বরিশাল জিলা স্কুলের ৩৭৩ শিার্থীর বৃত্তির টাকা অনিশ্চিত
বরিশাল জিলা স্কুলের পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর প্রায় ৪০০ বৃত্তিপ্রাপ্ত
মেধাবী শিার্থীর ২০১১-১২ অর্থবছরের বৃত্তির টাকা তামাদি (দাবি করার
নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়া) হয়ে গেছে।
আবার বরাদ্দ
না হলে এসব মেধাবী শিার্থী তাদের বৃত্তির প্রায় সাত লাখ টাকা ফেরত পাবে
না। বিভাগীয় হিসাবরণ অফিসের গাফিলতিতে বৃত্তির টাকা তামাদি হয়েছে বলে
জানা গেছে। ফলে এসব কোমলমতি শিার্থীর মধ্যে হতাশার পাশাপাশি অভিভাবক মহলে
তীব্র ােভ বিরাজ করছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিা বরিশাল অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত
উপপরিচালক ড. মো: মোস্তাফিজুর রহমান ওই টাকা পুনঃমঞ্জুরির দেয়ার ল্েয
মাধ্যমিক ও উচ্চশিা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং শিা মন্ত্রণালয়ে চিঠি
দিয়েছেন। কারো কারো অভিযোগ ঘুষের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত হিসাব বিভাগে
‘যোগাযোগ না করায়’ এ ভুল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, সব
স্কুলের শিার্থীরা বৃত্তির টাকা পেলেও জিলা স্কুলে ১৮২ জন প্রাথমিক ও ১৯১
জন জুনিয়র বৃত্তিপ্রাপ্ত শিার্থী ২০১১-১২ অর্থবছরে বৃত্তির টাকা পায়নি।
সূত্র মতে, গত বছর ১০ জুন বরিশাল জিলা স্কুল থেকে প্রাথমিক ও জুনিয়র
বৃত্তিপ্রাপ্তদের বিল বিভাগীয় হিসাবরণ কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। ৩৯৮২
নম্বর টোকেনে তিন লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ এবং ৩৯৮৩ টোকেন নম্বরে তিন লাখ ১৭ হাজার
১০০ টাকার বিল পাস হয়। কিন্তু হিসাবরণ কার্যালয় থেকে ভুলবশত নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যে ওই টাকা চেক ইস্যু না করায় শিার্থীদের বৃত্তির অর্থ দেয়া
সম্ভব হয়নি। বৃত্তিপ্রাপ্তবঞ্চিত শিার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা এ নিয়ে জিলা
স্কুল কর্তৃপরে কাছে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে বরিশাল
জিলা স্কুলের প্রধান শিক সাবিনা ইয়াসমিন গত বছর ১ জুলাই
বরি/জেড/এস/২০১২/৫৯৩ স্মারকে বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিা অধিদফতরের
মহাপরিচালককে বিষয়টি জানিয়ে ওই টাকা পুনঃমঞ্জুরির আবেদন জানান।
No comments