রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংক খাত by আশরাফুল ইসলাম
দেশের অর্থনীতির স্যালাইন হিসেবে ভূমিকা রাখছে প্রবাসীদের প্রেরিত
কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স। কাক্সিত হারে অবমুক্ত হচ্ছে না বৈদেশিক ঋণ। এ
কারণে চলতি হিসাবের ভারসাম্য টান টান অবস্থায় রয়েছে।
বেড়ে যাচ্ছে
বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি। অর্থনীতির এমন পরিস্থিতিতে রেমিট্যান্সই একমাত্র
ত্রাণকর্তার ভূমিকা পালন করছে। আর প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় দেশে আনতে
সহায়তা করছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে থেকেও
ব্যাংকগুলো বিদেশে রেমিট্যান্স হাউজ খুলে বা বিদেশে অবস্থানরত ব্যাংক বা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির মাধ্যমে দেশে থাকা আত্মীয় পরিজনের কাছে
প্রবাসীদের আয় দেশে আনতে সহায়তা করছে।
কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে নানা কারণে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক ফিরে এসেছে। কিন্তু যে হারে শ্রমিক ফিরে এসেছে সেই হারে যায়নি। কিন্তু এরপরও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণে তেমন প্রভাব পড়েনি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয় বিগত চারদলীয় জোট সরকারের কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ। এর পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রযুক্তির ছোঁয়া।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে রেমিট্যান্স আনার জন্য নীতিমালা সহজ করা হয়েছিল। হুন্ডি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। রেমিট্যান্স আনার জন্য এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলার অনুমোদন সহজ করা হয়েছিল। এ কারণে ওই সময় থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে রেমিট্যান্সের প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমতে থাকলেও পরিমাণগত দিক থেকে রেমিট্যান্স বাড়তে থাকে। অর্থাৎ হুন্ডি কমে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণ বাড়তে থাকে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয় ব্যাংকিং চ্যানেলে আধুনিকতার ছোঁয়া।
আগে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে কম করে হলেও তিন দিন সময় লাগত। কোনো কোনো সময় ১০ দিনেরও বেশি সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে প্রবাসীদের আয় পৌঁছে যাচ্ছে।
সাধারণত দু’ভাবে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স আহরণ করে থাকে। বিদেশী এক্সচেঞ্জ হাইজগুলোর সাথে চুক্তির মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট দেশে সরাসরি এক্সচেঞ্জ হাউজ খুলে। এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলার ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যাংককে সংশ্লিষ্ট দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। অপর দিকে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ওই সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে চুক্তি করে। এক্সচেঞ্জ হাউজ যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আহরণ করবে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংককে একটি নির্ধারিত হারে কমিশন দিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় এক্সচেঞ্জ হাইজগুলো প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স আহরণ করলেও তা ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে জমা দেয় না। অনেক সময় আত্মসাৎ করে থাকে। যেমন যুক্তরাজ্যে ফার্স্ট সলিউশন ও রূপালী রেমিট্যান্স হাউজ গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে। কিন্তু কোনো ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা পাঠালে এ ধরনের কোনো ভয় থাকে না।
অপর দিকে স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে (স্পট পেমেন্ট) প্রবাসীদের রেমিট্যান্স তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রবাসী রেমিট্যান্স সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা দিচ্ছে এবং ওই প্রবাসীকে একটি পিন নম্বর বা গোপন নম্বর দেয়া হচ্ছে। একই সাথে ওই একই পিন নম্বর ইন্টারনেটের মাধ্যমে মিনিটেই যে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছে ওই ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। গ্রাহক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে পিন নম্বর পৌঁছে দিচ্ছে। আত্মীয় পরিজন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় আগে থেকেই অবস্থান করেন। মোবাইলের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার পর স্থানীয় শাখায় গোপন নম্বরটি বলে দেয়া হচ্ছে। এটার সাথে মিলিয়ে তা ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার সমপরিমাণ টাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে তুলে দিচ্ছে। এভাবে দেশের ব্যাংকগুলো বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আহরণ করছে। এ কারণে কমেছে হুন্ডি তৎপরতা।
