গ্রামীণ ব্যাংকের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নাম গেজেট আকারে প্রকাশের উদ্যোগ- উদ্দেশ্যঃ ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তদন্ত by সৈয়দ সামসুজ্জামান নীপু
গ্রামীণ ব্যাংকের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তদন্তে পত্রিকায়
গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। একই সাথে বিষয়টি গেজেট আকারেও প্রকাশ করা
হবে।
সরকার গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের আবেদনে সরকার এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের পক্ষ থেকে গত
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে
উল্লেখ করা হয়, ‘২০১২ সালের অক্টোবর মাসে কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার
আজমালুল হোসেন কিউসিসহ আপনার সাথে আলোচনাকালে কমিশনের তদন্ত কাজের
সুবিধার্থে গ্রামীণ ব্যাংকের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নামসহ বিজ্ঞপ্তি জারি
করে গেজেট প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। বিষয়টির গুরুত্ব
অনুধাবন করে আপনি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছিলেন।’ চিঠিতে
আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, ‘বিজ্ঞপ্তি জারির গেজেট প্রকাশ না করলে
গ্রামীণ নামধারী কোনো প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তদন্তে অগ্রসর হলে
মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সৃষ্টি, গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্তকাজে সুপারিশ প্রদানের সুবিধার্থে এদের নামসহ সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির গেজেট প্রকাশ করে কমিশনকে জানাতে অর্থ বিভাগের বর্তমান সচিবকে গত সপ্তাহে আমি টেলিফোনে জানিয়েছি। গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রফেসর মনোয়ার উদ্দীনের রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।’ চিঠিতে শঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে, ‘এ বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সদস্যরা বিস্তারিত আলোচনা করেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির গেজেট প্রকাশ না করা হলে কাজটি আরো জটিল ও বিলম্ব হতে পারে বলে কমিশন মনে করে।’ অর্থমন্ত্রীর কাছে চিঠিটি দেন গ্রামীণ কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মামনুর রশীদ।
অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে এত দিন ‘ধীরে চল’ নীতি অবলম্বন করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন দ্রুত গ্রামীণ ব্যাংকের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নাম ও কর্মকাণ্ড বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে গেজেট আকারে জারি করা হবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও তাগিদ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরে ১৫ মে গ্রামীণ ব্যাংক ও এর যাবতীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে এই কমিশন গঠন করা। কমিশনের রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে জমা দেয়ার কথা থাকলেও প্রায় সাত মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও সে রিপোর্ট দেয়া হয়নি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সৃষ্টি, গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক, আর্থিক অবস্থা ইত্যাদিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্তকাজে সুপারিশ প্রদানের সুবিধার্থে এদের নামসহ সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির গেজেট প্রকাশ করে কমিশনকে জানাতে অর্থ বিভাগের বর্তমান সচিবকে গত সপ্তাহে আমি টেলিফোনে জানিয়েছি। গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রফেসর মনোয়ার উদ্দীনের রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।’ চিঠিতে শঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে, ‘এ বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সদস্যরা বিস্তারিত আলোচনা করেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারির গেজেট প্রকাশ না করা হলে কাজটি আরো জটিল ও বিলম্ব হতে পারে বলে কমিশন মনে করে।’ অর্থমন্ত্রীর কাছে চিঠিটি দেন গ্রামীণ কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মামনুর রশীদ।
অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে এত দিন ‘ধীরে চল’ নীতি অবলম্বন করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন দ্রুত গ্রামীণ ব্যাংকের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নাম ও কর্মকাণ্ড বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে গেজেট আকারে জারি করা হবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও তাগিদ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরে ১৫ মে গ্রামীণ ব্যাংক ও এর যাবতীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে এই কমিশন গঠন করা। কমিশনের রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে জমা দেয়ার কথা থাকলেও প্রায় সাত মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও সে রিপোর্ট দেয়া হয়নি।
No comments