সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী- হোসেনকে ধরতে হলে হাসানকেও ধরতে হবে
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চলছে। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, তদন্তের মাঝপথে বিশ্বব্যাংক বলছে, আবুল হাসানকে ছেড়ে দিতে আর আবুল হোসেনকে আসামি করতে। দোষ যদি হয়ে থাকে, তাহলে তা দুজনই করেছেন।
হোসেনকে ধরা হলে হাসানকেও ধরতে হবে।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় সাংসদদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে এ কথা বলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তিনি সাংসদদের করণীয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। সাংসদেরা বিরোধী দলকে মোকাবিলার বিষয়ে নিজেদের মতো করে মতামত দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন করা হবে।
পদ্মা সেতু: বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্তত সাতজন সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, আবুল হাসানকে (সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) রক্ষা করতে ড. কামাল হোসেন তদবির করছেন।
এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁকে (আবুল হাসান) রক্ষা বা বাঁচানোর জন্য আমি তদবির করছি, প্রধানমন্ত্রী যদি এ কথা বলে থাকেন, তাহলে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সাংসদ প্রথম আলোকে জানান, বৈঠকে শেখ হাসিনা সাংসদদের বলেন, বিশ্বব্যাংক না এলে নিজস্ব উদ্যোগে পদ্মা সেতু করা হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেতুর নকশা করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) বলা হয়েছে। সেতু বিভাগ কাজের সমন্বয় করবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে। তিনি সাংসদদের জানান, এই সেতু করার জন্য ভারত, মালয়েশিয়া ও চীন প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
আগামী নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তো প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন। আবার যুক্তরাজ্যে টনি ব্লেয়ার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন করে হেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, নির্বাচনে যদি কোনো সাংসদ কোনো ধরনের কারচুপি করার চেষ্টা করেন, তবে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, সংবিধানে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ার কথা বলা আছে, সেভাবেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই। নির্বাচনে কে আসবে আর কে আসবে না, তা ভাবার দরকার নেই।
সাংসদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে যাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে, তাঁরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আর এখানো যাঁদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে, তাঁদের নির্বাচন না করাই ভালো। তিনি বলেন, তৃণমূলের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। সাংসদদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে এবং দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি দেব না। আমাদের যা প্রতিশ্রুতি আছে, সেগুলো পূরণ করব।’ তিনি সরকারের করা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সাংসদদের সর্বস্তরে কথা বলার পরামর্শ দেন।
রাজনীতি: সভায় আওয়ামী লীগের সাংসদেরা বিরোধী দলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন। কয়েকজন সাংসদ বলেন, বিরোধী দল এমন কোনো বড় ধরনের আন্দোলন করতে পারবে না, যা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তা করার কারণ আছে। কয়েকজন সাংসদ বলেন, তবু আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সূত্রমতে, বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকারের শেষ বছরে বিরোধী দল দাবি আদায়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে। তবে বিরোধী দলের এসব কর্মকাণ্ড দমাতে বা আওয়ামী লীগের জন্য পুলিশ কাজ করবে, এটা ভাবা ঠিক হবে না। আওয়ামী লীগকেই রাজনৈতিকভাবে এসব মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়াতে হবে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপি একটা দিলে তিনি একাই পাঁচটা দিতে পারবেন। তিনি স্কুলে স্কুলে আওয়ামী লীগের সমর্থক কমিটি করার প্রস্তাব করেন। তাঁর বক্তব্যে সাংসদদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
এ পর্যায়ে সাংসদ ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, বিএনপি কর্মসূচি দিলে ওই দিনই কর্মসূচি দিতে হবে, এমনটা নয়। এতে অস্থিরতা বাড়বে। তবে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কর্মসূচি নিয়েই মাঠে থাকতে হবে। বিরোধী দল যেদিন কর্মসূচি পালন করবে, তার পরের দিন বা আগের দিন আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি পালন করতে হবে। মোট কথা, বিএনপিকে মাঠ ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
