ধাপে ধাপে শিক্ষকদের দাবি পূরণ হোক-টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য

বেতন-ভাতা বাড়ানো এবং চাকরি জাতীয়করণসহ নানা দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষকরা। শিক্ষকদের এ আন্দোলন নিয়ে অভিমত জানিয়েছেন পাঠকরা।
গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক

সৈয়দ রেজাউল করিম জাহাঙ্গীর
চাকরিজীবী, লাকসাম
শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের দাবি-দাওয়া সেভাবে দেখা উচিত, যাতে তাদের সম্মান নষ্ট না হয়। তারা যে দাবিতে আন্দোলন করছেন তা শতভাগ পূরণ করা সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে হলেও যেন পূরণ করে সরকার। দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সরকার যেন দাবি মেনে নেয়। তবে ছাত্রছাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন তা মেনে নেওয়ার নয়।

দাশগুপ্ত আশীষ কুমার
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও সভাপতি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি
বরিশাল আঞ্চলিক শাখা
আন্দোলনরত বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানো হয়েছে সামান্য। বেসরকারি শিক্ষকদের ইনক্রিমেন্ট এবং পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। শিক্ষা জাতীয়করণের লক্ষ্যে পরবর্তী বাজেটে শিক্ষা বাজেট আনুপাতিক হারে বাড়ানো প্রয়োজন। শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা প্রদানে জরুরি কর্তব্য ২-৩ বছরের একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা। শিক্ষকদের পরীক্ষা বর্জন বা পরীক্ষা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা সমর্থনযোগ্য নয়। এটা শিক্ষক আন্দোলনের জন্যও ক্ষতিকর। সরকারের উচিত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে চলমান সংকট নিরসন করা।

আবদুল হান্নান
শিক্ষক, কুমিল্লা
শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, বাড়ি ভাড়া পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটি হাস্যকর। আমাদের বাড়ি ভাড়া আগে ছিল ১০০ টাকা, এখন সেটা ৫০০ টাকা হয়েছে। এ টাকা দিয়ে তো কিছুই করা যায় না। আমাদের দাবি, চাকরি জাতীয়করণ হোক অথবা সম্মানজনকভাবে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হোক।
মাওলানা আবুল হোসেন শেখ
ম্যারেজ রেজিস্ট্রার, বিজয়নগর, ঢাকা
শিক্ষকরা জাতির বিবেক, তাদের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করানো। এখন তারা সেটি বাদ দিয়ে আন্দোলনের নামে রাস্তায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে। তাদের উচিত, ক্লাস ঠিক রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা।
সুমাইয়া খাতুন মুন
শিক্ষার্থী, পাংশা, রাজবাড়ী
সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার অনেক তফাত। স্যারদের আন্দোলনের কারণে আমাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। আমরা চাই সরকার যেন বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে দেয়।
ফকির টিপু শাহ
সচেতন ব্যক্তিত্ব, কুমিল্লা
শিক্ষকদের আন্দোলনের অধিকার অবশ্যই আছে। তবে সরকারের সামর্থ্যের দিক দেখতে হবে। কয়েকদিন আগেই সরকার প্রাথমিক অনেক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করেছে। তবে যেহেতু শিক্ষায় সরকারের মনোযোগ আছে, যদি তাদের সামর্থ্য থাকে অবশ্যই যেন দাবি মেনে নেওয়া হয়।
মো. রুহুল ইসলাম
চাকরিজীবী, পাবনা
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তারা শিক্ষকদের অনেক কিছু দিয়েছেন অথচ তারা ১০০ টাকার বদলে কেবল ৫০০ টাকা বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন। এ টাকা কি যথেষ্ট? সরকার যেন তাদের সুবিধা বাড়ায়।
নয়ন
ব্যবসায়ী, বগুড়া
একজন অভিভাবক হিসেবে বলছি, শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া সঠিক। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের সঙ্গে এক কথা বলেন, সরকারের সঙ্গে আরেক কথা বলেন। তার পদত্যাগ করা উচিত। আওয়ামী লীগ ইশতেহারে বলেছিল, শিক্ষকদের আলাদা বেতন কাঠামো হবে অথচ তা হয়নি। সরকারের উচিত শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া।
সবিতা শিকদার
অভিভাবক, ঝালকাঠি
শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা দরকার। সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের বেসিকের একটা অংশ পান বাড়ি ভাড়া অথচ বেসরকারিদের ১০০ টাকা। স্বাস্থ্যভাতা, ইনক্রিমেন্ট তেমন কিছুই নেই এখানে। শিক্ষকরা কি আজীবন একই বেতনে চাকরি করে যাবেন?
