মালিঝির বুকে বাঁধ চলছে চাষবাসও by আবদুল মান্নান
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মালিঝি শাখা নদী বিভিন্ন স্থান দখল হয়ে গেছে। নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন ও চাষাবাদ চলছে। ফলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আর শুকনো মৌসুমে বোরো ধান ও রবিশস্য আবাদ করতে গিয়ে কৃষকেরা সেচের পানি পান না।
জাতীয় পানি নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি জলাশয় যেমন: নদী, খাল-বিল, হাওর ও নিম্নাঞ্চল ভরাট বা দখল করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জানা গেছে, মালিঝি নদীটির শাখা উপজেলার কলসপাড় ও যোগানিয়া ইউনিয়নের কাপাসিয়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মরিচপুরান ইউনিয়নের দুগাঙ্গা এলাকায় ভোগাই নদীতে গিয়ে মিশেছে। দীর্ঘদিন নদী খনন না করায় এবং পাহাড়ের বালুমিশ্রিত পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যায়। ফলে বোয়ালমারী, পিপুলেস্বর, টাকিমারী, ঝিনুইকুড়ি, বাইটকামারী বিল পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে অবৈধ দখলদারদের আধিপত্য। প্রায় ২৭ বছর ধরে নদীর দুই পাশে মাটি ভরাট করে চাষাবাদ করা ছাড়াও নির্মাণ করা হয়েছে ঘরবাড়ি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম কাপাসিয়া গ্রামের সঙ্গে পিপুলেস্বর গ্রামের সংযোগ রক্ষাকারী ১২০ ফুট দীর্ঘ বেইলি সেতুটির নিচে ১০০ ফুট বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন করছেন কাপাসিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন। দুই বছর আগে বাঁধটি দেন তিনি। এই বাঁধের পূর্ব পাশে ৭৫ শতাংশ নদী দখল করে চলছে গম চাষ।
কলসপাড় থেকে কাপাসিয়া এলাকায় নদীর মূল সীমানার বিভিন্ন স্থানে মাটি ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে চাষের জমি। ছোট্ট নালার মতো এক চিলতে জায়গা দিয়ে প্রবাহিত পানি জানান দিচ্ছে নদীর অস্তিত্ব। কাপাসিয়া গ্রামের কৃষক আবদুর রউফ জানান, খেয়ালখুশি মতো নদীটি দখল হয়ে যাওয়ায় চকযোগানিয়া, জামিরাকান্দা, আড়িনাপাড়া, গেরামারা এলাকার কৃষকদের প্রতিবছর চাষাবাদে সমস্যায় পড়তে হয়।
কাপাসিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম জানান, বাঁধ দেওয়ার ব্যাপারে ইসমাইল হোসেনকে বাধা দেওয়া হলে তিনি নিজের জমি বলে দাবি করেন। কৃষক আতস আলী জানান, নদী দখলের কারণে বর্ষায় উজানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। শুকনো মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় চাষাবাদে এলাকার কৃষকেরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নদীর দুই পাশে জমির মালিকেরা মাটি ভরাট করে চাষাবাদ করছেন। তাই আমার জমিতে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের সময় এলাকাবাসীর অভিযোগের কারণে কাজ বন্ধ রেখেছি। জনসাধারণের অসুবিধা হলে বাঁধ ভেঙে দেব।’
যোগানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবেদ আলী বলেন, কোনোভাবেই নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সরকারি জমি দখলের উদ্দেশ্যে নদী ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ ও চাষাবাদ সম্পূর্ণ অবৈধ এবং বেআইনি। শিগগিরই নদীটি দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জানা গেছে, মালিঝি নদীটির শাখা উপজেলার কলসপাড় ও যোগানিয়া ইউনিয়নের কাপাসিয়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মরিচপুরান ইউনিয়নের দুগাঙ্গা এলাকায় ভোগাই নদীতে গিয়ে মিশেছে। দীর্ঘদিন নদী খনন না করায় এবং পাহাড়ের বালুমিশ্রিত পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যায়। ফলে বোয়ালমারী, পিপুলেস্বর, টাকিমারী, ঝিনুইকুড়ি, বাইটকামারী বিল পানিশূন্য হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে অবৈধ দখলদারদের আধিপত্য। প্রায় ২৭ বছর ধরে নদীর দুই পাশে মাটি ভরাট করে চাষাবাদ করা ছাড়াও নির্মাণ করা হয়েছে ঘরবাড়ি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম কাপাসিয়া গ্রামের সঙ্গে পিপুলেস্বর গ্রামের সংযোগ রক্ষাকারী ১২০ ফুট দীর্ঘ বেইলি সেতুটির নিচে ১০০ ফুট বাঁধ দিয়ে পুকুর খনন করছেন কাপাসিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন। দুই বছর আগে বাঁধটি দেন তিনি। এই বাঁধের পূর্ব পাশে ৭৫ শতাংশ নদী দখল করে চলছে গম চাষ।
কলসপাড় থেকে কাপাসিয়া এলাকায় নদীর মূল সীমানার বিভিন্ন স্থানে মাটি ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে চাষের জমি। ছোট্ট নালার মতো এক চিলতে জায়গা দিয়ে প্রবাহিত পানি জানান দিচ্ছে নদীর অস্তিত্ব। কাপাসিয়া গ্রামের কৃষক আবদুর রউফ জানান, খেয়ালখুশি মতো নদীটি দখল হয়ে যাওয়ায় চকযোগানিয়া, জামিরাকান্দা, আড়িনাপাড়া, গেরামারা এলাকার কৃষকদের প্রতিবছর চাষাবাদে সমস্যায় পড়তে হয়।
কাপাসিয়া এলাকার শহিদুল ইসলাম জানান, বাঁধ দেওয়ার ব্যাপারে ইসমাইল হোসেনকে বাধা দেওয়া হলে তিনি নিজের জমি বলে দাবি করেন। কৃষক আতস আলী জানান, নদী দখলের কারণে বর্ষায় উজানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। শুকনো মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় চাষাবাদে এলাকার কৃষকেরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নদীর দুই পাশে জমির মালিকেরা মাটি ভরাট করে চাষাবাদ করছেন। তাই আমার জমিতে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের সময় এলাকাবাসীর অভিযোগের কারণে কাজ বন্ধ রেখেছি। জনসাধারণের অসুবিধা হলে বাঁধ ভেঙে দেব।’
যোগানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবেদ আলী বলেন, কোনোভাবেই নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সরকারি জমি দখলের উদ্দেশ্যে নদী ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ ও চাষাবাদ সম্পূর্ণ অবৈধ এবং বেআইনি। শিগগিরই নদীটি দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
No comments