ছিন্নমূল জীবনে শিশু মনিরের ভবিষ্যৎ কী? by জাহিদউদ্দিন আহমেদ সায়মন
দিনমজুরি করে পেটের ভাত যোগান মমতা। স্বামী মিন্টু রিকশা চালক। একটাই সন্তান তাদের, নাম মনির। ঢাকার কেরানীগঞ্জে তাদের আবাস।
কেরানীগঞ্জের
বাবুগঞ্জে অবস্থিত বাবু বাজারের কাছে দৈনিক চুক্তি ভিত্তিতে মাটি কাটার
কাজ করেন মমতা। আর স্বামী দৈনিক ভাড়া ভিত্তিতে খাটেন রিকশা। স্বামী স্ত্রীর
অমানুষিক কায়িক শ্রমে চাকা ঘোরে তিনজনের সংসারের।
সংসার
বলতে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন। দু’বেলা খাবার যোগাড় করতেই যেখানে
তাদের দু’জনের পাওনা পারিশ্রমিক হিমশিম খেয়ে যায় সেখানে অন্যান্য মৌলিক
অধিকার বাহুল্যই বটে।
রোজ সকালে সন্তান মনিরকে নিয়েই দিনমজুরি খাটতে যান মমতা। বস্তির ঝুপড়িতে সন্তান মনিরকে রেখে যাবেন এমন বন্দোবস্ত নেই। তাই মায়ের কঠিন সংগ্রামময় পরিশ্রমের প্রত্যেকটি ক্ষণের নীরব সাক্ষী হয়েই সময় কাটাতে হয় মনিরকে।
অথচ এ বয়সে পড়াশোনা আর খেলাধুলায় মেতে ওঠার কথা মনিরের। কিন্তু যেখানে সর্বগ্রাসী ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় সেখানে পড়াশোনা আর খেলাধুলার বাণী তো মনিরদের কাছে পূর্ণিমার চাঁদের মতই দুর্লভ আর দুষ্প্রাপ্য কোনো বিষয়।
নীরবে দিনের পর দিন মায়ের কঠিন সংগ্রাম চাক্ষুস করতে করতে এই বয়সেই মনিররা বুঝে যায় পৃথিবীতে তাদের শখ, ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কোনো মূল্য নেই, এমনকি সুস্থভাবে বেঁচে থাকারও অধিকার নেই।
মনিরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো পড়াশোনার ব্যাপারে তার আগ্রহ আছে, কিন্তু কোন ব্যবস্থার কথা জানা নেই তার।
নিত্য অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় খড়কুটোর মতই ভেসে থাকতে হচ্ছে মনিরের পরিবারকে। এ রকম হাজারো মনির ছড়িয়ে ছটিয়ে আছে বাংলার জমিনের আনাচে কানাচে। তাদের কজনেরই খবর আর রাখা হয়।
কিন্তু মনিরদের ভবিষ্যৎ কি? কী জবাব দেবেন মানবাধিকার আর শিশু অধিকার নিয়ে নিত্য সরব আমাদের রাষ্ট্র আর সুশীল সমাজের কর্ণধাররা ?
ব্রিটিশ গেলো, পাকিস্তান গেলো, বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু মনিরদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না।
যদি এই মনিররা কখনও জানতে চায় স্বাধীনতার মানে কী , যদি কোনো দিন প্রশ্ন করে স্বাধীনতার সংগা কী, যদি জিজ্ঞেস করে এই স্বাধীন দেশেও কেনো তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না, তবে কী জবাব দেবেন দেশ দরদী রাজনীতিক, সুশীল সমাজ আর সচেতন নাগরিকের লেবাস লাগানো সমাজের সুবিধাভোগীরা ?
রোজ সকালে সন্তান মনিরকে নিয়েই দিনমজুরি খাটতে যান মমতা। বস্তির ঝুপড়িতে সন্তান মনিরকে রেখে যাবেন এমন বন্দোবস্ত নেই। তাই মায়ের কঠিন সংগ্রামময় পরিশ্রমের প্রত্যেকটি ক্ষণের নীরব সাক্ষী হয়েই সময় কাটাতে হয় মনিরকে।
অথচ এ বয়সে পড়াশোনা আর খেলাধুলায় মেতে ওঠার কথা মনিরের। কিন্তু যেখানে সর্বগ্রাসী ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় সেখানে পড়াশোনা আর খেলাধুলার বাণী তো মনিরদের কাছে পূর্ণিমার চাঁদের মতই দুর্লভ আর দুষ্প্রাপ্য কোনো বিষয়।
নীরবে দিনের পর দিন মায়ের কঠিন সংগ্রাম চাক্ষুস করতে করতে এই বয়সেই মনিররা বুঝে যায় পৃথিবীতে তাদের শখ, ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কোনো মূল্য নেই, এমনকি সুস্থভাবে বেঁচে থাকারও অধিকার নেই।
মনিরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো পড়াশোনার ব্যাপারে তার আগ্রহ আছে, কিন্তু কোন ব্যবস্থার কথা জানা নেই তার।
নিত্য অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় খড়কুটোর মতই ভেসে থাকতে হচ্ছে মনিরের পরিবারকে। এ রকম হাজারো মনির ছড়িয়ে ছটিয়ে আছে বাংলার জমিনের আনাচে কানাচে। তাদের কজনেরই খবর আর রাখা হয়।
কিন্তু মনিরদের ভবিষ্যৎ কি? কী জবাব দেবেন মানবাধিকার আর শিশু অধিকার নিয়ে নিত্য সরব আমাদের রাষ্ট্র আর সুশীল সমাজের কর্ণধাররা ?
ব্রিটিশ গেলো, পাকিস্তান গেলো, বাংলাদেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু মনিরদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না।
যদি এই মনিররা কখনও জানতে চায় স্বাধীনতার মানে কী , যদি কোনো দিন প্রশ্ন করে স্বাধীনতার সংগা কী, যদি জিজ্ঞেস করে এই স্বাধীন দেশেও কেনো তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না, তবে কী জবাব দেবেন দেশ দরদী রাজনীতিক, সুশীল সমাজ আর সচেতন নাগরিকের লেবাস লাগানো সমাজের সুবিধাভোগীরা ?
প্রতিবেদকঃ জাহিদউদ্দিন আহমেদ সায়মন
No comments