বরগুনার ৮ হাজার পানের বরজে ছত্রাক
ঘন কুয়াশায় ছত্রাকের আক্রমণে বরগুনার আট হাজারেরও বেশি পানের বরজের পান পাতা ঝরে পড়েছে। এতে জেলার প্রায় ২০ হাজার পানচাষি পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
এক সপ্তাহ ধরে জেলার সব বরজে আকস্মিক পান ঝরে পড়া শুরু করলে চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না তাঁরা। হলুদ হয়ে ঝরে পড়া পান বিক্রি করতে পারছেন না তাঁরা। এদিকে বাজারে পানের দামও কমে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম পান উৎপাদনকারী এই জেলার চাষিরা জানান, গত ৪০ বছরে পানের বরজে এমন মহামারি আকারে পান পাতা ঝরে যেতে দেখেননি তাঁরা। প্রতিদিন যে হারে পান পাতা ঝরে পড়ছে, তাতে আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে জেলার সব বরজ পাতাশূন্য হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় পান দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে আট হাজার ২০৪টি পানের বরজ রয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার খাজুরতলা গ্রামের পানচাষি সুজন হাওলাদার জানান, গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে তাঁদের এলাকার প্রায় ৩০০ বরজের পানপাতা ঝরে পড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে তাঁর দুটি বরজের প্রায় অর্ধেক পান ঝরে গেছে। বাকি পাতাগুলোও হলুদ হয়ে যাচ্ছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন তিনি। ধারদেনা আর ঋণ করে বরজ করেছিলেন। এখন কীভাবে ঋণের কিস্তি শোধ করবেন, কীভাবে পরিবারের ভরণপোষণ চালাবেন, সেই চিন্তায় আছেন।
তালতলী উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের চাষি জাহিদ মোল্লা জানান, তাঁর চারটি বরজের অর্ধেকেরও বেশি পান এরই মধ্যে ঝরে গেছে। ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটিয়েও ফল পাচ্ছেন না। পান চাষের প্রধান এলাকা বরগুনা সদরের খাজুরতলা, বদরখালী, কুমড়াখালী, কেওড়াবুনিয়া, আযলা-পাতাকাটা; বেতাগীর কালিকাবাড়ী, বুড়ামজুমদার; পাথরঘাটার কালীপুর, কালমেঘা; আমতলীর ছোট ও বড় বগী এলাকার শতকরা ৯০ ভাগ পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এক সপ্তাহ ধরে বাজারে পানের দামও কমে গেছে। সদরের খাজুরতলা গ্রামের চাষি মিলন হাওলাদার জানান, কিছুদিন আগে এক গাদি (৫৪৬০টি) পান সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পান ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়ও কেউ কিনতে চায় না। মিলন জানান, শীতে পানের দাম থাকে চড়া। তাই চাষিরা এই মৌসুমের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু এবার সব পানচাষিই নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
আমতলীর বগী বাজারের পাইকারি পানবিক্রেতা আমজাদ হোসেন জানান, প্রতিদিন তাঁরা শত শত গাদি পান ঢাকা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালীর চৌমুহনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণাঞ্চলের পানের বাজারগুলো শূন্য হয়ে পড়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, অতিরিক্ত কুয়াশায় অধিকাংশ পানের বরজে ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের টিল্ট-২৫০ ও বিডোবিল গোল্ড-২৫০ সিসি ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে চাষিদের ছত্রাকনাশক প্রয়োগের জন্য বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, অল্প দিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
তালতলী উপজেলার পশ্চিম গাবতলী গ্রামের চাষি জাহিদ মোল্লা জানান, তাঁর চারটি বরজের অর্ধেকেরও বেশি পান এরই মধ্যে ঝরে গেছে। ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটিয়েও ফল পাচ্ছেন না। পান চাষের প্রধান এলাকা বরগুনা সদরের খাজুরতলা, বদরখালী, কুমড়াখালী, কেওড়াবুনিয়া, আযলা-পাতাকাটা; বেতাগীর কালিকাবাড়ী, বুড়ামজুমদার; পাথরঘাটার কালীপুর, কালমেঘা; আমতলীর ছোট ও বড় বগী এলাকার শতকরা ৯০ ভাগ পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এক সপ্তাহ ধরে বাজারে পানের দামও কমে গেছে। সদরের খাজুরতলা গ্রামের চাষি মিলন হাওলাদার জানান, কিছুদিন আগে এক গাদি (৫৪৬০টি) পান সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পান ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়ও কেউ কিনতে চায় না। মিলন জানান, শীতে পানের দাম থাকে চড়া। তাই চাষিরা এই মৌসুমের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু এবার সব পানচাষিই নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
আমতলীর বগী বাজারের পাইকারি পানবিক্রেতা আমজাদ হোসেন জানান, প্রতিদিন তাঁরা শত শত গাদি পান ঢাকা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালীর চৌমুহনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠান। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণাঞ্চলের পানের বাজারগুলো শূন্য হয়ে পড়েছে। বরগুনা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, অতিরিক্ত কুয়াশায় অধিকাংশ পানের বরজে ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের টিল্ট-২৫০ ও বিডোবিল গোল্ড-২৫০ সিসি ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে চাষিদের ছত্রাকনাশক প্রয়োগের জন্য বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, অল্প দিনের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
No comments