নতুন মামলায় মির্জা ফখরুলকে দুই মাস গ্রেফতার না দেখানোর নির্দেশ
যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নতুন মামলায় দুই মাস গ্রেফতার না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে জামিন পাওয়ার পর যথাযথ আদালত কর্তৃক ইস্যু করা গ্রেফতারী পরোয়ানা এবং আইনের যথাযথ বিধান ব্যতীত মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত। রবিবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ ও রুল জারি করে।দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের ডিসি (প্রসিউশন), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, ঢাকার আইজি (প্রিজন), লালবাগ ও উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, গাজীপুরের এসপি, কাশিমপুর কারাগার-২কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
রিমা- ও জামিন নাকচ ॥ রাজধানীর পল্টন থানার পুলিশকে হত্যাচেষ্টা ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। এ সময় তাঁর জামিনের আবেদন করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাও নাকচ করে দেন। রবিবার সকালে রিমান্ড ও জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এ সময় মির্জা ফখরুলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর উপস্থিতিতেই আবেদন দুটির ওপর শুনানি হয়। এছাড়া কলাবাগান থানার পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়া, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফখরুলের জামিনের আবেদন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোঃ জহুরুল হক আগামী ৩০ জানুয়ারি জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
No comments