জিরো লাইনে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া তৈরির খবরে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশীরা by আবুল হাসান
বিভিন্ন জাতিসত্তার মধ্যে ভাব আদান-প্রদানের জন্য আন্তঃদেশীয় সীমান্ত
উন্মুক্ত করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অথচ ভারত নিজেদের নিরাপত্তার অজুহাত
দেখিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে ১৫০ গজের বাইরে স্থাপন করেছে তিন স্তরবিশিষ্ট
কাঁটাতারের বেড়া।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন
করে ভারতের জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া তৈরির নতুন আবদারে সাড়া দিয়েছে
বাংলাদেশ। সেই বেড়া তৈরি করতে ভারত মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে ফেনী ও
খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশীদের অভিযোগ। ইতোমধ্যে ভারতের
চাহিদা অনুযায়ী জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের লক্ষ্যকে সামনে
নিয়ে কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি সেক্টরের অধীন ফেনী, খাগড়াছড়ি ও কুমিল্লা
জেলার বিভিন্ন সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরিদর্শন কাজ চলছে বলে জানা
গেছে। জিরো লাইনে ভারত কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করলে বাংলাদেশীদের জীবন
হুমকির মধ্যে পড়তে পারে বলে সীমান্তবাসীর আশঙ্কা। জিরো লাইনে ভারতের নতুন
দাবি নিয়ে গত ৫ নভেম্বর সিলেটে দু’দেশের চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন
হয়। ওই সম্মেলনে বিজিবির উপপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সায়ীদ খান,
এনডিসি, পিএসসির নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে বিজিবির রংপুর,
ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটির সেক্টর কমান্ডারেরা উপস্থিত
ছিলেন। ভারতের পক্ষে বিএসফের মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী সুদেশ
কুমারের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের মধ্যে ত্রিপুরা, মেঘালয়, গৌহাটি, মেঘালয় ও
মিজোরাম অ্যান্ড কাসার ফ্রন্টিয়ার আইজিসহ সে দেশের স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের কর্মকতারা সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। এতে একতরফা ১৫০ গজের
মধ্যে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিক
কর্তৃক নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের নির্বিচারে গুলি, হত্যা, আহত করাসহ
বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি সেক্টরের অধীনে সীমান্তে ২১টি স্থানে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরিদর্শন কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দু’টির পরিদর্শন শেষে বিজিবির মতামতসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে খাগড়াছড়ির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল হাফিজ আহছান নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন। অপর দিকে কুমিল্লা সেক্টরের অধীন ফেনীর পরশুরাম ও মজুমদারহাট এলাকায় ও নিজকালিকাপুরে যৌথ পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সৈয়দ গোলাম জাহিদ জানিয়েছেন। অবশ্য এর মধ্যে জিরো লাইনে বিজিবির বিওপি থাকায় বিজিবির পক্ষ থেকে ওই স্থানে বেড়া স্থাপনে নিষেধ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন বিষয়ে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশীরা জানান, জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের সুযোগ পেলে সীমান্তে বাংলাদেশীদের বসবাস করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। ভারত এ সুবিধা আদায় করে সীমান্তে তার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা অনেকের। অপর দিকে ভারত ফেনী সীমান্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে দিন দিন হুমকির মধ্যে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেনী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ দু’দেশের চোরাকারবারিদের সহযোগিতা করার পাশাপাশি সীমান্তে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সোর্সের মাধ্যমে বিজিবি ও বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্য পাচার করছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ছাগলনাইয়া সীমান্তের মটুয়া গ্রামের ২১৯১-৮ এস মেইন পিলার এলাকায় জিরোপয়েন্ট থেকে ১০ গজ ভেতরে বিএসএফের এক সোর্সকে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের সময় হাতেনাতে মোবাইলসহ আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবি থানায় মামলা করেছে। অপর দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের চোরাকারবারিদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে ভারতীয় ফেনসিডিলসহ মাদকের চালান, শাড়ি, ব্রয়লার মুরগির বাচ্চাসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সিম ব্যবহার করে দেদার নিরাপদে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য চালান করছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় সীমান্তে ফেনসিডিলসহ নানা অননুমোদিত মাদক কারখানা গড়ে উঠলেও বিএসএফ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে জানা গেছে। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বিভিন্ন আন্তঃদেশীয় বৈঠকে কারখানাগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তালিকা দেয়া হলেও নিছক আশ্বাসের বাইরে বিএসএফ কোনো পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদকের চালান বাংলাদেশে ঢুকতে বিএসএফের মদদ থাকে বলেও সীমান্তবর্তী বাংলাদেশী নাগরিকদের অভিযোগ। সীমান্তবাসী জানান, প্রতি মাসে ফেনীর ১১৯ কিলোমিটার সীমান্তপথে লাখ লাখ টাকার ফেনসিডিলসহ মাদকের চালান ঢুকছে। পাশাপাশি থ্রিপিস, মুরগির বাচ্চা, শাড়ি কাপড়ের চালান তো রয়েছেই। সীমান্তে চোরাচালানের বেশির ভাগই বিজিবির অগোচরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি সেক্টরের অধীনে সীমান্তে ২১টি স্থানে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরিদর্শন কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দু’টির পরিদর্শন শেষে বিজিবির মতামতসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে খাগড়াছড়ির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল হাফিজ আহছান নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন। অপর দিকে কুমিল্লা সেক্টরের অধীন ফেনীর পরশুরাম ও মজুমদারহাট এলাকায় ও নিজকালিকাপুরে যৌথ পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সৈয়দ গোলাম জাহিদ জানিয়েছেন। অবশ্য এর মধ্যে জিরো লাইনে বিজিবির বিওপি থাকায় বিজিবির পক্ষ থেকে ওই স্থানে বেড়া স্থাপনে নিষেধ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন বিষয়ে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশীরা জানান, জিরো লাইনে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের সুযোগ পেলে সীমান্তে বাংলাদেশীদের বসবাস করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। ভারত এ সুবিধা আদায় করে সীমান্তে তার আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা অনেকের। অপর দিকে ভারত ফেনী সীমান্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে দিন দিন হুমকির মধ্যে ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেনী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ দু’দেশের চোরাকারবারিদের সহযোগিতা করার পাশাপাশি সীমান্তে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সোর্সের মাধ্যমে বিজিবি ও বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্য পাচার করছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ছাগলনাইয়া সীমান্তের মটুয়া গ্রামের ২১৯১-৮ এস মেইন পিলার এলাকায় জিরোপয়েন্ট থেকে ১০ গজ ভেতরে বিএসএফের এক সোর্সকে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের সময় হাতেনাতে মোবাইলসহ আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবি থানায় মামলা করেছে। অপর দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের চোরাকারবারিদের মধ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশে ভারতীয় ফেনসিডিলসহ মাদকের চালান, শাড়ি, ব্রয়লার মুরগির বাচ্চাসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সিম ব্যবহার করে দেদার নিরাপদে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য চালান করছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় সীমান্তে ফেনসিডিলসহ নানা অননুমোদিত মাদক কারখানা গড়ে উঠলেও বিএসএফ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে জানা গেছে। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বিভিন্ন আন্তঃদেশীয় বৈঠকে কারখানাগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তালিকা দেয়া হলেও নিছক আশ্বাসের বাইরে বিএসএফ কোনো পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদকের চালান বাংলাদেশে ঢুকতে বিএসএফের মদদ থাকে বলেও সীমান্তবর্তী বাংলাদেশী নাগরিকদের অভিযোগ। সীমান্তবাসী জানান, প্রতি মাসে ফেনীর ১১৯ কিলোমিটার সীমান্তপথে লাখ লাখ টাকার ফেনসিডিলসহ মাদকের চালান ঢুকছে। পাশাপাশি থ্রিপিস, মুরগির বাচ্চা, শাড়ি কাপড়ের চালান তো রয়েছেই। সীমান্তে চোরাচালানের বেশির ভাগই বিজিবির অগোচরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়।
No comments