কবে পাওয়া যাবে পুলিশের প্রতিবেদন?- বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড
বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটি পুরো দেশকে নাড়া দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পর সাধারণত সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টনক নড়ে। কিন্তু বিশ্বজিতের ক্ষেত্রে উল্টোটাই ঘটছে।
স্বাভাবিক নিয়মে এই হত্যাকাণ্ডের যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা, সেটা পুলিশ দিচ্ছে না; ঘটনার সঙ্গে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনও মিলছে না। শেষ পর্যন্ত দেশের উচ্চ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, পুলিশকে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন কতটা তৎপর হয়ে পুলিশ তাদের প্রতিবেদন দেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
বিশ্বজিতের দুর্ভাগ্য, সে খুন হয়েছে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসীর হাতে। সংবাদমাধ্যমে এই খুনের ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। কারা বিশ্বজিৎকে ধাওয়া করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে, সবাই চিহ্নিত। এর পরও নানাভাবে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে, পুলিশ আসলে সেই পথেই চলছে, সরকারি চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও তারই প্রতিফলন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আর সার্বিকভাবে সরকারের। হতভাগ্য বিশ্বজিৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীদের নৃশংসতার শিকার হলো। ঘটনার কাছাকাছি অবস্থান নেওয়া পুলিশ বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে পারেনি, সেই ব্যর্থতা ঢাকার বড় উপায় ছিল এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সর্বোচ্চ তৎপরতা প্রদর্শন। এ ক্ষেত্রেও যখন পুলিশের গা-ছাড়া ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে, তখন তাদের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে উচ্চ আদালতের অবস্থান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে, সেটাই প্রত্যাশিত। আদালত পুলিশের প্রতি যথার্থ প্রশ্নই তুলেছেন, ‘ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চাক্ষুষ সাক্ষীও রয়েছে। ইতিমধ্যে দেড় মাস পেরিয়ে গেছে। এর পরও কেন অভিযোগপত্র দিতে দেরি হচ্ছে?’ আমরা আশা করব, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর পুলিশ দ্রুত ও যথাযথ অভিযোগপত্র দাখিল করবে। বিশ্বজিতের পরিবার কোনো দিনই আর ছেলেকে ফিরে পাবে না, সেই শোক ও কষ্ট তাদের সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। কিন্তু খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করে এই পরিবারকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেওয়ার দায় সরকার ও রাষ্ট্রের।
বিশ্বজিতের দুর্ভাগ্য, সে খুন হয়েছে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসীর হাতে। সংবাদমাধ্যমে এই খুনের ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। কারা বিশ্বজিৎকে ধাওয়া করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে, সবাই চিহ্নিত। এর পরও নানাভাবে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে, পুলিশ আসলে সেই পথেই চলছে, সরকারি চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও তারই প্রতিফলন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আর সার্বিকভাবে সরকারের। হতভাগ্য বিশ্বজিৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীদের নৃশংসতার শিকার হলো। ঘটনার কাছাকাছি অবস্থান নেওয়া পুলিশ বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে পারেনি, সেই ব্যর্থতা ঢাকার বড় উপায় ছিল এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সর্বোচ্চ তৎপরতা প্রদর্শন। এ ক্ষেত্রেও যখন পুলিশের গা-ছাড়া ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে, তখন তাদের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে উচ্চ আদালতের অবস্থান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে, সেটাই প্রত্যাশিত। আদালত পুলিশের প্রতি যথার্থ প্রশ্নই তুলেছেন, ‘ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। চাক্ষুষ সাক্ষীও রয়েছে। ইতিমধ্যে দেড় মাস পেরিয়ে গেছে। এর পরও কেন অভিযোগপত্র দিতে দেরি হচ্ছে?’ আমরা আশা করব, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর পুলিশ দ্রুত ও যথাযথ অভিযোগপত্র দাখিল করবে। বিশ্বজিতের পরিবার কোনো দিনই আর ছেলেকে ফিরে পাবে না, সেই শোক ও কষ্ট তাদের সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। কিন্তু খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করে এই পরিবারকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেওয়ার দায় সরকার ও রাষ্ট্রের।
No comments