নির্মল পাল
অভিভাবক, বোয়ালমারী
শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত। শিক্ষকরা ন্যায্য বেতন-ভাতা পান না।
রাব্বুল ইসলাম
চাকরিজীবী, কুষ্টিয়া
এসব শিক্ষক সরকার কর্তৃক কতদিন সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত অবস্থায় আছেন বিবেচনায় আনা দরকার। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো কী কী সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা করে আংশিক হলেও মেনে নেওয়া ভালো।
এনামুল হক
কৃষক, নওগাঁ
শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া তাড়াতাড়ি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের সন্তানদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে।
আবদুল হাকিম
ব্যবসায়ী, নওগাঁ
শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া উচিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের পেট চালানো দায় হয়ে পড়েছে। তাদের বেতন-ভাতা কম।
আতিফ হাসান
শিক্ষার্থী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
শিক্ষকদের আন্দোলন যৌক্তিক। আমাদের দেশে যে দুর্নীতি হয় তা দূর করলে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া কোনো ব্যাপার নয়।
মো. আতাউল গনি
ব্যবসায়ী, সুনামগঞ্জ
শিক্ষকদের জাতীয়করণের আন্দোলন যৌক্তিক। একই সঙ্গে সারাদেশে জাতীয়করণ সম্ভব নয়, ধাপে ধাপে জাতীয়করণ করা উচিত। শিক্ষকদের ওপর পুলিশ যেভাবে নির্যাতন চালিয়েছে আমরা মর্মাহত।
শাহিনুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, মাগুরা
শিক্ষকরা কষ্ট করেন অথচ সুযোগ-সুবিধা কম পান। সরকার যেন তাদের দিকে তাকায়।
সবিতা সাহা
গৃহিণী, রাজবাড়ী
শিক্ষকদের চাওয়া ন্যায্য। সরকার যেন চিন্তাভাবনা করে।
মো. বাচ্চু
অভিভাবক, কুষ্টিয়া
শিক্ষকদের আন্দোলনে আমাদের সন্তানদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। দ্রুত দাবি মেনে নিলে সমাধান হতো।
রুস্তম আলী
ব্যবসায়ী, ঝিনাইদহ
বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া পাঁচগুণ বাড়ানো হয়েছে, চিকিৎসা ভাতা দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে_ বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। অথচ বাড়ানোর পরও তা যথাক্রমে ৫০০ ও ৩০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে তো কোনো কিছুু করা সম্ভব নয়।
মো. গোলামুর রহমান
ব্যবসায়ী, ময়মনসিংহ
শিক্ষকরা যে বেতন পান তাতে চলাফেরা অত্যন্ত কষ্টকর। সামগ্রিক দিক বিবেচনায় যেন তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয় সরকার। বেসরকারি শিক্ষকরা অবহেলিত।
মো. সাইফুল ইসলাম
কলেজ শিক্ষক, ময়মনসিংহ
বর্তমান দ্রব্যমূল্যে আমাদের দিন চলে না। সরকার সম্প্রতি রাশিয়া থেকে ঋণ করে আট হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনছে। তখন দেশের সামর্থ্য থাকে অথচ শিক্ষকদের জন্য সামর্থ্য থাকে না কেন।
আবদুল আজিজ
কৃষক, মানিকগঞ্জ
এসএসসি আসন্ন। শিক্ষকরা হুমকি দিয়েছেন, দাবি না মানলে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন না। সরকারের উচিত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসা।
রথী চন্দ্র
ব্যবসায়ী, বগুড়া
বেসরকারি শিক্ষকরা যে আন্দোলন করছেন, তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও একই কারিকুলাম অনুসরণ করে। তাদের ইনক্রিমেন্ট নেই। দ্রব্যমূল্যের কারণে তারা অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছেন।
রফিকুল ইসলাম
শিক্ষক, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ
শিক্ষকদের এ আন্দোলন যৌক্তিক। জাতিকে শিক্ষিত করার দায়িত্ব যাদের ওপর অর্পিত, তাদের অবহেলিত রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে সর্বাগ্রে। রাজনৈতিক পরিচালনা পর্ষদ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে এবং তারা শিক্ষকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। এটি জাতির জন্য দুঃখজনক।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
