ছাত্রীধর্ষক তারক মন্ডল সপরিবারে পালিয়েছে by জাহাঙ্গীর সুমন
রাজধানীর শহীদ বীর উত্তম আনোয়ার গালর্স স্কুলে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা সেই শিক্ষক তারকচন্দ্র মন্ডল সপরিবারে পালিয়েছে।
সোমবার
ধর্ষণকারী শহীদ বীর উত্তম আনোয়ার গালর্স স্কুলের শিক্ষক তারক মন্ডলের
উত্তর কাফরুলের বাসায় গিয়ে জানা যায়, শনিবারই সে বাসায় তালা দিয়ে পরিবারের
সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে গেছে।
৭২
কাফরুলের চারতলা বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তার বাসায় তালা লাগানো।পাশের বাসার
ফেরদৌসি আক্তার নামের এক নারী জানায়, ”শনিবার তারকমণ্ডল তার মেয়ে অসুস্থতার
অজুহাতের কথা বলে গ্রামের বাড়ি খুলনা চলে গেছে”।
ওই শিক্ষক বাসায় মেয়েদের কোচিং করাতো, মাঝে মাঝে সে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে পাঠিয়ে দিতো বলেও জানান এ নারী।
এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তারক মণ্ডলকে স্কুল থেকে শুধুমাত্র চাকরিচ্যুত নয়, তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রীরা।
তারক মন্ডল সম্পর্কে অনুসন্ধানে জানা গেছে আরো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই শিক্ষক এক বাসায় বেশি দিন থাকতেন না। ৭২ উত্তর কাফরুলের বাসায় এসেছেন বছর খানেক আগে। এর আগে কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি পাঁচতলা ভবনের ২য় তলায় ভাড়া থাকতো সে।
উত্তর কাফরুলের যে বাসায় তারক মন্ডল থাকেন সে বাসার মালিক জিন্নাত হালদার সেখানে থাকেন না তিনি থাকেন গুলশানে। মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে তিনি জানান, তার ওই বাসায় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তিনি পত্রিকা পরে জেনেছেন, তিনি তাকে বাসা ছাড়ার নোটিস দেবেন। কিন্তু রোববারের পর থেকে তিনি তাকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
তারক ২০০৩ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করা তারক ছাত্রাবস্থায় বান্ধবীকে বিয়ে করেছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে সাভার এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আচার আচরণে তার স্ত্রীর সন্দেহ হলে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরবতীতে সে আরো একটি বিয়ে করে। বর্তমান স্ত্রী দুই কন্যা সন্তান নিয়ে তারক উত্তর কাফরুলের বাসায় থেকে শহীদ আনোয়ার স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি বাসা কোচিং করাতেন।
এদিকে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ওই শিক্ষককে শুধু চাকরিচ্যুত করাকে মেনে নিতে পারছে না সাধারণ ছাত্রীরা। তারা অভিযুক্ত তারক মন্ডলের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্রী বাংলানিউজকে জানায়, প্রিন্সিপালই তাকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। ঘটনার পর লোক লজ্জার কারণে ধর্ষিতা ছাত্রীর পক্ষে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি ।
এ বিষয়ে ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হোসনে আরা বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সন্ধা পর্যন্ত ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানীর কোন অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ আসেনি। আসলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।
ওই শিক্ষক বাসায় মেয়েদের কোচিং করাতো, মাঝে মাঝে সে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে পাঠিয়ে দিতো বলেও জানান এ নারী।
এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তারক মণ্ডলকে স্কুল থেকে শুধুমাত্র চাকরিচ্যুত নয়, তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রীরা।
তারক মন্ডল সম্পর্কে অনুসন্ধানে জানা গেছে আরো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই শিক্ষক এক বাসায় বেশি দিন থাকতেন না। ৭২ উত্তর কাফরুলের বাসায় এসেছেন বছর খানেক আগে। এর আগে কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি পাঁচতলা ভবনের ২য় তলায় ভাড়া থাকতো সে।
উত্তর কাফরুলের যে বাসায় তারক মন্ডল থাকেন সে বাসার মালিক জিন্নাত হালদার সেখানে থাকেন না তিনি থাকেন গুলশানে। মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে তিনি জানান, তার ওই বাসায় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তিনি পত্রিকা পরে জেনেছেন, তিনি তাকে বাসা ছাড়ার নোটিস দেবেন। কিন্তু রোববারের পর থেকে তিনি তাকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না।
তারক ২০০৩ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করা তারক ছাত্রাবস্থায় বান্ধবীকে বিয়ে করেছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে সাভার এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আচার আচরণে তার স্ত্রীর সন্দেহ হলে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরবতীতে সে আরো একটি বিয়ে করে। বর্তমান স্ত্রী দুই কন্যা সন্তান নিয়ে তারক উত্তর কাফরুলের বাসায় থেকে শহীদ আনোয়ার স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি বাসা কোচিং করাতেন।
এদিকে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ওই শিক্ষককে শুধু চাকরিচ্যুত করাকে মেনে নিতে পারছে না সাধারণ ছাত্রীরা। তারা অভিযুক্ত তারক মন্ডলের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্রী বাংলানিউজকে জানায়, প্রিন্সিপালই তাকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। ঘটনার পর লোক লজ্জার কারণে ধর্ষিতা ছাত্রীর পক্ষে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি ।
এ বিষয়ে ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হোসনে আরা বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সন্ধা পর্যন্ত ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানীর কোন অভিযোগ নিয়ে থানায় কেউ আসেনি। আসলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।
No comments