চাইলে ২০১৬ সালে হিলারিই হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ‘নিশ্চিত’ করে বলা যায়, এমন বিষয় খুব কম আছে। তার পরও এটি মনে হয় লিখে রাখা যায়, হিলারি ক্লিনটন আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে তিনিই হবেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট!
বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন পেতে লড়াই করতে পারেন, এমন নেতার তালিকা অবশ্য দীর্ঘ। তালিকার শুরুর দিকে আছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ডেমোক্র্যাট অ্যান্ড্রু কুমো, মার্ক ওয়ার্নার, মার্টিন ও’মালে প্রমুখ। তবে এই নেতাদের সবার মনেই হয়তো একটি প্রশ্ন উঁকি দেয়, হিলারি কি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চান?
প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিদের মনে এমন প্রশ্ন উঁকি দেওয়ার কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিলারি। বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এবং এর আগে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সাফল্যই তাঁকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক। স্বামী বিল ক্লিনটন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ ছাড়া দেশজুড়ে রয়েছে তাঁর দাতা নেটওয়ার্ক, প্রচারকর্মী, একনিষ্ঠ সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষী। হিলারি ইচ্ছা করলেই তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তহবিল সংগ্রহ বা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরির চেষ্টা এক কথাতেই শেষ করে দিতে পারেন। এটি করতে তাঁর ‘নির্বাচনের ব্যাপারে আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি’ বলাই যথেষ্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের গত দুই দশকের ইতিহাসে হিলারিকেই সবচেয়ে সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভাবা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বা জেমস বেকারের মতোই সমান সফল হিলারি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তো বটেই, মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন হিলারি। শুধু তা-ই নয়, মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গেও তাঁর ইতিবাচক সম্পর্ক উল্লেখ করার মতো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারির সাফল্যের মধ্যে রয়েছে লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সক্রিয় করা, এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব বাড়ানোর কাজের সূচনা, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে কাজ করা, ইরানের ওপর নজিরবিহীন অবরোধ আরোপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাজি করানো প্রভৃতি। অবশ্য লিবিয়ার বেনগাজিতে হামলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে।
হিলারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চাইলে দল ও মার্কিন জনগণ অবশ্যই তাঁর সার্বিক সাফল্যের কথা বিবেচনা করবে। আর ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন তাঁরই পাওয়ার কথা। কারণ, এখন সক্রিয় ডেমোক্র্যাট দলীয় রাজনীতিকদের মধ্যে তিনিই সুপরিচিত ও জনপ্রিয়। হিলারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে তিনিই হবেন দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে ২০১৬ সালে। হিলারির জন্য সুবিধা হলো, নির্বাচন করতে চাইলে সেই প্রচারণা শুরুর জন্য দুই বছর সময় পাচ্ছেন তিনি। এই সময়ে তিনি শক্তি সঞ্চয় ও প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সিএনএন।
প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিদের মনে এমন প্রশ্ন উঁকি দেওয়ার কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিলারি। বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এবং এর আগে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সাফল্যই তাঁকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক। স্বামী বিল ক্লিনটন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এ ছাড়া দেশজুড়ে রয়েছে তাঁর দাতা নেটওয়ার্ক, প্রচারকর্মী, একনিষ্ঠ সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষী। হিলারি ইচ্ছা করলেই তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তহবিল সংগ্রহ বা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরির চেষ্টা এক কথাতেই শেষ করে দিতে পারেন। এটি করতে তাঁর ‘নির্বাচনের ব্যাপারে আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি’ বলাই যথেষ্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের গত দুই দশকের ইতিহাসে হিলারিকেই সবচেয়ে সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভাবা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বা জেমস বেকারের মতোই সমান সফল হিলারি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তো বটেই, মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন হিলারি। শুধু তা-ই নয়, মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গেও তাঁর ইতিবাচক সম্পর্ক উল্লেখ করার মতো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারির সাফল্যের মধ্যে রয়েছে লিবিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা সক্রিয় করা, এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব বাড়ানোর কাজের সূচনা, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে কাজ করা, ইরানের ওপর নজিরবিহীন অবরোধ আরোপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাজি করানো প্রভৃতি। অবশ্য লিবিয়ার বেনগাজিতে হামলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে।
হিলারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চাইলে দল ও মার্কিন জনগণ অবশ্যই তাঁর সার্বিক সাফল্যের কথা বিবেচনা করবে। আর ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন তাঁরই পাওয়ার কথা। কারণ, এখন সক্রিয় ডেমোক্র্যাট দলীয় রাজনীতিকদের মধ্যে তিনিই সুপরিচিত ও জনপ্রিয়। হিলারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে তিনিই হবেন দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে ২০১৬ সালে। হিলারির জন্য সুবিধা হলো, নির্বাচন করতে চাইলে সেই প্রচারণা শুরুর জন্য দুই বছর সময় পাচ্ছেন তিনি। এই সময়ে তিনি শক্তি সঞ্চয় ও প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সিএনএন।
No comments