রেমিট্যান্স আহরণের দিক থেকে বরাবরের মতো ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আনছে। বলা চলে রেমিট্যান্স আহরণে নিচের দিক থেকে ৩৬টি ব্যাংকের সমান একাই রেমিট্যান্স আহরণ করছে ইসলামী ব্যাংক। দেশের ৪৭টি ব্যাংকের মধ্যে বর্তমানে ৪৫টি ব্যাংক বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আহরণ করে। গত অর্থবছরে (২০১১-১২) ইসলামী ব্যাংক মোট রেমিট্যান্সের ২৬ ভাগ আহরণ করেছে। যেখানে ছোট ৩৫টি ব্যাংক এনেছে মোট রেমিট্যান্সের ২২ ভাগ। অপর ৯টি ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক এনেছে ১০ শতাংশ করে, জনতা ব্যাংক এনেছে মোট রেমিট্যান্সের ৭ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক এনেছে ৬ শতাংশ। শতকরা ৫ ভাগ রেমিট্যান্স এনেছে ব্র্যাক ব্যাংক, ৪ ভাগ করে রেমিট্যান্স এনেছে সাউথইস্ট ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংক। শতকরা ৩ ভাগ করে রেমিট্যান্স এনেছে প্রাইম ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।
রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখার জন্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এ জন্য নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে হবে। এতে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন, পরিবর্ধন ছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং মনস্তাত্ত্বিক সমৃদ্ধি ঘটাতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে বিদেশে পাড়ি জমানো মানবসম্পদের স্বাস্থ্য, ভাষা ও মনোভাব ইতিবাচক স্থিতি সৃজনে। ভারত, চীনের মতো বিশেষ ইকোনমিক জোন সৃষ্টি করে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। কঠিন ও অসম্মানজনক শর্তে বৈদেশিক সাহায্য নেয়ার পরিবর্তে সমসুবিধা না হলেও অনিবাসী নাগররিকদের বিনিয়োগের সহায়ক পরিবেশ এবং বাড়তি কিছু সুবিধা নিশ্চিত করার মানসিকতা খুবই জরুরি। বড় মাপের রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিইপি মর্যাদা এবং অন্যান্য স্বীকৃতমূলক দৃশ্যমান সুবিধা প্রদান করতে হবে। সেই সাথে যেসব ব্যাংক রেমিট্যান্স আহরণ করছে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণকারীদের পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ সুবিধা প্রদান যাতে ব্যাংকগুলোর ক্যামেলস রেটিং উন্নত হতে সহায়তা করে। তা হলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়বে, বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি।
কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে নানা কারণে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক ফিরে এসেছে। কিন্তু যে হারে শ্রমিক ফিরে এসেছে সেই হারে যায়নি। কিন্তু এরপরও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণে তেমন প্রভাব পড়েনি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয় বিগত চারদলীয় জোট সরকারের কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ। এর পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রযুক্তির ছোঁয়া।
বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে রেমিট্যান্স আনার জন্য নীতিমালা সহজ করা হয়েছিল। হুন্ডি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। রেমিট্যান্স আনার জন্য এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলার অনুমোদন সহজ করা হয়েছিল। এ কারণে ওই সময় থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে রেমিট্যান্সের প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমতে থাকলেও পরিমাণগত দিক থেকে রেমিট্যান্স বাড়তে থাকে। অর্থাৎ হুন্ডি কমে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণ বাড়তে থাকে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয় ব্যাংকিং চ্যানেলে আধুনিকতার ছোঁয়া।
আগে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে কম করে হলেও তিন দিন সময় লাগত। কোনো কোনো সময় ১০ দিনেরও বেশি সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে প্রবাসীদের আয় পৌঁছে যাচ্ছে।
