বিএনপির জাতীয় সম্মেলন মার্চে, কাল ঢাকায় বিক্ষোভ-রাষ্ট্রপতির ভাষণ প্রত্যাখ্যান
জাতীয় সংসদে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণকে সরকারের দলীয় বক্তব্য উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। গতকাল রবিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানানো হয়।
ওই বৈঠকে আগামী মার্চে জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সব পর্যায়ের নেতাদের 'মিথ্যা মামলা' প্রত্যাহার এবং আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে দলটি।
এদিকে আজ সোমবার জোটের শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সূত্র জানায়।
গতকাল রাত ৯টার দিকে বৈঠক শুরু হয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে শেষ হয়। বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফিং করা হয়নি। আজ ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। তবে বৈঠক শেষে গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম আগামীকাল ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মার্চের কোনো একসময় দলের জাতীয় সম্মেলন করার কথা জানান। তিনি আরো জানান, মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে আজ সোমবার রাতে ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হবে।
সংসদে যাওয়া না-যাওয়ার প্রশ্নে তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি বলা যাবে না। তবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারের চিন্তাচেতনা ও সরকারের বক্তব্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিজের কোনো বক্তব্য ছিল না। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে দলীয় বক্তব্য দেওয়া শোভন নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদে যাওয়া না-যাওয়ার বিষয় নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। আর সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেও এখনই নয়। বরং বিএনপি সংসদে যেতে চায়। তবে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে দলের বক্তব্য ছিল। তাই রাষ্ট্রপতির এ ভাষণ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী জেলায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরে সমাবেশ করবে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। সব সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন খালেদা জিয়া।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, ড. আবদুল মঈন খান, জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সরোয়ারী রহমান প্রমুখ।
এদিকে আজ সোমবার জোটের শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সূত্র জানায়।
গতকাল রাত ৯টার দিকে বৈঠক শুরু হয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে শেষ হয়। বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক কোনো ব্রিফিং করা হয়নি। আজ ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে। তবে বৈঠক শেষে গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম আগামীকাল ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মার্চের কোনো একসময় দলের জাতীয় সম্মেলন করার কথা জানান। তিনি আরো জানান, মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে আজ সোমবার রাতে ১৮ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হবে।
সংসদে যাওয়া না-যাওয়ার প্রশ্নে তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি বলা যাবে না। তবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারের চিন্তাচেতনা ও সরকারের বক্তব্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিজের কোনো বক্তব্য ছিল না। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে দলীয় বক্তব্য দেওয়া শোভন নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, সংসদে যাওয়া না-যাওয়ার বিষয় নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। আর সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেও এখনই নয়। বরং বিএনপি সংসদে যেতে চায়। তবে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে দলের বক্তব্য ছিল। তাই রাষ্ট্রপতির এ ভাষণ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী জেলায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরে সমাবেশ করবে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট। সব সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন খালেদা জিয়া।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, ড. আবদুল মঈন খান, জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সরোয়ারী রহমান প্রমুখ।
No comments