লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ীর হাত-পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা
লক্ষ্মীপুর শহরে ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে শাহ আলম নামের হাউজিং ব্যবসায়ীকে নিজ কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি শহরের মানারাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, তিনি শহরের লক্ষ্মীপুর হাউজিং লিমিটেড নামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাতালগ্ন থেকে পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। ওই কোম্পানির কাছে তিনি ১০ লাখ টাকা ও ৩৪ শতাংশ জমির মূল্য বাবদ প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনা রয়েছেন। তাঁর পাওনা না দেওয়ায় তিনি শহরের আপন রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে কাজ শুরু করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কোম্পানির কার্যালয় থেকে তাঁকে লক্ষ্মীপুর হাউজিং লিমিটেডের কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন, কামরুল ইসলামসহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক অটোরিকশাযোগে তুলে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা তাঁকে জোড় দিঘিরপাড়া এলাকায় একটি সুপারিবাগানে গাছের সঙ্গে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলে রেখে যায়। বর্তমানে তিনি মানারাত হাসপাতালের চিকিৎসক ম ইসহাক ভূঁইয়ার অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুল হক বলেন, শাহ আলমের বাঁ হাত ও বাঁ পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। লক্ষ্মীপুর হাউজিংয়ের পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ীকে কে বা কারা পিটিয়েছে, আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলতে পারব না।’ লক্ষ্মীপুর হাউজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘এর আগে আমাদের কোম্পানির কর্মকর্তা কামাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন সম্পর্কে আপত্তিকর একটি লিফলেট বিলি করেন আপন রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের পরিচালক শাহ আলম। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে তিক্ততা রয়েছে। তবে শাহ আলমকে কে বা কারা মেরেছে তা আমার জানা নেই। শাহ আলমের কাছে লক্ষ্মীপুর হাউজিং টাকা পাওনা রয়েছে। তাঁকে লক্ষ্মীপুর হাউজিং থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
লক্ষ্মীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবুল হক বলেন, শাহ আলমের বাঁ হাত ও বাঁ পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। লক্ষ্মীপুর হাউজিংয়ের পরিচালক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ওই ব্যবসায়ীকে কে বা কারা পিটিয়েছে, আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলতে পারব না।’ লক্ষ্মীপুর হাউজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘এর আগে আমাদের কোম্পানির কর্মকর্তা কামাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন সম্পর্কে আপত্তিকর একটি লিফলেট বিলি করেন আপন রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের পরিচালক শাহ আলম। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে তিক্ততা রয়েছে। তবে শাহ আলমকে কে বা কারা মেরেছে তা আমার জানা নেই। শাহ আলমের কাছে লক্ষ্মীপুর হাউজিং টাকা পাওনা রয়েছে। তাঁকে লক্ষ্মীপুর হাউজিং থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
লক্ষ্মীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments