বিরোধী দলের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি- কোনো অভিযোগ বা প্রস্তাব থাকলে সংসদে বলুন
সংসদে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমান বলেছেন, বিরোধী দল গত চার
বছরে সংসদীয় কর্মকাণ্ডে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণে বিরত থেকে তাদের সাংবিধানিক ও
গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি সংসদ ও সরকারের মেয়াদের
সমাপনী বছরে বিরোধী দলকে বয়কট ও জ্বালাও পোড়াও-সঙ্ঘাত নৈরাজ্যের পথ পরিহার
করে যাবতীয় অভিযোগ প্রস্তাব, সুপারিশ, মতামত সংসদের ভেতরে এসে বলার আহ্বান
জানান। বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দিয়ে
রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রাজ্ঞ
নেতৃত্বে ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আগামীতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং
সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সংসদীয় নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো।
গতকাল সংসদের ১৬তম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। বছরের প্রথম অধিবেশনে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিকেলে স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। ভাষণটি ১৪৮ পৃষ্ঠার হলেও তিনি মাত্র ১০ মিনিটে এর উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ পাঠ করেন। ভাষণে প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগের ভিত্তিতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। ভাষণটি এর আগেই মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের কড়া সমালোচনা করে বলেন, জনগণের প্রতিনিধি ও সেবক হিসেবে বিরোধী দলের কর্তব্য ছিল সংসদে এসে তাদের দায়িত্ব পালন করা এবং সংসদের ভেতরে ও বাইরে সংবিধান সংশোধনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মতামত ব্যক্ত করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রধান বিরোধী দল গত চার বছরে সংসদীয় কর্মকাণ্ডে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকে তাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের উপসংহারে আরো বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের পর একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম আলোচনার প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ও আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আগামীতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সংসদীয় নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো। রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সমালোচনা করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তার অন্যতম প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার হিসেবে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করেছে। দু’টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১২টি মামলা বিচারাধীন আছে। একটি মামলায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রায় ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে। আশা করা যায়, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে এই মামলাগুলোর বিচারকাজ সম্পন্ন হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় বর্তমান সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা রয়েছে। বর্তমানে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির গুণগত ও পরিমাণগত উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে দুর্র্নীতি দমন ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে ব্যাপক গুণগত ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধসমৃদ্ধ বলিষ্ঠ পররাষ্ট্রনীতি পুনঃস্থাপন করেছে, যা বর্তমানে একটি সমন্বিত কার্যকর ও বেগবান রূপ পরিগ্রহ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সংহত করার জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাকিস্তানের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন প্রচেষ্টার পাশাপাশি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ ও অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং আটকেপড়া পাকিস্তানিদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ তার দাবি বিভিন্ন পর্যায়ে উত্থাপন করে আসছে। পূর্বমুখী কূটনীতি বাস্তবায়নে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উষ্ণরূপ পরিগ্রহ করেছে। তিনি বলেন, সরকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের বৈদেশিক অর্থায়ন নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে ঠিকাদার নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৩ সালের মধ্যেই সেতু নির্মাণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নে হলেও এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গত চার বছর কঠোর ও নিরলস পরিশ্রম করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই অর্জন করেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী এই সমাপনী বছরে সরকারের অবশিষ্ট অঙ্গীকার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর রেওয়াজ অনুযায়ী চিফ হুইপ ধন্যবাদ প্রস্তাব আনবেন আগামী বৈঠকে। এই প্রস্তাবের ওপর কার্য উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪০ ঘণ্টা আলোচনা হবে। সংসদের পরবর্তী বৈঠক বসবে আগামী বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায়।
গতকাল সংসদের ১৬তম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। বছরের প্রথম অধিবেশনে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিকেলে স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। ভাষণটি ১৪৮ পৃষ্ঠার হলেও তিনি মাত্র ১০ মিনিটে এর উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ পাঠ করেন। ভাষণে প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগের ভিত্তিতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। ভাষণটি এর আগেই মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের কড়া সমালোচনা করে বলেন, জনগণের প্রতিনিধি ও সেবক হিসেবে বিরোধী দলের কর্তব্য ছিল সংসদে এসে তাদের দায়িত্ব পালন করা এবং সংসদের ভেতরে ও বাইরে সংবিধান সংশোধনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মতামত ব্যক্ত করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রধান বিরোধী দল গত চার বছরে সংসদীয় কর্মকাণ্ডে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকে তাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের উপসংহারে আরো বলেন, প্রধান বিরোধী দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের পর একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম আলোচনার প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ও আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আগামীতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সংসদীয় নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো। রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সমালোচনা করেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তার অন্যতম প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার হিসেবে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ শুরু করেছে। দু’টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১২টি মামলা বিচারাধীন আছে। একটি মামলায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রায় ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে। আশা করা যায়, বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে এই মামলাগুলোর বিচারকাজ সম্পন্ন হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় বর্তমান সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা রয়েছে। বর্তমানে দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির গুণগত ও পরিমাণগত উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে দুর্র্নীতি দমন ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে ব্যাপক গুণগত ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধসমৃদ্ধ বলিষ্ঠ পররাষ্ট্রনীতি পুনঃস্থাপন করেছে, যা বর্তমানে একটি সমন্বিত কার্যকর ও বেগবান রূপ পরিগ্রহ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক সংহত করার জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাকিস্তানের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন প্রচেষ্টার পাশাপাশি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ ও অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং আটকেপড়া পাকিস্তানিদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ তার দাবি বিভিন্ন পর্যায়ে উত্থাপন করে আসছে। পূর্বমুখী কূটনীতি বাস্তবায়নে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উষ্ণরূপ পরিগ্রহ করেছে। তিনি বলেন, সরকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের বৈদেশিক অর্থায়ন নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনের প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে ঠিকাদার নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৩ সালের মধ্যেই সেতু নির্মাণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রয়োজনে নিজস্ব অর্থায়নে হলেও এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গত চার বছর কঠোর ও নিরলস পরিশ্রম করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই অর্জন করেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী এই সমাপনী বছরে সরকারের অবশিষ্ট অঙ্গীকার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর রেওয়াজ অনুযায়ী চিফ হুইপ ধন্যবাদ প্রস্তাব আনবেন আগামী বৈঠকে। এই প্রস্তাবের ওপর কার্য উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪০ ঘণ্টা আলোচনা হবে। সংসদের পরবর্তী বৈঠক বসবে আগামী বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায়।
No comments