সাধারণত দু’ভাবে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স আহরণ করে থাকে। বিদেশী এক্সচেঞ্জ হাইজগুলোর সাথে চুক্তির মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট দেশে সরাসরি এক্সচেঞ্জ হাউজ খুলে। এক্সচেঞ্জ হাউজ খোলার ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যাংককে সংশ্লিষ্ট দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। অপর দিকে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো ওই সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দেশের এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে চুক্তি করে। এক্সচেঞ্জ হাউজ যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আহরণ করবে তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংককে একটি নির্ধারিত হারে কমিশন দিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় এক্সচেঞ্জ হাইজগুলো প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স আহরণ করলেও তা ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে জমা দেয় না। অনেক সময় আত্মসাৎ করে থাকে। যেমন যুক্তরাজ্যে ফার্স্ট সলিউশন ও রূপালী রেমিট্যান্স হাউজ গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছে। কিন্তু কোনো ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা পাঠালে এ ধরনের কোনো ভয় থাকে না।
অপর দিকে স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে (স্পট পেমেন্ট) প্রবাসীদের রেমিট্যান্স তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রবাসী রেমিট্যান্স সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা দিচ্ছে এবং ওই প্রবাসীকে একটি পিন নম্বর বা গোপন নম্বর দেয়া হচ্ছে। একই সাথে ওই একই পিন নম্বর ইন্টারনেটের মাধ্যমে মিনিটেই যে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছে ওই ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। গ্রাহক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে পিন নম্বর পৌঁছে দিচ্ছে। আত্মীয় পরিজন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় আগে থেকেই অবস্থান করেন। মোবাইলের মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার পর স্থানীয় শাখায় গোপন নম্বরটি বলে দেয়া হচ্ছে। এটার সাথে মিলিয়ে তা ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার সমপরিমাণ টাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে তুলে দিচ্ছে। এভাবে দেশের ব্যাংকগুলো বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আহরণ করছে। এ কারণে কমেছে হুন্ডি তৎপরতা।
রেমিট্যান্স আহরণের দিক থেকে বরাবরের মতো ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আনছে। বলা চলে রেমিট্যান্স আহরণে নিচের দিক থেকে ৩৬টি ব্যাংকের সমান একাই রেমিট্যান্স আহরণ করছে ইসলামী ব্যাংক। দেশের ৪৭টি ব্যাংকের মধ্যে বর্তমানে ৪৫টি ব্যাংক বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আহরণ করে। গত অর্থবছরে (২০১১-১২) ইসলামী ব্যাংক মোট রেমিট্যান্সের ২৬ ভাগ আহরণ করেছে। যেখানে ছোট ৩৫টি ব্যাংক এনেছে মোট রেমিট্যান্সের ২২ ভাগ। অপর ৯টি ব্যাংকের মধ্যে সোনালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক এনেছে ১০ শতাংশ করে, জনতা ব্যাংক এনেছে মোট রেমিট্যান্সের ৭ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক এনেছে ৬ শতাংশ। শতকরা ৫ ভাগ রেমিট্যান্স এনেছে ব্র্যাক ব্যাংক, ৪ ভাগ করে রেমিট্যান্স এনেছে সাউথইস্ট ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংক। শতকরা ৩ ভাগ করে রেমিট্যান্স এনেছে প্রাইম ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।
রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখার জন্য সরকারের বিশেষ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এ জন্য নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান করতে হবে। এতে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন, পরিবর্ধন ছাড়াও বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং মনস্তাত্ত্বিক সমৃদ্ধি ঘটাতে হবে। ব্যবস্থা নিতে হবে বিদেশে পাড়ি জমানো মানবসম্পদের স্বাস্থ্য, ভাষা ও মনোভাব ইতিবাচক স্থিতি সৃজনে। ভারত, চীনের মতো বিশেষ ইকোনমিক জোন সৃষ্টি করে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। কঠিন ও অসম্মানজনক শর্তে বৈদেশিক সাহায্য নেয়ার পরিবর্তে সমসুবিধা না হলেও অনিবাসী নাগররিকদের বিনিয়োগের সহায়ক পরিবেশ এবং বাড়তি কিছু সুবিধা নিশ্চিত করার মানসিকতা খুবই জরুরি। বড় মাপের রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিইপি মর্যাদা এবং অন্যান্য স্বীকৃতমূলক দৃশ্যমান সুবিধা প্রদান করতে হবে। সেই সাথে যেসব ব্যাংক রেমিট্যান্স আহরণ করছে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণকারীদের পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ সুবিধা প্রদান যাতে ব্যাংকগুলোর ক্যামেলস রেটিং উন্নত হতে সহায়তা করে। তা হলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়বে, বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি।
No comments