বিচারক নিয়োগ নীতিমালা থেকে সরকারের পিছুটান by খোকন বড়ুয়া
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা
প্রণয়ন থেকে পিছু হটেছে সরকার। দুই মাস আগে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির
সিদ্ধান্ত থাকলেও ওই সিদ্ধান্ত আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
দলীয় বিবেচনায় নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা নির্ধারণ নিয়মনীতির বেড়াজালে
আটকে যেতে পারে। এ কারণেই সরকার ওই সিদ্ধান্ত থেকে পিছুটান দিয়েছে বলে
জানা গেছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতির সম্মতি নিয়ে এই বিধির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে শিাগত যোগ্যতা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতায় তৃতীয় বিভাগ বা তৃতীয় শ্রেণী গ্রহণযোগ্য হবে না। যারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, নিয়োগের েেত্র শুধু তাদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হবে। বিচারপতি নিয়োগের বিধান সমুন্নত রাখার জন্য সংবিধানে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে দীর্ঘ ৪০ বছরেও কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। তাই বারবার বিচারপতি নিয়োগে দেখা দেয় বিতর্ক। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠেÑ অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, সততার বিষয় উপেক্ষা করে রাজনৈতিক ও দলীয় বিবেচনায় বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের গত চার বছরে উচ্চ আদালতে অর্ধশতাধিক বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নিম্ন আদালতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এক হাজার ৬০০ বিচারক।
স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ৬ জুন সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। একইসাথে প্রণীত নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ কেন করা হবে না জানতে চান আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের আইনসচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা বলা হয়েছিল।
এ দিকে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারক নিয়োগ দেবেন। সংবিধান অনুযায়ী আইন পেশায় ১০ বছর মেয়াদ বা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার পদে ১০ বছর অতিবাহিত হলেই হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হবে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে এবং রাজনৈতিকভাবে সুপ্রিম কোর্টকে করায়ত্তের চেষ্টা বন্ধ করতে একটি আইন করা হয়। ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন অধ্যাদেশ ২০০৮’ নামে এ অধ্যাদেশটিতে প্রস্তাবিত ব্যক্তির শিাগত যোগ্যতা, পেশাগত দতা, জ্যেষ্ঠতা, সততা ও সুনামসহ কিছু বিষয় নির্ধারণ করা হয়। উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করতে কমিশনের মৌখিক সাাৎকার গ্রহণ এবং বাছাইপ্রক্রিয়ায় কারো মতামত বা পরামর্শ প্রয়োজন হলে যেকোনো ব্যক্তিকে কমিশনের সভায় আমন্ত্রণ করার বিধান ছিল। স্থায়ী করার েেত্র হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দতা, জ্যেষ্ঠতা, পেশাগত সততা ও সুনামসহ সার্বিক উপযুক্ততা বিশেষভাবে বিবেচনা করার মতা ছিল কমিশনের। হাইকোর্ট থেকে আপিল বিভাগে নিয়োগের েেত্রও অভিন্ন বিধান অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে কিছু ত্রুটি থাকায় তা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ অধ্যাদেশের একটি উপবিধি অকার্যকর হিসেবে বাতিল করেন। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর এই অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করার সুযোগ থাকলেও তা করা হয়নি।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতির সম্মতি নিয়ে এই বিধির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে শিাগত যোগ্যতা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। কোনো প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতায় তৃতীয় বিভাগ বা তৃতীয় শ্রেণী গ্রহণযোগ্য হবে না। যারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, নিয়োগের েেত্র শুধু তাদেরকেই প্রাধান্য দেয়া হবে। বিচারপতি নিয়োগের বিধান সমুন্নত রাখার জন্য সংবিধানে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে দীর্ঘ ৪০ বছরেও কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। তাই বারবার বিচারপতি নিয়োগে দেখা দেয় বিতর্ক। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠেÑ অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, সততার বিষয় উপেক্ষা করে রাজনৈতিক ও দলীয় বিবেচনায় বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের গত চার বছরে উচ্চ আদালতে অর্ধশতাধিক বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নিম্ন আদালতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এক হাজার ৬০০ বিচারক।
স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট ২০১০ সালের ৬ জুন সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। একইসাথে প্রণীত নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ কেন করা হবে না জানতে চান আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের আইনসচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা বলা হয়েছিল।
এ দিকে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারক নিয়োগ দেবেন। সংবিধান অনুযায়ী আইন পেশায় ১০ বছর মেয়াদ বা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার পদে ১০ বছর অতিবাহিত হলেই হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হবে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক এড়াতে এবং রাজনৈতিকভাবে সুপ্রিম কোর্টকে করায়ত্তের চেষ্টা বন্ধ করতে একটি আইন করা হয়। ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন অধ্যাদেশ ২০০৮’ নামে এ অধ্যাদেশটিতে প্রস্তাবিত ব্যক্তির শিাগত যোগ্যতা, পেশাগত দতা, জ্যেষ্ঠতা, সততা ও সুনামসহ কিছু বিষয় নির্ধারণ করা হয়। উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করতে কমিশনের মৌখিক সাাৎকার গ্রহণ এবং বাছাইপ্রক্রিয়ায় কারো মতামত বা পরামর্শ প্রয়োজন হলে যেকোনো ব্যক্তিকে কমিশনের সভায় আমন্ত্রণ করার বিধান ছিল। স্থায়ী করার েেত্র হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দতা, জ্যেষ্ঠতা, পেশাগত সততা ও সুনামসহ সার্বিক উপযুক্ততা বিশেষভাবে বিবেচনা করার মতা ছিল কমিশনের। হাইকোর্ট থেকে আপিল বিভাগে নিয়োগের েেত্রও অভিন্ন বিধান অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে কিছু ত্রুটি থাকায় তা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ অধ্যাদেশের একটি উপবিধি অকার্যকর হিসেবে বাতিল করেন। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর এই অধ্যাদেশটিকে আইনে পরিণত করার সুযোগ থাকলেও তা করা হয়নি।
No comments