরাহার জন্য কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments