‘৩০,০০০ কোটি টাকার হদিস নেই’- ইউনূসই গ্রামীণ ব্যাংকে ধ্বংস করতে চাইছেনঃ অর্থমন্ত্রী
গ্রামীণব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস গ্রামীণব্যাংককে ধ্বংস করতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী
আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
অপরদিকে, এর ৩০ হাজার কোটি টাকার হদিস নেই বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক।
বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা এমন মন্তব্য করেন।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণব্যাংক সৃষ্টি করেছেন। এখন তিনিই এটি ধ্বংস করতে চাইছেন। ধ্বংস করার জন্য সব কিছু করে গিয়েছেন। তিনি এটি দখল করে রেখেছেন। যাতে এটি চলতে না পারে। তার (ইউনূস) ভাবনা, তাকে ছাড়া এটি চলবে না।‘
এর আগে মুহিত প্রায় ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হকের সঙ্গে।
এদিকে, বৈঠক শেষে মোজাম্মেল হক অভিযোগ করেন, ‘গ্রামীণফোন থেকে লভ্যাংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি টাকা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগীদের পাওয়ার কথা। কিন্তু এর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।‘
‘সে টাকা গেলো কোথায়?’-- এ প্রশ্ন তুলে তিনি নিজেই বলেন, ‘“শোনা যাচ্ছে, গ্রামীণ টেলিকম আরেকটি সংস্থা করেছে। সেটি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট। সেখানে ওই টাকাগুলো আছে। যার চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।”
আর অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘“ড. ইউনূস ব্যাংকটাকে ধ্বংস করতে সব ব্যবস্থা করে গিয়েছেন। এতো বড় ধ্বংসাত্ক পদক্ষেপ আর কোন ব্যক্তি নিতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “ড. ইউনূস সার্চ কমিটি (সিলেকশন) আটকে রেখেছেন মামলা করে। তিনি কাউকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতেও দেবেন না। তিনি যাকে পছন্দ করবেন তাকে এমডি নিয়োগ করবেন।”
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গ্রামীণব্যাংকের কোনো টালমাটাল অবস্থা নেই। ড. ইউনূস ২০১১ সালের মে মাসে চলে গেছেন। কিন্তু তাতে কোন অস্থার চিড় ধরেনি। কর্মীদের আত্মবিশ্বাস কমে নি।‘
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ফোন থেকে লভ্যাংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি গ্রামীণ টেলিকমে আসে। সে অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগীদের পাওয়ার কথা। কিন্তু পান নি। তারা এক পয়সাও পান নি। আমি জানি না এই টাকা গেলো কোথায়। কারণ কোন প্রতিবেদন আমি পাই না। তবে সরকার কমিশন গঠন করেছে তার প্রতিবেদনে এটি বেরিয়ে আসবে।‘
চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক অনেকটা ইঙ্গিত করেই বলেন, ‘এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরিয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীণ ফোনের ৩৪ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার।‘
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গ্রামীণব্যাংকের বোর্ডের ৯জন সদস্য কার স্বার্থে কাজ করবে। তারা কি গ্রামীণ ব্যাংকের স্বার্থ দেখবেন? নাকি একজন ব্যক্তির স্বার্থ দেখবেন। তারা আমকে সহযোগিতা করেছেন না। তারা অচল অবস্থা তৈরি করে রেখেছেন।‘
‘কেন সহযোগিতা করছেন না?’-- এমন প্রশ্নে মোজাম্মেল হক বলেন, “তারা হয়তো আমাকে পছন্দ করছেন না।”
চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রামীণব্যাংক ভালো করেছে। ২০১০ সালের চেয়ে ২০১১ সালে এবং ২০১১ থেকে ২০১২ সালে আরও ভালো করেছে। ২০১১ সালে মুনাফা করেছিলো ৮৫ কোটি টাকা। ২০১২ সালে মুনাফা হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা।‘
তিনি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি চলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসও একটি পদ্ধতির মাধ্যমে এটি চালিয়েছেন। তাই এটি চলবে।‘
এমডি নিয়োগ প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বোর্ড তিনজনের সিলেকশন কমিটি গঠন করেছে। তারা তিনজনের নাম প্রস্তাব করবে বোর্ডের কাছে। সেখান থেকে একজনের প্রস্তাব করে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে তাকেই এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।‘
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণব্যাংক সৃষ্টি করেছেন। এখন তিনিই এটি ধ্বংস করতে চাইছেন। ধ্বংস করার জন্য সব কিছু করে গিয়েছেন। তিনি এটি দখল করে রেখেছেন। যাতে এটি চলতে না পারে। তার (ইউনূস) ভাবনা, তাকে ছাড়া এটি চলবে না।‘
এর আগে মুহিত প্রায় ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হকের সঙ্গে।
এদিকে, বৈঠক শেষে মোজাম্মেল হক অভিযোগ করেন, ‘গ্রামীণফোন থেকে লভ্যাংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি টাকা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগীদের পাওয়ার কথা। কিন্তু এর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।‘
‘সে টাকা গেলো কোথায়?’-- এ প্রশ্ন তুলে তিনি নিজেই বলেন, ‘“শোনা যাচ্ছে, গ্রামীণ টেলিকম আরেকটি সংস্থা করেছে। সেটি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট। সেখানে ওই টাকাগুলো আছে। যার চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।”
আর অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘“ড. ইউনূস ব্যাংকটাকে ধ্বংস করতে সব ব্যবস্থা করে গিয়েছেন। এতো বড় ধ্বংসাত্ক পদক্ষেপ আর কোন ব্যক্তি নিতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “ড. ইউনূস সার্চ কমিটি (সিলেকশন) আটকে রেখেছেন মামলা করে। তিনি কাউকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতেও দেবেন না। তিনি যাকে পছন্দ করবেন তাকে এমডি নিয়োগ করবেন।”
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গ্রামীণব্যাংকের কোনো টালমাটাল অবস্থা নেই। ড. ইউনূস ২০১১ সালের মে মাসে চলে গেছেন। কিন্তু তাতে কোন অস্থার চিড় ধরেনি। কর্মীদের আত্মবিশ্বাস কমে নি।‘
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ফোন থেকে লভ্যাংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি গ্রামীণ টেলিকমে আসে। সে অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগীদের পাওয়ার কথা। কিন্তু পান নি। তারা এক পয়সাও পান নি। আমি জানি না এই টাকা গেলো কোথায়। কারণ কোন প্রতিবেদন আমি পাই না। তবে সরকার কমিশন গঠন করেছে তার প্রতিবেদনে এটি বেরিয়ে আসবে।‘
চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক অনেকটা ইঙ্গিত করেই বলেন, ‘এটি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরিয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীণ ফোনের ৩৪ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার।‘
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গ্রামীণব্যাংকের বোর্ডের ৯জন সদস্য কার স্বার্থে কাজ করবে। তারা কি গ্রামীণ ব্যাংকের স্বার্থ দেখবেন? নাকি একজন ব্যক্তির স্বার্থ দেখবেন। তারা আমকে সহযোগিতা করেছেন না। তারা অচল অবস্থা তৈরি করে রেখেছেন।‘
‘কেন সহযোগিতা করছেন না?’-- এমন প্রশ্নে মোজাম্মেল হক বলেন, “তারা হয়তো আমাকে পছন্দ করছেন না।”
চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রামীণব্যাংক ভালো করেছে। ২০১০ সালের চেয়ে ২০১১ সালে এবং ২০১১ থেকে ২০১২ সালে আরও ভালো করেছে। ২০১১ সালে মুনাফা করেছিলো ৮৫ কোটি টাকা। ২০১২ সালে মুনাফা হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা।‘
তিনি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি চলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসও একটি পদ্ধতির মাধ্যমে এটি চালিয়েছেন। তাই এটি চলবে।‘
এমডি নিয়োগ প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বোর্ড তিনজনের সিলেকশন কমিটি গঠন করেছে। তারা তিনজনের নাম প্রস্তাব করবে বোর্ডের কাছে। সেখান থেকে একজনের প্রস্তাব করে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিলে তাকেই এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।‘
No comments