একাধিক সূত্র জানায়, সভায় সাংসদ ইসরাফিল আলম মন্ত্রীদের কম কথা বলার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, সাংসদদেরও কম কথা বলতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যেকোনো পরিস্থিতি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন করা হবে: সভায় প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের বলেন, ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন করা হবে। নিকারের আগামী বৈঠকে এই সিটি করপোরেশনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হবে।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় সাংসদদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে এ কথা বলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তিনি সাংসদদের করণীয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। সাংসদেরা বিরোধী দলকে মোকাবিলার বিষয়ে নিজেদের মতো করে মতামত দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন করা হবে।
পদ্মা সেতু: বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্তত সাতজন সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, আবুল হাসানকে (সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) রক্ষা করতে ড. কামাল হোসেন তদবির করছেন।
এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁকে (আবুল হাসান) রক্ষা বা বাঁচানোর জন্য আমি তদবির করছি, প্রধানমন্ত্রী যদি এ কথা বলে থাকেন, তাহলে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সাংসদ প্রথম আলোকে জানান, বৈঠকে শেখ হাসিনা সাংসদদের বলেন, বিশ্বব্যাংক না এলে নিজস্ব উদ্যোগে পদ্মা সেতু করা হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেতুর নকশা করার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) বলা হয়েছে। সেতু বিভাগ কাজের সমন্বয় করবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে। তিনি সাংসদদের জানান, এই সেতু করার জন্য ভারত, মালয়েশিয়া ও চীন প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে।
আগামী নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে তো প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন। আবার যুক্তরাজ্যে টনি ব্লেয়ার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন করে হেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, নির্বাচনে যদি কোনো সাংসদ কোনো ধরনের কারচুপি করার চেষ্টা করেন, তবে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, সংবিধানে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ার কথা বলা আছে, সেভাবেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই। নির্বাচনে কে আসবে আর কে আসবে না, তা ভাবার দরকার নেই।
সাংসদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে যাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে, তাঁরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আর এখানো যাঁদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে, তাঁদের নির্বাচন না করাই ভালো। তিনি বলেন, তৃণমূলের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। সাংসদদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে এবং দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি দেব না। আমাদের যা প্রতিশ্রুতি আছে, সেগুলো পূরণ করব।’ তিনি সরকারের করা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সাংসদদের সর্বস্তরে কথা বলার পরামর্শ দেন।
রাজনীতি: সভায় আওয়ামী লীগের সাংসদেরা বিরোধী দলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন। কয়েকজন সাংসদ বলেন, বিরোধী দল এমন কোনো বড় ধরনের আন্দোলন করতে পারবে না, যা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তা করার কারণ আছে। কয়েকজন সাংসদ বলেন, তবু আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সূত্রমতে, বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকারের শেষ বছরে বিরোধী দল দাবি আদায়ে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে। তবে বিরোধী দলের এসব কর্মকাণ্ড দমাতে বা আওয়ামী লীগের জন্য পুলিশ কাজ করবে, এটা ভাবা ঠিক হবে না। আওয়ামী লীগকেই রাজনৈতিকভাবে এসব মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়াতে হবে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপি একটা দিলে তিনি একাই পাঁচটা দিতে পারবেন। তিনি স্কুলে স্কুলে আওয়ামী লীগের সমর্থক কমিটি করার প্রস্তাব করেন। তাঁর বক্তব্যে সাংসদদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
এ পর্যায়ে সাংসদ ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, বিএনপি কর্মসূচি দিলে ওই দিনই কর্মসূচি দিতে হবে, এমনটা নয়। এতে অস্থিরতা বাড়বে। তবে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত কর্মসূচি নিয়েই মাঠে থাকতে হবে। বিরোধী দল যেদিন কর্মসূচি পালন করবে, তার পরের দিন বা আগের দিন আওয়ামী লীগকে কর্মসূচি পালন করতে হবে। মোট কথা, বিএনপিকে মাঠ ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
একাধিক সূত্র জানায়, সভায় সাংসদ ইসরাফিল আলম মন্ত্রীদের কম কথা বলার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, সাংসদদেরও কম কথা বলতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যেকোনো পরিস্থিতি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন করা হবে: সভায় প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের বলেন, ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশন করা হবে। নিকারের আগামী বৈঠকে এই সিটি করপোরেশনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হবে।
No comments