তৃতীয় দফা পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবে উত্তর কোরিয়া
তৃতীয় দফা পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর
ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রিয় সংবাদ মাধ্যম
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে
(কেসিএনএ) প্রকাশিত এক
সরকারি বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, “শত্রুদের মোকাবেলায়
তৃতীয় দফা পারমাণবিক পরীক্ষার চালানোর পরিকল্পনা করে এটির সফল বাস্তবায়নের
পথে অগ্রসর হচ্ছে পিয়ংইয়ং।”
এর
আগে, মঙ্গলবার দূর পাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। এ ঘটনার
নিন্দা জানায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘের নিন্দা ও আপত্তির মুখে
দু’দিন পরই এ ঘোষণা দিল উত্তর কোরিয়া।
প্রকাশিত বিবৃতিতে দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, “শত্রুদের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হবে। তাছাড়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট উৎক্ষেপণও অব্যাহত থাকবে।”
এবারের পারমাণবিক পরীক্ষা প্রথমবারের মতো ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ (তেজস্ক্রিয় পদার্থ) হবে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
তবে, কবে নাগাদ এই পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হবে এ ব্যাপারে জানানো হয়নি বিবৃতিতে।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় তৃতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে।
পিয়ংইয়ংয়ের এ ঘোষণার পর প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষার দিকে অগ্রসর না হওয়ার জন্য দেশটির প্রতি আহবান জানিয়েছে।
সিউল সফররত পিয়ংইয়ংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গ্লাইন ডেভিস বলেছেন, “আমরা আশা করছি, পিয়ংইয়ং এই সর্বনাশা কাজ করবে না। আমরা তাদের এ ধরনের পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। এটা যদি তারা বাস্তবায়ন করে থাকে তবে মারাত্মক ভুল করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার এ পদক্ষেপে সিউল গভীরভাবে মর্মাহত। কোনো ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষার দিকে অগ্রসর না হওয়ার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি জোর আহবান জানাচ্ছি আমরা।
এদিকে, কোরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যেকোনো ধরনের উত্তেজনামূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে প্রতিবেশি দু’পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিন্দা জানানোর পর পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনায় বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, রাশিয়া এবং জাপানের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল যে, দেশটি সামরিক কাজে পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করবে এবং এটি শুধু বিদ্যুৎ খাতে কাজে লাগাবে।
নতুন করে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার বলেন, “উত্তর কোরিয়া বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি আরও নেতিবাচক হয়েছে। এতে করে ছয় দেশের যে আলোচনা চলছিল, তা ব্যর্থ হয়ে গেছে।”
এখন সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি এবং পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি আরও বেশি নজর দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রথম ও ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফা পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ জারি করে।
উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জং-ইলের শাসনকালে ঐ দু’টি পরীক্ষা চালানো হলেও এবারই প্রথম ইল পুত্র কিম জং-উনের নেতৃত্বে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
প্রকাশিত বিবৃতিতে দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, “শত্রুদের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হবে। তাছাড়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট উৎক্ষেপণও অব্যাহত থাকবে।”
এবারের পারমাণবিক পরীক্ষা প্রথমবারের মতো ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ (তেজস্ক্রিয় পদার্থ) হবে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
তবে, কবে নাগাদ এই পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হবে এ ব্যাপারে জানানো হয়নি বিবৃতিতে।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় তৃতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে।
পিয়ংইয়ংয়ের এ ঘোষণার পর প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষার দিকে অগ্রসর না হওয়ার জন্য দেশটির প্রতি আহবান জানিয়েছে।
সিউল সফররত পিয়ংইয়ংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গ্লাইন ডেভিস বলেছেন, “আমরা আশা করছি, পিয়ংইয়ং এই সর্বনাশা কাজ করবে না। আমরা তাদের এ ধরনের পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। এটা যদি তারা বাস্তবায়ন করে থাকে তবে মারাত্মক ভুল করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার এ পদক্ষেপে সিউল গভীরভাবে মর্মাহত। কোনো ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষার দিকে অগ্রসর না হওয়ার জন্য পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি জোর আহবান জানাচ্ছি আমরা।
এদিকে, কোরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যেকোনো ধরনের উত্তেজনামূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে প্রতিবেশি দু’পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিন্দা জানানোর পর পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনায় বসার প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, রাশিয়া এবং জাপানের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল যে, দেশটি সামরিক কাজে পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করবে এবং এটি শুধু বিদ্যুৎ খাতে কাজে লাগাবে।
নতুন করে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার বলেন, “উত্তর কোরিয়া বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি আরও নেতিবাচক হয়েছে। এতে করে ছয় দেশের যে আলোচনা চলছিল, তা ব্যর্থ হয়ে গেছে।”
এখন সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি এবং পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি আরও বেশি নজর দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রথম ও ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফা পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ জারি করে।
উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জং-ইলের শাসনকালে ঐ দু’টি পরীক্ষা চালানো হলেও এবারই প্রথম ইল পুত্র কিম জং-উনের নেতৃত্বে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হচ্ছে।
No comments