শিক্ষামন্ত্রীকে বলতে চাই, শিক্ষকদের দাবি মেনে নিন।
মো. শরিফুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, চুয়াডাঙ্গা
চলমান শিক্ষক আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। সরকারও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমার মনে হয়, শিক্ষকদের দাবি ন্যায়সঙ্গত।
আবু ইসহাক মজুমদার
শিক্ষক, কুমিল্লা
জাতীয়করণ সাধারণ শিক্ষকদের দাবি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, একটা গ্রুপ দাবি করেছেন। আসলে এটা ঠিক নয়।
কুমারেশ চন্দ্র
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ
শিক্ষকদের আন্দোলন জাতীয়করণ নিয়ে। শিক্ষকদের বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সীমিত বেতনে সংসার চালানো সম্ভব নয়। তারা সরকারিকরণের দাবিতে আন্দোলন করতে পারেন। যদি আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাশকতা করার সুযোগ করে দেন, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্বিত হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ
শিক্ষার্থী, সিরাজগঞ্জ
যারা সরকারের কাছ থেকে কিছুই পান না, তারা আন্দোলন করলে মানায়। আমাদের লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন না। অথচ তারা ঠিকই বেতন তুলছেন।
তরুণকান্তি মজুমদার
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
শিক্ষকদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে।
সুকুমার ভট্টাচার্য
কৃষক, রাজবাড়ী
আমি চাই শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা হোক। আমাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল বন্ধ। শিক্ষকরা যে বেতন পাচ্ছেন, তা দিয়ে তাদের চলে না।
মো. জহিরুল ইসলাম
প্রভাষক, কুড়িপাড়া মহাবিদ্যালয় সিরাজগঞ্জ
আমরা নন-এমপিও শিক্ষক। আমাদের এমপিওভুক্ত করা হোক।
উৎপল কুমার দে
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
শিক্ষকদের আন্দোলন আমি সমর্থন করি। এটি তাদের ন্যায্য পাওনা।
সেলিম
ব্যবসায়ী, রাজবাড়ী
শিক্ষকদের দাবি ন্যায্য। এটি মেনে নিতে সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
আবু বকর সিদ্দিক
ব্যবসায়ী, নওগাঁ
আমি একজন অভিভাবক। শিক্ষকদের আন্দোলনে যৌক্তিকতা আছে। সরকার যদি এ দাবিগুলো মেনে না নেয়, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা বিপদে পড়ে যাবে।
উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল
ব্যবসায়ী, বরিশাল
শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ না হলেও কিছু দাবি পূরণ করা উচিত।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, বাগমারা, রাজশাহী
শিক্ষকরা থাকবেন শিক্ষাদানে। কিন্তু তারা অযৌক্তিক আন্দোলন করছেন। অযৌক্তিক আন্দোলনকারীদের মদদদাতাদের শনাক্ত করে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হলে শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যা থাকবে না।
মো. ফখরুল ইসলাম টিপু
শিক্ষার্থী, সেনবাগ, নোয়াখালী
শিক্ষকদের দাবি পূরণ না করে তাদের প্রতি দমননীতি চালানো জাতিকে ব্যথিত করেছে।
মনোরঞ্জন সরকার
ব্যবসায়ী, পাবনা
শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি যুক্তিপূর্ণ। শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত।
শেখ আবদুল কাদের
সংস্কৃতিকর্মী, ডেমরা, ঢাকা
কিছুদিন আগে শিক্ষকদের বড় একটি অংশের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছে সরকার। শিক্ষকরা এখন নতুন করে আন্দোলন করছেন। চাইলেই পাওয়া যায়_ এমন হওয়া উচিত নয়। তাদের দাবি অযৌক্তিক। একটা দলের ইন্ধনে তারা এসব করছেন। সরকারেরও সীমাবদ্ধতা আছে। সেটিও মাথায় রাখা উচিত।
একাব্বর হোসেন
শিক্ষক, বরিশাল
শিক্ষকদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু এখন এ দাবি পূরণ করতে গেলে বাজেটের ওপর চাপ আসবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অবসরের সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে।
মুফতি মাহমুদ আলী
