রাষ্ট্রপতিকে ফারুক-বিরোধী দলের আসন কেন ফাঁকা থাকে প্রধানমন্ত্রীকে একবারও জিজ্ঞেস করেছেন?

সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরপরই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিল উত্থাপনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতের কাঠগড়ায় এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে রেখে সংসদে যাবে না বিরোধী দল। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্দলীয় নিরপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের নামে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই মানববন্ধন করেন এমপিরা।

রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, আপনি যখন স্পিকারের পাশে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেবেন, তখন আপনার সামনে আসনগুলো কেন ফাঁকা থাকে এ কথা প্রধানমন্ত্রীকে কি জিজ্ঞেস করবেন? গত চার বছরে আপনি একবারও কি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন? আপনারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছেন। ফারুক বলেন, আমরা এমন সংসদে যেতে চাই না যেখানে সত্য কথা বলতে পারব না। সরকারের দুর্নীতির কথা বলতে পারব না। হলমার্ক, শেয়ারবাজার, ডেসটিনি ও পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের লুটপাটের কথা বলতে পারব না। তত্ত্বাবধায়ক বিল আনলে আমরা সংসদে অংশ নেবো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ জাতীয় সংসদ থেকেই পাস হয়েছিল। সরকার দেশকে সঙ্ঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

ফারুক বলেন, সরকার দুর্নীতি করে বিশ্বব্যাংকের টাকা লুটপাট করে বিশ্বব্যাপী নাম করেছে। সরকারের উচিত খালেদা জিয়ার নামে মিথ্য মামলা প্রত্যাহার করা। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা সংসদে যেতে চাই। আমরা মনে করি জাতীয় সংসদ সব মতার অধিকারী। কিন্তু সরকার জাতীয় সংসদকে মতার অধিকারী মনে করে না। তারা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তাদের মতার উৎস মনে করে। বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তা যদি বাড়াবাড়ি করে তবে তার ছবি তুলে রাখুন। আগামীতে ওই ছবি দেখে বিচার হবে। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত রায়। সরকার বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে আদালতের রায়কে পরিবর্তন করেছে। তবুও সরকারের শেষ রা হবে না। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন মাহমুদুল হাসান, আমজাদ হোসেন, মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, রেহানা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হীরা, আশিফা আশরাফি পাপিয়া প্রমুখ।
       

No comments

Powered by Blogger.