শিক্ষক, মাগুরা
শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের বিকল্প নেই। সরকার বলছে, বাড়ি ভাড়া ৫ গুণ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আগে তো মাত্র ১০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ছিল। ৫০০ টাকায় কোথাও বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় না।
হেলাল উদ্দিন
এনজিও কর্মী, রাজবাড়ী
শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত। একসঙ্গে না পারলে ধারাবাহিকভাবে মেনে নেওয়া উচিত।
নুরুল আমীন
পল্লী চিকিৎসক, রায়পুরা, নরসিংদী
শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেওয়া উচিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব দুর্নীতি হয়, তা রোধে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।
মো. লোকমান হোসেন ফকির
পল্লী চিকিৎসক, ভালুকা, ময়মনসিংহ
শিক্ষকরা আন্দোলন আরও ছয় মাস পর করলে পারতেন। কারণ এই জানুয়ারিতেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা হয়েছে।
নুরুল আনোয়ার
চাকরিজীবী, ফেনী
শিক্ষকদের আন্দোলন কতটা যৌক্তিক, কতটা অযৌক্তিক_ সেটি বিতর্কের বিষয়। তার চেয়ে বড় বিষয়, যারা আন্দোলন করছেন তারা এ দেশেরই মানুষ। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পদ সীমিত, নাকি পর্যাপ্ত_ সেটি যেমন মুখ্য বিষয়; অন্যদিকে রাষ্ট্রের কোনো প্রাণী যদি ক্ষুধায় কষ্ট পায়, তার জন্য রাষ্ট্র পরিচালককে জবাব দিতে হবে। সমাধানের পথ খুঁজতে হবে আলোচনার মাধ্যমে। লাঠিপেটা, টিয়ার শেল, পেপার স্প্রে করে নয়। ইসলামের শিক্ষা_ দুর্বলের ওপর জুলুম করো না। তোমার ওপরও এক শক্তিশালী হাত আছে।
আফাজউদ্দিন
শিক্ষক, নোয়াখালী
শিক্ষকদের আন্দোলন যৌক্তিক।
দেবদাস কুমার বৈরাগী
শিক্ষার্থী, খুলনা
শিক্ষকদের আন্দোলন যৌক্তিক। তাদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। কারিগরদেরই যদি সমস্যার মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়ে, তাহলে তারা শিক্ষাদান করবেন কীভাবে? সরকারকে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
শিক্ষকদের আন্দোলন চাকরি জাতীয়করণ করার জন্য; সরকারি সুযোগ-সুবিধা বর্ধিত করার জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতই কি পরিপুষ্ট যে, বাজেটে বরাদ্দ না থাকলেও দেওয়া যেতে পারে? সরকারের উচিত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করা।
শাহজাদী
চাকরিজীবী, রাজবাড়ী
আমার মনে হয়, শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা উচিত।
হোসনে আরা বেগম
শিক্ষক, ফরিদপুর
শিক্ষকদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত। এত কম টাকা কখনও বাড়ি ভাড়া হয় নাকি!
শাহাবউদ্দিন
ব্যবসায়ী, কক্সবাজার
আমার একটা মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে। সামান্য টাকা দিয়ে শিক্ষকরা কীভাবে পড়াবেন? আমার মনে হয়, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করা দরকার।
বিভা দত্ত
গৃহিণী, কামারখালী, ফরিদপুর
আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা হচ্ছে না। শিক্ষকদের দাবি মনে হয় ন্যায্য। সরকার তাদের দাবি মেনে নিলে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা ঠিকমতো হবে।
মো. মইনুল হাসান
শিক্ষক, শেরপুর
বেসরকারি চাকরিক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে উচ্চতর বেতন স্কেল দিতে চেয়েছিল। সেখানে শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করলে সমস্যা কোথায়? সরকার এ দাবি পূরণ করবে বলে আশা করছি।
মাহফুজ
শিক্ষক, খুলনা
শিক্ষকদের আন্দোলন যৌক্তিক। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক যে, শিক্ষকরা দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে রাজপথে আন্দোলন করছেন। শিক্ষকরা যেসব যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন, সরকারের উচিত সেগুলোকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনায় নেওয়া।

No comments

Powered by Blogger.